পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

's१० লিঙ্গপুরাণ কারণ ধিনি করাল, (অর্থাৎ হন্তে র্যাহার অনন্ত ষ্টিশ্যমান, ) খিনি পতি, ধিনি পুণ্যকীৰ্ত্তি, যিনি अशाष, ििन अग्निमल्ल,. शिनि नकूणौवब्र, शैिनि রৈণ্যশ্রেষ্ঠ, ( অর্থাৎ ভবরোগনিবারক, যিনি মুগু, ( ཨ་ཝཱ་ར་ মুণ্ডিতমস্তক) যিনি দণ্ডী, যিনি যোগরূপী, খিনি মেঘবাহন, যিনি দেব ও যিনি পাৰ্ব্বতী, তাহাকে অবিরত নমস্কার করি। ৮২-৮১ । যিনি অধ্যক্ত, ধিনি বিশোক, (অর্থাং র্যাহা হইতে শোকনাশ হয়) যিনি স্থির, স্থিরধবী, ও শব্দাদি পঞ্চার্থের হেতু, পণ্ডি তেরা র্যাহার স্থাচু, কৃত্তিবাস, বরদ, একপাদ, অধ্বর, বাজ, পরমেষ্ঠী, নিত্য, সত্য, এই সকল নাম কীৰ্ত্তন করেন, তাহার চরণে আমার শত শত নমস্কার । যিনি শরভরূপ-ধারণে পক্ষিশ্রেষ্ঠ নাম ধারণ করেন, ধিনি ষোগীশ্বর, যিনি চন্দ্রাঙ্কশেখর ও যিনি সৰ্ব্বাত্মা এবং এ জগতে র্যাহাকে সৰ্ব্বেশ্বর বলা যায়, তাহার চরণে আমার একবার, কুইবার, তিনবার, চারিবার, পাচবার, দশবার আধবা সহস্রবার নমস্কার, কিম্বা পরিমাণের কি প্রয়োজন, আমার অপরিমিত অনন্ত সেই চরণে ভূয়োভূয়: নমস্কার । ৯০–৯৪ । স্থত বলিলেন;–মৃসিংহ এইরূপ অক্টোত্তরশত অমৃতময় নামে স্তব করিয়া পরমেশ্বরসকাশে পুনৰ্ব্বার প্রার্থনা করিতে প্রবৃত্ত হইলেন । হে পরমেশ্বর। যখন আমার অহঙ্কার-দূষিত অজ্ঞান হইবে, সে সময় তাহা অপনোদনে ক্ষাস্ত থাকিবেন না। নরকেশরী এইরূপ প্রার্থনা করিয়া সাত্ত্বিক-জুস্তকরণ হইলেন । নৃসিংহ এইরূপ প্রার্থনা করিলে বীরভদ্র বলিলেন, হে বিষ্ণে ! ভূমি অশক্ত হইয়াছ বলিয়াই যাহাড়ে তোমার জীবনান্ত হয়, এইরূপ পরাজিত্ব হইয়াছ। এই বলিয়া তৎক্ষণাং বিষ্ণুর মুণ্ড কাটিয়া লইলেম, পরে সেই ইতস্ততঃ বিচলিত বিচ্ছিন্ন কলেবরের চৰ্ম্ম কাটিয়া লইয়া মাত্র শুভ্র অস্থি শেষ করিয়া ক্ষান্ত হইলেন। দেবগণ বলিলেন;–হে বীরভদ্র ! আজ এই ব্ৰহ্মাদি দেবগণ মেঘবর্ষণে পাদপের স্থায় তোমার দৃষ্টিপাত মাত্রেই জীবিত হইলেন। ইহার ভয়ে, অগ্নি দাহিকাশক্তি ধারণ করেন ও হুর্য্য উদিত খঙেছেন, বায়ু নিরন্তর বহিতেছেন, এবং মৃত্যুও ধাৰিত হইতেছেন ; তুমিই সেই পরমপুরুষ। হে ভগব বীরভদ্র । পুরাণ ব্রাবাদীরাষ্টোৰকেই অব্যক্ত চিনাকাশময় কালাতীত পরম সাপৰ বলি থাকে। ও রূপলাবণ্যধনের পরম