পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিমিত্তও,যথাবিধি দেবী হৈমবতীকে বিবাহ করেন । ইহা বিস্তার করিয়া বলিতেছি শ্রবণ করুন;- যখন পাৰ্ব্বতী অদৃশ অনন্তসাধারণ সৰ্ব্বলোকসঙ্কর তপস্তা করিতে লাগিলেন, তখন স্বয়ং গন্ধুঘোমি ব্ৰক্ষা মরীচি প্রভৃতি মহর্ধির সহিত দেবীর আশ্রমে উপস্থিত হইলেন। তথায় আসিয়া সেই জগতের কারণ মহাদেবীকে প্রদক্ষিণ করিয়া বলিলেন, হে শৈলস্থতে । আপনি কি নিমিত্ত তপস্যা করিয়া এই ত্রিলোককে সস্তাপিত করিতেছেন ? জননি! আপনিই এ জগৎকে স্বজন করিয়াছেন ও সেই জগৎকে আপনারই বিনাশ করা কর্তব্য হইতেছে না। জননি। আপনিই স্বীয় তেজে এই ত্রিলোককে ধারণ করিয়া আছেন। হে বরদে ! যে দেবদেবের আমরা কিঙ্কর, ও খিনি আপনাকে স্বজন করিয়াছেন ; এবং র্যাহা ভিন্ন আপনি ক্ষশমাত্রও থাকেন না, হে অম্বিকে ! সেই স্ত্রীমান্‌ সৰ্ব্বলোকপতি ভৰ যে আপনার পতি হইবেন, ইহাতে কোনও সংশয় নাই; এই কথা বলিয় দেবীকে সমস্কার করিয়া নিরীক্ষণ করিতে করিতে গমন করিলেন । ব্রহ্মা গমন করিলে, পরে ভগবান্‌ পরমেশ্বর অনুগ্রহ করিবার নিমিত্ত দ্বিজরুপে সেই আশ্রমে উপস্থিত হইলেন। দেবী তাহার অলৌকিক দিপ্ত্যাদি-চিহ্নে পরমেশ্বর বলিয়া জানিতে পারিয়া নমস্কার করিলেন । সেই ব্রাহ্মণ-বেশধারী পরমেশ্বরকে মনের বাসনানু্যায়ী পূজা করিয়া স্তব করিতে লাগিলেন । তখন আর কপটবেশে থাকিতে ন প্লারিয়া অনুগ্রহ প্রকাশ করত গিরিরাজের কুলধৰ্ম্ম রক্ষাপূর্বক ঈষৎ হাসিতে হাসিতে বলিলেন ;–হে মহাদেবি ! আমি সাধুলোকের মধ্যে লীলা দেখাইবার নিমিত্ত তোমার স্বয়ম্বরে সৌম্যরূপ ধারণ পূৰ্ব্বক যাইয়া তোমার সহিত সঙ্গত হইব । এই কথা বলিয়া ভগবান্‌ ভূতপতি দিব্যনেত্রে দেবীকে অবলোকন করির স্বীয় ইষ্ট স্থানে গমন করিলেন ; এবং পার্ক্সতীও স্বীয় পুরে গমন করিলেন । মেনকা ও গিরিবর জুপুস্বিনী পাৰ্ব্বতীকে আগত দেখিয়া আনন্দীশ্রী বর্ষণ করিতে করিতে স্নেহভরে আলিঙ্গন ও চুম্বন করিয়া মনমথে সমাদর করিলেন। পরে তাহারা দেবক্ষেকের পাৰ্ব্বতীর সহিত যে তাদৃশ মন্ত্রণ হইয়াছে, অহা জানিতে না পারিয়া সৰ্ব্বলোকে বস্তার এ স্থি এবং ইস্ত্র, বহ্নি, স্বর্য, ই (অৰ্ধম, ভা, কিনা, প্রস্তুতি স্থৰ্যতো) কম, বরুণ, বা, চত্র, ঈশান, *ं G মুনিগণ, জশ্বিনীকুমারা, + y: স্বাদশ আদিত্য, গন্ধৰ্ব্ব, গরুড়, কক্ষ, (সিদ্ধ সাধ্য