পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> y* বৃহস্পতির নিকট শরণাপন্ন ভুইয়া সকলের সন্নিধানে । বলিতে আরম্ভ করিলেন। ভগবন! রাখাল যেরূপ বংসগণকে তাড়না করে, সেইরূপ দুর্জর তারতনয় অরক্ষান্থর আমাদিগকে তড়িত করছে। হে বৃহস্পতে ভীষণ সংগ্রামে এই সকল দেবগণ তৎকর্তৃক পরাজিত হইয়া পিঞ্জরস্থিত বিহঙ্গের স্থায় নিয়ালয় হইয়া ইতস্তত: ভ্রমণ করিতেছেন হে মুরগুরো! আমাদিগের যে সকল অমোঘ অমোঘ অস্ত্র ছিল, আজ সেই সকল ঐ প্রবল শত্রু-সকাশে বিফল হইয়া-গিয়ছে ; ভগবান বিষ্ণু তাহার সহিত বিংশতিসহস্ৰ বৎসর নিয়ত যুদ্ধ করিলেন, তথাপিও তাহাকে বিনাশ করিতে সমর্থ হইলেন না । যে অহরকে প্রভু বিষ্ণু পৰ্যন্তও পরাজয় করিতে সমর্থ হইলেম না, হে গীম্পতে! কেমন করিয়া অম্মদৃবিধ দেৰগণ তাহার সহিত সম্মুখসমরে অবস্থান করিতেও সমর্থ হইবে ? সকল দেবগণের সহিত শত্রু এই প্রকার বলিলে পর, বৃহস্পতি ইন্দের সহিত কুশধ্বজ ব্ৰহ্মার নিকটে আগত হইয়া সকল বৃত্তাস্তু নিবেদন করিলেন। প্ৰণতপালক ব্ৰহ্মাও বৃহস্পতি-মুখে ঐ বৃত্তান্ত সাদরে শ্রবণ করিয়া সকল ইস্রাদি দেবগণের সহিত বৃহস্পতিকে বলিলেন, হে স্নেহভাজনগণ! দেবগণের ধে এইরূপ পীড়া উপস্থিত হইয়াছে, তাহা অামি জ্ঞাত আছি ; তাহা হইলেও কি জন্ত নিশ্চিন্ত আছি, তাহা শ্রবণ কর। সৰ্ব্বলোক, নমস্কৃত যে রুদ্রাঙ্গসস্তুবা দেবী সতী পিতা দক্ষকের্ণনন্দ করির নিজ সর্তদেহ ত্যাগ করুত পুনৰ্ব্বার গিরিরাজ হিমালয়ের দুহিতারূপে জন্ম গ্রহণ করিয়াছেন,৫হ মুরশ্রেষ্ঠগণ! এই জন্মে তোমরা আবার তাহার অখিল মোহন রূপে রুদ্রের মন হরণ করিতে যত্নবান হও। যেহেতু তাহদের উভয়ের মিলনে অখিল লোকনমস্থত বীৰ্য্যবান যড়ানন দ্বাদশভূজ, শক্তিধর কুমার কাৰ্ত্তিকেয় মামে এক অনুপম ৰীর জন্মগ্রহণ করবেন। প্তাহার ক্ষদ, শাল্য, বিশালা, নৈগমেয় এবং জন্মস্থানভেঙ্গে পাবী, স্বাহে গজে, ও শামজ প্রভৃতি ল হইবে। সেইই বীৰ্য্যবান মহাপুরুষই তোমাদিগের দোপণ্ডি হইয় সেনানী নাম ধারণ করবেন। একাকী नहे नशमन बांगक श्रेञ्चs पक्लीनांझ थदन उनकস্করভর্মংহার করিয়া দেবগণকে পন্ধিরণ করবেন। হটপ্লংকরণ হইয় সকল ক্ষেণের সহিতদেব গ্রন্ধকে শতু এখাৰ কক্ষ হন্ধেপর্বতের শিখরে আগমন গুগল পাক কাম কুডির সহিত উথায় উপস্থিত হইয়া ইত্ৰ ও তাঁহাকে নমস্কার করুণ্ড কৃতাঞ্জলিপুটে বলিলেন, হে বৃহস্পতে ! আপনি ধাহাকে কৃপাকটাকদীনে স্মরণ করিলেন, সেই আমি উপস্থিত হইয়াছি; এক্ষণে আমার যাহা কৰ্ত্তব্য আদেশ করিয়া আমার মনোভিলাষ পূরণ করুন। কামকে আগত দেখিয়া বৃহস্পতি বলিতে আরম্ভ করিলেন; কিন্তু ইত্ৰ নিজের বিরক্ষার উদ্রেকে উংসুক হইয়া গুরুকে সস্তাবনা করত ডাহার বলার সমকালেই কামকে বলিলেন ; হে মদন । আজ শঙ্করের সহিত অম্বিকার মুখমিলন ঘটাও। আর ঐ রতির সহিত মিলিত হইয় সেই পথ অবলম্বনে সন্ধান করিবে, যাহাতে সেই ভগবান অশ্বিকার সহিত রমণে প্রবৃত্ত হন। পরে সেই বিয়োগী, মহাদেব প্রিয়তম৷ ੇ লাভেও সন্তুষ্ট হুইয়া তোমাকে পরমগতি প্রদান করিবেন। শচীপতির এতাদৃশবাক্যশ্রবণে মীনকেতন সন্তুষ্টচিত্তে সুরপতি দেবেন্দ্রকে প্রণাম করিয়া ভগবান দেবদেবের আশ্রমে গমন করিতে উদযুক্ত হইলেন। পরে তথায় গমন করিয়া বসন্তসহায়ে সেই দেবদেবকে পাৰ্ব্বতীর সহিত মিলনবাসনায় সন্ধান করিতে প্রবৃত্ত হইলেন। দেবদেব ত্রিয়ম্বক মদনকে তাদৃশ কর্ঘ্যে প্রবৃত্ত দেখিয়া হান্ত করত ভালস্থ তৃতীয় নয়নে যেমন দেখিলেন, তৎক্ষণাং সেই নেত্র হইতে বহ্নি নির্গত হইয়া পার্শ্বস্থিত মদনকে দগ্ধ করিয়া ফেলিল। তখন রতি অধীরা হইয়। ৰিলাপ করিতে লাগিলেন, রতির এইরূপ বিলাপশ্ৰবণে দেবদেৰ বৃষধ্বজ তাহকে কৃপাকটাক্ষ-প্রদান বলিলেন; হে ভদ্রে ! তোমার পতি অনঙ্গ হইয়াও রতিকালে সকল কাৰ্য্য করবেন, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই। আর যে সময় ভগবান বিষ্ণু ভৃগুমুনির শাপে ও সৰ্ব্বলোকের হিতের নিমিত্ত বসুদেবতময়রূপে অবতীর্ণ হইবেন, তখন তাহার ষে পুত্র হইবে, তাহাকে তোমার পতি মদন বলিয়া জানিও। তখন কামপত্নী এইরূপে পত্তিকে লাভ করিয়া দেব রুদ্রকে প্রণাম করত মৃদু মৃদু হাসিতে হাসিতে বসম্ভের সহিত স্ব স্থানে প্রত্যাগমূল করিলেন । ১৫-৪৬ । " একাধিকশততম অধ্যায় সমাপ্ত । স্থত বললেন -হে ঋষিগণ পয়েমেৰী গীৰ্ব্বতী কলি কামকে ক্ষা করিলেন। স্বকত্রেই অংকে হইথ। ব্ৰহ্মার বাক্যে জগতের হিত ৰক্ষা ও ক্রীড়ার