পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 به دا সেই আরাধনাফলেই আমি ইহা লাভ করিলাম। আঁঠুখা কিরূপে মহাদেবের এত অনুগ্রহ উৎপন্ন হয়। যে ব্যক্তি প্রাণান্তে একবার শিবের স্মরণ করে, সে শিবসাযুজ্য প্রাপ্ত হয়; বহুবার স্মরণ করলে যে কি, হয়, জুহ বলিব ? ভগবান ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ও ইন্দ্রাদি সকল দেবগণ যাহার শরণাপন্ন হইয়া অবস্থান করিতেছেন, র্তাহারই শরণাগ্রত হওয়া উচিত। সেই রাত্মা অন্ধক এইরূপ চিন্তু করিয়া পুণ্যগৌরব হেতু সগণ অন্ধক্কাল ঈশান শিবের স্তব করিতে লাগিল । ভগবান পরমাৰ্ত্তিহর সুরেশ্বর নীললোহিত হর, তৎকর্তৃক প্রাথিত হইয়া দয়ার সহিত শূলগ্রস্থিত হিরণ্যাক্ষ-তলয়ের প্রতি দৃষ্টিপাতপূৰ্ব্বক কহিয়াছিলেন। ১০—২১। হে বৎস! তোমার প্রতি তুষ্ট হইয়াছি, তোমার মঙ্গল হউক , হে দৈত্যেন্ত্ৰ অন্ধক ! আমি বরদ হইয়াছি ; বর প্রার্থনা কর ; তোমার কোন অভীষ্ট সিদ্ধ করিব। তখন হিরণ্যাক্ষ-তনয় মহাদেবের স্বাক্য শ্রবণ করিয়া হর্ষগদগদবাক্যে মহাদেবকে কহিল, হে ভক্তের পীড়ানাশক দেবদেব ভগবন শঙ্কর । যদি আপনি প্রসন্ন হইয়া বর দান করেন, অধে এইমাত্র প্রার্থনা করি যে, আপনাতে যেন আমার ভক্তি হয়। মহাদেবও মহাত্মা অন্ধকের ধাক্য শ্রবণ করিয়া, দৈত্যেন্ত্রকে শূল হইতে অবরোপিত করিয়া দুর্লভ শুদ্ধ শিবভক্তি ও প্রমথাধিপত্য প্রদাঙ্গ করিলেন। অন্ধকগণপত্যে প্রতিষ্ঠিত হইলে ইন্দ্রাদি দেবগণ তাহাকে প্রণাম করিলেন।‘২২—২৬ ত্রিমবর্তিতম অধ্যায় সমাপ্ত | চতুমবতিতম অধ্যায় । ঋষিগণ কহিলেন, হে স্থত। এই অন্ধকের পিতা মুদারুণ দৈত্য হিরণ্যাক্ষ কিরূপে বিষ্ণু কর্তৃক হুদিত হইয়াছিল ? বিষ্ণু কিনিমিত্ত বরাহ হুইয়ছিলেন, এবং তাহার শৃঙ্গই বা কিরূপে মহেশ্বরের ৰেণ হইয়াছিল, আপনি এই সকল বিশেষরূপে হলুন। স্থত কহিলেন, পূৰ্ব্বকালে হিরণ্যকশিপুর ভ্রাত ও অন্ধকের পিণ্ড কালাঙ্গক্ষোপম হিরণ্যাঙ্ক, নামক দৈত্যেন্ত্র দেবগণকে জয় করিয়৷ এই ইন্দাবরপ্রভা, ধরণীকে প্রসাতলে লইয়া বন্দী করিয়াছিল। জ্ঞাগুর, দেৰগণ বলবান জুর ছাত্মা দৈত্যমুখ রিশাঙ্ক:কর্তৃক ধাৰিত জড়িত ও বন্ধ হইয়া পরিয়ালমুখে রক্ষার সহিত মিলিত হইয়া দৈত্য, লিঙ্গ পুরাণ কোটিমৰ্দন বিষ্ণুকে মস্তক স্বারা প্রণাম করিয়া তাহাৰু মিকট ধরণীর বন্ধন নিবেদন করিলেন । ভগবান বিষ্ণু এইরূপ ধরণীবন্ধন শ্রবণ করিয়া যেমন "লিঙ্গ প্রাচুর্ভাব-কলে বরাহমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছিলেন, সেই রূপ যজ্ঞবরাহমূৰ্ত্তি ধারণ করিয়া দংষ্ট্রগ্রকোটি স্বার দ্বৈত্যগণের সহিত মহাবল দৈত্যেন্ত্রকে নিহত করিয়া দৈত্যাগুরুং প্রভু দীপ্তি পাইয়াছিলেন। বিষ্ণু পূৰ্ব্বে কল্প প্রারস্ত-সময়ে রসাতলে প্রবেশ করিয়া যেমন বসুধাদেবীকে আনয়ন করিয়াছিলেন, সেইরূপ আবার রসাতলে প্রবেশ করিয়া, সেই দেবীকে আনয়নপূৰ্ব্বক আপনার অঙ্গস্থ করিলেন। অনস্তর দেবদেদেব পিতামহ ইন্দ্রাদি দেবগণের সহিত হৰ্ষগদগদবাক্যে দেবেশ্বর নারায়ণের স্তব করিতে লাগিলেন। আমরা দংষ্ট্রী ও দণ্ডী শাশ্বত বরাহকে নমস্কার করি ; যিনি নারায়ণ, সৰ্ব্বময় ব্রহ্ম ও পরমাত্মা, কৰ্ত্ত, ধরণীধারক, অমুরগণের স্বয়ং সংহৰ্ত্ত, সুরেন্দ্রগণের কৰ্ত্ত ও নেতা এবং অধিলের শাস্তা, তাহাকে নমস্কার। আপনিই অষ্টমূৰ্ত্তি, অনন্তমূৰ্ত্তি, আদিদেব ও সৰ্ব্বজ্ঞ। হে সুরেশ ! লোকেশ । বরাহ । বিষ্ণে ! আপনি সকল স্বজন করিয়াছেন, আপনি প্রসন্ন হউন। হে বিষ্ণু! আপনি দংষ্ট্রাগ্রভাগের মুখাগ্রের কোটিভাগের একাদ্ধভাগ দ্বারা পুত্র ও ভূত্যের সহিত দৈত্য-প্রধানগণকে হত করিয়াছেন। হে দেব ! হে ধরেশ ! আপমি ধরণীর উদ্ধার করিয়াছেন ! হে ধরাবার ! হে মুরাসুরসেবিত চন্দ্রবক্ত। সমস্ত পৰ্ব্বত, সমস্ত জল, সমস্ত সমুদ্রের সহিত ধরণ আপন কর্তৃক দশনমগুলে ধৃত হইয়াছে। হে বিভো দেবেশ ! আপনিই অহুরেশ্বরগণকে জয় করিয়া দেবসমূহকে জয়ী করিয়াছেন এবং আপনিই সরস্বতীযুক্ত ব্ৰহ্মাকে “তোমার বাক্য সত্য হইবে।” এই বর দান করিয়াছেন। আপনার রোমে সকল অমরেশ্বর, নয়নদ্বয়ে শশী ও সুর্ঘ্য, পদদ্বয়ে রসাতলগত বসুন্ধর এবং পৃষ্ঠদেশে সকল তারকাদি নিহিত । ১—১৭ । হে ভগবন । আপনি কল্পারস্তে রসাতলগত অবলা ধরণীর উদ্ধার করিয়াছেন। হে জগদগুরো! আপনিই সমুদয় ধারণ করিতেছেন। নারায়ণ-নাভি-কমলোৎপন্ন বাকৃপতি প্রজাপতি দেৰগণের সহিত এইরূপ বহুবিধ স্তব ও জনে পূৰ্ব্বক వ్రై মস্তকে মৃত্তিক আরোপণপূৰ্ব্বক সমস্কার করিয়া কহিলেন-হে বরপ্রদে!