কিম্পুরুষ ও সৰ্পগণ) সমূদ্র, নর্দু,বেদ, মন্ত্র, জেঞ্জিদি,. উৎসব, পৰ্ব্বত, যজ্ঞ, হুৰ্য্যাদি গ্রহগণ, তেত্রিশ नरक्षक দেবতা ও তিনজন দেবতা এবং ডিসশত, তিন ডিম সহস্র দেবতা আর অঙ্গাষ্ঠ দেবগণ সন্ধুলে সেই পাৰ্ব্বত্নীর স্বয়ম্বরে উপস্থিত হইলেন। ১—২২ । অনন্তর দেবী শৈলসুতা সৰ্ব্বভরণভূষিত মৃত্যপরায়ণ অঙ্গর ও বিবিধ সৌন্দৰ্য্যশালী গন্ধৰ্ব্ব সিদ্ধ কিন্নুর কর্তৃক পরিবৃত্ত হইয়া নানা অলঙ্কারে অলঙ্কৃত সৰ্ব্বতোভদ্র বিমানারোহণে সেই সয়ম্বর-স্থলে উপনীত হইলেন ; বন্দিগণ র্তাহার সঙ্গে সঙ্গে নানাবিধ স্তব করিতে লাগিল। পাশ্বে সখী সন্ধ্য রত্নকিরণে বিভূষিত পুর্ণচন্দ্রসদৃশ শ্বেতাতপত্র গ্রহণ করিয়া আসিতে লাগিল এবং দিব্য স্ত্রীগণ চামর গ্রহণ করিয়া চতুর্দিকে ব্যঞ্জন করিতে লাগিল। আর জয় কঙ্কমজাত মালা গ্রহণ করিয়া ও বিজয়া ব্যঞ্জন গ্রহণ করিয়া সহগামিনী হইল। পরে যখন দেবী সভায় উপস্থিত হইয়া মালা গ্রহণ করিলেন, তখন বৃষধ্বজ লীলাবাসনায় শিশুরূপ ধারণ করিয়া দেবীর ক্রোড়ে শয়ন করিলেন। তাহা দেখিয়া সমাগত দেবগণ ঐ শিশু কে? ইহা মন্ত্রণা করিতে করিতে অতিশয় ক্ষুব্ধ হইলেন। তখন ইন্দ্র বক্স উত্তোলন করিয়া প্রহর করিতে উচ্চত্ত হইলেন। কিন্তু দেবদেব শিশুরূপেই লী" দেখাইবার নিমিত্ত ইন্দ্রকে সেই প্রহীরোমুখ ভাবেই স্তম্ভিত করিলেন। তখন আর বঞ্জলিংক্ষেপ বা হস্ত চালনা করিতে সমর্থ থাকিল না, কেবল চিত্রপ্রতলিকার স্তায় নিস্তব্ধ রহিলেন। ঐক্লপ বমও দণ্ড নিঃক্ষেপ করিতে উদ্‌যুক্ত হইয়া ইন্দ্রসদৃশ অবস্থা প্রাপ্ত হইলেন । নিষ্কৃতিও খড়গাঘাত করিতে উদ্‌যুক্ত হইয় এবং বরুণও নাগপাশ ক্ষেপ করিতে উদযুক্ত হইয়। শেষে তাশ অবস্থা প্রাপ্ত হইলেন। জলস্তর বায়ুধ্বজ যষ্টি উত্তোলন করিলেন ; চন্দ্র গদা নিক্ষেপ করিতে প্রবৃত্ত হইলেন ; দণ্ডধারিবর কুরের দ্বগুখিাতে সংহার করিতে উদ্যত হইলেন ; ঈশান তীব্র শূল উদ্যত করিলেন ; সকলেই সমান দশা প্রাপ্ত হইয় অনিৰ্ব্বচনীয় বিস্ময়পূর্ণ ভাবে কিঙ্কৰ্ত্তব্য-বিমূঢ় হইলেন। রুদ্রগণ শূল ক্ষেপ কড়ি, অষ্টবহু মুষলাঘাত করিতে ও দেবগণ মুঙ্গর নিক্ষেপ করিতে উদযুক্ত হইয়া সকলেই অদৃশ দুরবস্থার ভাগী হইলেন। জার 'অম্লান্ত দেবগণও মোহৰশে সেই প্রকার ঐ শিশুরলী ফ্লুেক্ষেকে প্রার করিতে উদযুক্ত হই। শেষে ভুক্তিত হইলেন । অনন্থিক্রেমে মন্তৰ কম্পিত জন্মি