পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ। রূপে তথা হইতে যথাস্থানে গমন করিলেন। তখন শিব মুরগণকর্তৃক স্তুত হইয় নিজধামে প্রস্থান করিলেন। যে ব্যক্তি এই শিবন্তবপঠ বা শ্রবণ করে, সে শিক লোকে গিয়া শিবের সহিত আনন্দে থাকে ৪৭-৬৩ ৷ পঞ্চনবতিতম অধ্যায় সমাপ্ত । ঘৰ্ম্মবতিতম অধ্যায়। ঋষিগণ কহিলেন, বিশ্বসংহারকারী মহাদেব, কিরূপে মহাঘোর বিকৃত শরভরাপ অবলম্বন করিলেন এবং নৃসিংহ কিরূপ কাৰ্য্য প্রকাশ করিলেন, তৎসমস্ত আমূল আমাদিগের নিকট কীৰ্ত্তন করুন। স্থত বলিলেন, দয়াময় পরমেশ্বর শিব, পুরোক্তরূপে দেৰগণকর্তৃক প্রাধিত হইয়া নৃসিংহতেজ সংহার করিতে অভিলাষী হইলেন। সেই জন্তই তিনি মহাপ্রলয়-কারণ নিজ ভৈরবরূপ মহাবল বীরভদ্রকে স্মরণ করিলেন । তৎক্ষণাৎ বীরভদ্র, গণদিগের অগ্রে হস্তি করত তথায় উপস্থিত হইলেন। তাহার আনু্যাত্রিক কোটি কোটি গণ অত্যুঞ্জ সিংহাকার এবং অট্টহাস্ত ও ইতস্ততঃ উৎপতনে ব্যগ্র । অপর আমুযাত্রিক কোটি কোটি গণ মৃত্য ও আমোপরায়ণ, বীর এবং মহাধীর এই গণ সকল ব্রহ্মদি দেবগণকে কলুকের স্তায় লইয়া ক্রীড়া করিতে সক্ষম। সেই বীরবদিত-প্রলয়ানলজালাবং, সমুজ্জ্বল নয়নত্রয়ে তুর্দশ, বীরভদ্র অন্তান্ত বিবিধ অদৃষ্টপূৰ্ব্ব গণে পরিবৃত ছিলেন। ১—৭ । তাহার হস্তে অস্ত্র-শস্ত্র, সমুজ্জ্বল নব শশধর, দংষ্ট্রাদ্বয় শশিকলাসদৃশ তীক্ষাগ্র। র্তাহার ভ্রলতাযুগল ইন্দ্ৰধনুসদৃশ। তখন তীয় মহা প্রচণ্ড হুঙ্কারে দিভূমণ্ডল বধিরীকৃত হইল। শ্মশ্র নীলমেঘ ও অঞ্জনসদৃশ । অভূতাকৃতি বীর-শক্তিবিস্তৃস্তিত ভগবান বীরভদ্র, অপ্রতিহত বাহুযুগলে বিবাদনাশক ত্রিশিখ অস্ত্র বারংবার ঘুরাইতে ঘুরাইতে স্বয়ং সদাশিবকে বলিলেন, হে জগংস্কামিন্‌ ! আমার প্রতি প্রসন্ন হউন, আমাকে স্মরণ করিবার কারণ কি ? আজ্ঞা করুন। স্ত্রীভগবান বলিলেন, ভৈরব ! অকালে দেবগণের ভয় উপস্থিত । হইয়াছে ; সেই হ্রাসদ সৃসিংহবহ্নি প্ৰজলিত হইয়ছেন ; এখন তুমি তাহ নিৰ্ব্বাণ কর। প্রথমতঃ সাঞ্জন করিয়া বুঝাইৰে; তত্ত্বারাই শাস্ত হওয়া সম্ভব, নিতান্ত না হইলে হুক্ষতেজ দ্বারা হুক্ষতেজ ও স্কুলডেজ স্বারা স্থূলতেজ সংহার করত মীয় ভৈরবক্তাব প্রদর্শন করিখে এবং হে বীরভঞ্জ। আমার ১6 7 করা কর্তব্য। গণনায়ক প্রশান্তকায় বীরভদ্র নৃসিংহ যথায় অবস্থিত ছিলেন, শিব-আজ্ঞা পাইয়া সত্বর তথায় গমন করিলেন। অনন্তর রুদ্ররূপী ঈশানু বীরভদ্র, পিতা যেমন ঔরসপুত্রকে বুঝাইয় থাকেন, অদ্রপ নৃসিংহকে বুঝাইবার জন্ত বলিতে লাগিলেন, হে ভগব মাধব! তুমি জগতের মুখের জন্ত অবতীর্ণ হইয়াছ। পরমেষ্ঠী সদাশিব, তোমাকে জগৎপালনে নিযুক্ত করিয়াছেন। হে ভগবন! প্রলয়কালে সমুদয় জগৎ সমুদ্রপ্লাবিত হইলে, তুমি মৎস্তরূপী হইয়া নিজপুচ্ছে সমুদয় প্রাণিবৃন্দ স্থাপনপূর্বক ভ্রমণ করত রক্ষা করিয়াছ। কুৰ্ম্মরূপে তুমি ত্রিভুবন ধারণ করিতেছ। বরাহরূপে পৃথিবী উদ্ধার করিয়াছ । এই নৃসিংহরূপে হিরণ্যকশিপুকে বধ করিয়াছ। তুমি বামনরূপে পদচালনা করিয়া বলিকে বন্ধন করিয়াছ । তুমি সৰ্ব্বভূতের উৎপত্তিকারণ ও প্রভু এবং স্বয়ং অবিনাশী। যখন যখন জগতের কিছুমাত্র দুঃখ উপস্থিত হয়, তখন তখনই তুমি অবতীর্ণ হইয় তাহ। দূর কর। হে হরে ! তোমা অপেক্ষা অধিক বা সমান শিবভক্ত কেহ নাই। হে কেশব ! তুমি ধৰ্ম্ম এবং বেদ যে শুভ পথে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছ, যাহার জন্য তোমার এই অবতার, সেই হিরণ্যকশিপুও নিহত হইয়াছে। হে ভগবন্‌! এই তোমার নরসিংহ দেহু অত্যস্ত উগ্র, অতএব হে বিশ্বাত্মন । আমার সমীপেই এই দেহভূমি উপসংহার কর। ৮–২৪ স্বত বলিলেন, বীরভদ্র নুসিংহকে এইপ্রকার শাস্তবাক্য বলিলে, হরি আরও কোপে উদ্দীপ্ত হইলেন। পরে নৃসিংহ বলিলেন হে গণাধ্যক্ষ! তুমি যথা হইতে আগমন করিয়াছ সেখানে গমন কর, আর তোমার সাক্ষুনা করত হিতবাক্য বলিতে হইবে না ; এক্ষণেই আমি এই চরাচর জগৎকে সংহার করিতেছি। জানিও যে, সংহৰ্ত্তাল্প আর স্বতঃ পরতঃ কোথায়ও সংহার নাই। এ জগতে আমারই সকল শাস্ক, আমার শাস্তা কেহ নাই, আমার প্রসাদে সকলই মৰ্য্যাদাবিশিষ্ট হইয়া প্রবৃত্ত হইতেছে, আমিই সকল শক্তির প্রবর্ত্তক, ও আমিই নিবুর্তৃক জানিবে । যে যে সত্ত্ব ষড়ৈশ্বৰ্য্যসম্পন্ন, শ্ৰীমন, বিখ্যাত, তেজী, ৰুে গণধ্যক্ষ। সে সকল আমারই তেজে বিস্তৃপ্তিত জানিবে। পরমার্থজ্ঞ দেবগণই আমার অলৌকিক সামর্থ্য জানেন এবং এই যে সকল শক্তিসম্পন্ন দেবগণ, তাহারা আমারই অংশ জানিও। পুরাকালে আমার নাড়িপদ্ম হইত্তে ব্ৰহ্ম৷ উৎপন্ন হুইয়াছেন ও সেই ব্রহ্মার ললাট হইতে DBB BBBD DD BBBS DDB Bgg DDBBBBBD DDDD DDDD DDDDS gg