খামৰ বিভি সহি। এ জগতে খুশিই যে পরমেশ্বর, এইমাত্র দিত আছি। দিগকে পরিত্রাণ করিও। হে একাদশরূপিন্‌! তুমিই ভগবান ও তুমিই বিগ্রহধারী হর। হে শিব ! ঈশ তোমার অনেক অনেক অবতার-চরিত্র নিরীক্ষণ করিছি। এক্ষণে এই প্রার্থন যে, কখন যেন তমঃ আসিয়া জামাদিগকে আশ্রয় না করে ও গুবীয় চিস্তা যেন কখন বিনষ্ট না হয় । হে হর! আপনার গুঞ্জবৃক্ষাম পৰ্ব্বতের তটসদৃশ জলপ্ত রূপ। হে রুদ্ৰ ! বেদবিশারদেরা আপনার দুই তনু বলিয়া থাকেন। । এক ম্বোরা তনু, অপর শিবাতনু প্রত্যেকে অনেক ভাগে বিভক্ত। হে জগবন্‌ ! এজগতে নিয়ত ভীষণ মহাবলপরাক্রান্ত অরিগণকে হনন করিয়া আমাদিগকে বিপৎসমুদ্র হইতে পরিত্রণ করুন। হে পালক ! এ জগৎ আপনারই তেজে পরিব্যাপ্ত, ব্ৰহ্মা বিষ্ণু ইশ্র চন্দ্র প্রভৃতি দেবগণ ও অমুরাদি আপন হইতে উৎপন্ন হইয়াছেন, হে মহেশ্বর। আজ ঐ নৃসিংহকে পরাভব করিয়া ব্রহ্ম, বিষ্ণু, ইত্ৰ, যম প্রভৃতি সুরগণ ও অমুরগণকে অসীম বিপদ হইতে রক্ষা করিলেন। হে দেব ! আপনিই যেহেতু স্বীয় তনুকে স্থৰ্য্যাদি অষ্টমূৰ্ত্তিতে বিভাগ করিয়া ত্ৰিভুবনস্থ সকলকে ধারণ করিতেছেন ; অতএব এক্ষণেও এই রক্ষিত দেবগণের অভীষ্টদানে মনোবাঞ্জা পুর্ণ করুন। ৯৫-১১০ । তাহার পর দেবদেব সেই সুরগণ ও মহর্ষিগণকে বলিলেন, যেমন জলে জল, দুগ্ধে দুগ্ধ, স্কৃতে ঘৃত, লীন হইয়া থাকে ; সেই প্রকার এই নৃসিংহরূপী বিষ্ণুও আমাতে লীন হইয়াছেন, আমরা উভয়ে ভিন্ন নহি জানিবে। এই মহাবলদৰ্পকারী নৃসিংহই জগতের সংহারকরিতে প্রবৃত্ত আছেন, যাহারা আমাতে ভক্তিমান হইয়া সিদ্ধি কামনা করেন, তাহারা ঐ নৃসিংহকেই পূজা করুন, ঐ নৃসিংহই তোমাদের পূজনীয় ও উর্হাকেই নিরস্তুর নমস্কার কর। ভগবা মহাবল বীরভদ্র এই কথা বলিয়া সেই দেবগণের সম্মুখেই অদৃপ্ত ভাবে : অন্তৰ্হিত হইলেন। শঙ্করের সেই অবধিই মৃসিংহচর্শ্ব স্বসন হইল ; সেই নৃসিংহের ছিন্নমস্তকই মুগুমালার মধ্যস্থলে মধ্যষণিস্বরূপ ভাসমান হইতে লাগিল। তাহার পর দেবগণ নির্ভয় হইয়৷ এই . উপাখ্যান কীৰ্ত্তন করতে করিতে বিশ্বক্ষৰিকলিতলোচলে শ্ব স্ব স্থানে গমন করিলেন। জে এই শিৰলোকের জোপান, বিষ্ণুমায়ালিষ্ণরক পরম খঞ্জদ, সৰ্ব্বভূক্ত নিবারক বাতিলপ্রব, যোগসিদ্ধি-সাধনশিবজ্ঞানপ্রকাশক পন্ধির পরম উপাঞ্চল পাঠ করে বা শ্রবণ করে, তাহার সকল দুঃখ দূর হয়, ধন্যবশঃ