পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পুৰ্ব্বভাগ ঐ গুপ্ত শাঙ্গ-ধমুর অগ্রভাগদ্বারা তাহারই মস্তক ছেদন করিলেন। অনন্তর বিষ্ণুর সেই পতিত ছিন্ন মস্তক নিশ্বাসবায়ুম্বারা রসাতলে প্রেরণ করিলেন। তাহার পর তিনি সেই ক্ষের যজ্ঞস্থলে গমুন করিলেন। অনন্তর প্রবেশে সেই স্থলের গৃহ সকল দগ্ধ হইতে লাগিল, ও কলশ যুপকাঠ তোরণ প্রভৃতি ভগ্ন হইতে লাগিল দেখিয়া যজ্ঞ সেইস্থান হইতে ভয়ে পলায়ন করিলেন। বীরভদ্র যজ্ঞকে মৃগরপধারণে আকাশমার্গে পলায়ন করিতে দেখিয়া, তাহাকে আক্রমণে গ্রহণ করত তাহার মস্তক দেহু হইতে দ্বিখণ্ড করিয়া দিলেন। পরে সেই বীর বীরভদ্র প্রজাপতি ধৰ্ম্মকে, জগদগুরু কগুপকে, মুনি অঙ্গির ও কৃশাশ্বকে, বহুপুত্রকে, মুনীন্ত্র অরিষ্টনেমিকে মস্তকে পদাঘাত করিলেন । অনস্তর দক্ষের শিরশেছদন করিয়া অগ্নিতে দগ্ধ করিলেন এবং সরস্বতী ও দেবমাতার নধাগ্রে নাসিকা চ্ছেদন করিয়া, জয়লক্ষ্মীপরিবৃত হইয়৷ মহা প্রতাপে শ্মশানে ভগবান ক্ষেত্রপালের স্থায় সেই মৃত দেবমুনিসঙ্কুল স্থানে অবস্থান করিয়া আছেন, এমন সময় ভগবান পদ্ধধোনি মঙ্গলপ্রার্থী হইয় প্রণতভাবে বলিলেন;–হে ভদ্র । আর ক্রোধে প্রয়োজন নাই, সকল দেবগণ নষ্ট হইয়াছে, এক্ষণে প্রসন্ন হইয়। ক্ষমা প্রদানে সকল অনুচরের সহিত ক্ষান্ত হউন। পরমেষ্ঠী ব্ৰহ্মার প্রভাববলে বীরভদ্রও র্তাহার আজ্ঞায় শাস্তভাব অবলম্বন করিলেন। ভগবান্‌ সৰ্ব্বলোকমহেশ্বর বৃষধ্বজও স্বীযুগণে পরিবেষ্টিত হইয়া অন্তরীক্ষে আবির্ভূত হুইলেন। ভগবান লক্ষ তাঁহাকে অবলোকন করিয়া আনন্দোৎফুল্পলোচনে প্রার্থনা করিল। ভূতভাবন ভবপতিও সেই সকল নিহতগণের পূৰ্ব্বমত শরীর প্রদান করিলেন ও মহাত্মা বিষ্ণু ও ইন্দ্রের পূৰ্ব্বমত মস্তক ধোজিত করিলেন এবং দক্ষের অজ-মস্তক যোজনা করিলেন । এইরূপে দক্ষ চৈতন্ত পাইয়া কৃতাঞ্জলিপুটে, উত্থিত হইয়া, দেব-দেবেশ্বর শঙ্করের স্তব করিতে লাগিলেন। মহাতেজ বৃষকেতু দক্ষের স্তবে সন্তুষ্ট হইয়া বিবিধ বরদান করত গাণপত্য প্রদান করিলেন এবং অন্তান্ত দেবগণ ও সেই পরমেশ্বরের স্তব করিতে লাগিলেন। ভগবান নারায়ণও কৃতাঞ্জলিপুটে স্তব করিতে লাগিলেন। আর ব্রহ্মা ও অন্যান্ত মুনিগণ সকলে পৃথক পৃথক অনাদিনিধন নীলকণ্ঠের স্তব করিতে লাগিলেন। হিডিছক ভব র্তাহীয়ে স্তবে প্রসন্ন হইয়া সেই সকল দেবগণকে অনুগ্রহ বিতরণ করিয়া অস্তুৰ্ছিত হইলেন । ৩৯-৫১। শততম অধ্যাপ্ত সমাপ্ত। একাধিকশততম অধ্যায়। ঋষিরা বললেন,—হে রোমহর্ষণ! সতী কি প্রকারে হিমালয়ের কল্প হইলেন । আর কিছুই বা দেবদেবকে পুনরায় পতিলাভ করিলেন, তাহা বৰ্মা করুন। স্থত বলিলেন, সেই সতী স্বীর ইচ্ছায় মেনকPও হিমালয়ের আরাধনা করিয়া সেই মেনদেহে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া, হিমালয়দুহিতারূপে জন্মগ্রহণ করিলেন। গিরিরাজ যথাসময়ে স্বীয় দুহিতার জাতকৰ্ম্মাদি সমাপন করিলেন। পরে পাৰ্ব্বতী যখন নিজের বয়স দ্বাদশবৎসর পূর্ণ হইল, তখন তপস্তা করিতে প্রবৃত্ত হইলেন এবং তাহার সঙ্গে তাহার অন্যান্ত কনিষ্ঠ ভগিনী সৰ্ব্বলোক-নমস্কৃত দেবীগণও তপক্ষা করিতে লাগিলেন। সকল ঋষিগণ দেবীর এই প্রকার তপস্তা দেখিয়া চতুদিকে বেষ্টন রুরিয়া উপবেশন করুত স্তব করিতে লাগিলেন । উষ্ঠাদের মধ্যে জ্যেষ্ঠ ভগিনীর নাম অৰ্পণ, দ্বিতীয়ার নাম একপর্ণা, তৃতীয় ভগিনীর নাম বরারোহ একপাটলা ছিল। ঐ মহাদেবীর অপোবলে সৰ্ব্বভুতপতি ভব, মহাদেবী পাৰ্ব্বতীর বশীভুত হইলেন। যে সময় দেবী সতী দেহ ত্যাগ করেন, সে সময় মহাতেজ তারক নামে অতি প্রবল পরাক্রান্ত এক দানব তারক নামে অমুরের ঔরসে জন্মগ্রহণ করে। সেই তারকামুরের ; জ্যেষ্ঠের নাম মহাস্কর তারকাঙ্ক, মধ্যমের নাম &াভাবন বিদ্যুন্মালী, কনিষ্ঠের নাম মহাবীর কমলাক্ষ। ইহাদিগের পিতামহ মহাবল তারাসুর প্রন্থ ব্রহ্মার প্রসাদে অতিশয় বীরত্ব লাভ করে। পুৰ্ব্বে সেই মহাতেজা তার এই চরাচর জগৎ জয় করিয়া বিষ্ণুকে পৰ্য্যস্ত জয় করে। বিষ্ণুর সহিত সেই দানবের দিব্য সহস্ৰ বৎসর নিয়ত ভীষণ রোমাঞ্চজন্মক দিবারাত্র অবিরত সংগ্রাম হয়, পরে সেই তুৰ্দ্দম দানব গরুড়ধ্বজকে রথের সহিত শতযোজন দূরে নিক্ষেপ করে। বিষ্ণু এইরূপে সেই দানবকর্তৃক পরাজিত হইয়া পলায়ন করেন এবং পরে পিতামহ ব্ৰহ্মার निकd *७७१ दद्र शांठ कंद्रउ नंज७५ रुण e ত্ৰিজগৎকে লাভ করিয়াছিল। ১-১৪ স্বাস্থার পর তাহার পুত্র তারকামুরুক্তি পুত্রের সহিত দেবেন্ত্র - প্রভৃতি দেবগণকে পরাজিত করি স্বীয় মাগে তাহাদিগের সর্বলোকসঞ্চায়রোধ করে। ঐ সকল পারলেন না, এবং কাহাকে শরণাণ্ড পাইলেন ।