পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৮২ চক্র নিক্ষেপ করতে উদযুক্ত হইলেন। কিন্তু সেই .দেবদেবের প্রভাৰে চক্র নিক্ষেপ বা হস্ত চালনা করিতে সমর্থ হইলেন না, কেবল নিস্তব্ধভাবে দগুীিমান রছিলেন স্থৰ্য্যও মোহবশে ক্রোধারক্ত হইয়া দস্তুদর্শনে ঐ শিশুকে নিরীক্ষণ করিতে লাগিলেন। কিন্তু সেই শিশুরূপী দেবদেবের দৃষ্টিপাতমাৱেই...সেই দন্তপংক্তি ভগ্ন হইয়া পতিত হইল। পরে সকলেরই ড়েজ, বল, উপায় সকলই স্তস্তিত করিলেন। দেবগণ এইরূপ অননুভূত অশ্রুতপূৰ্ব্ব দুর্দশাগ্রস্ত হইলে তখন ব্ৰহ্মা অতিশয় উদ্বিগ্ন হইয়া যাথার্থ্য জানিবার নিমিত্ত ধানে মগ্ন হইলেন । ধ্যানে দেখিলেন, ঐ উমাফ্রেড্রিন্থ শিশু স্বয়ং ভূতভাবন ভূতপতি। এইরূপ অবগত হইবামাত্র সবিস্ময়চিত্তে তৎক্ষণাংউ থিত হইয়৷ দেবদেবের চরণে নমস্কার করিয়া প্রাচীন পবিত্ৰাখ্যান সাম-সঙ্গীত ও গুহনামে স্তব করিতে লাগিলেন – হে পরমেশ ! আপনিই সৰ্ব্বলোকের স্রষ্টা ; আপনা হইতেই প্রকৃতি প্ৰবৰ্ত্তিত হইয়াছেন ; এজগতে আপনিই লোকের বুদ্ধি ; আপনিই অহঙ্কার; আপনিই ঈশ্বর ও আপনি ভূত ও ইলিয়গণের প্ৰবৰ্ত্তক। এবং আপনার দক্ষিণ বাহু হইতেই আমি পূৰ্ব্বে উৎপন্ন হইয়াছি ও বামবাহু হইতে বিষ্ণু উৎপন্ন হইয়াছেন। হে সৃষ্টিকারণ ! আর এই প্রকৃতি দেবী আপনার পত্নীরূপ ধারণ করিয়া এই জগতের কারণ হইয়াছেন। হে মহাদেব ! আপনার চরণে অংখ্য নমস্কার। হে মহাদেবি ! আপনাকেও নিয়ত নমস্কার করি। দেবেশ ! আমি আপনারই নিয়োগে ও আপনারই প্রসাদে এই প্রজা সকল ও এই সকল দেবগণকে স্বজন করিয়াছি। এক্ষণে আপনি প্রসন্ন হইয়৷ ইহাদিগকে পূৰ্ব্বভাব পাইতে শক্তি প্রদান করুন। ২৩-৪৭ । স্থত কহিলেন, পদ্মযোনি-ব্ৰহ্মা দেবদেব মহেশ্বরকে এইরূপ নিবেদন করিয়া, সেই স্বণ্ডিত দেবগণকে বলিলেন, হে দেবতাগণ ! সৰ্ব্বদেবনমস্কৃত দেবদেব ষে ঐরুপে এখানে আগমন করিয়াছেন, গুৈৰি তোমরা জানিতে পার নাই । অতএব ণ্ডেশরা মূঢ়মধ্যে পরিগণিত হইলে। এক্ষণে আর অল্প উপায় নাই; এস, আমুর শীঘ্রই নারায়ণের সহিত মুনিগণপরিবেষ্টিত হই, পরা মহেশ্বর মহেশ্বরীয় শাপ হই। ব্ৰন্থর এইরূপ আশে পাইয় দেবগণের মোহ দূর হইল ; তখন তাহার সেই স্বস্থিতাবস্থায় সেইখনেই মনে মনে ভক্তিকে সহায় করিয়া, দেবদেবকে প্ৰণাম করিলেন। খলন্তর দেবদেব স্তাহাজের সেই প্রকার গুক্তি দেখিয়া প্রসন্ন লিঙ্গপুরাণ হইলেন এবং ব্ৰহ্মার আজ্ঞায় পূৰ্ব্বাবস্থাপন্ন কুরিলেন। এইরূপ প্রসন্ন হইয়া পূৰ্ব্বভাব দানের পর ভূতভাবন ভগবামৃত্রিনেত্রভূষণ সকল দেবগণের পর্যন্ত অগোচর পরম অদ্ভুত হে ধারণ করিলেন । র্তাহার তেজে প্রতিহতবৃষ্টি হওয়াতে এই সকল ব্রহ্ম, ইস্ত্র, চন্দ্র, দিবাকর, যম প্রভৃতি দেবগণ রুদ্র ও সাধাগণের সহিত মিলিত হইয়া মহেশ্বর-সকাশে দিব্য চক্ষু প্রার্থন করিলেন। তাহদের প্রার্থনায় ভক্তবৎসল ভগবান্‌ শঙ্করও তাহাদিগকে নিখিল অদৃশু বস্তুরও দর্শনশক্তি, সম্পন্ন পরম চক্ষু প্রদান করিলেন এবং ভবানীর ও গিরিরাজের তাদৃশ শক্তিসম্পন্ন দিব্যনেত্র-দনে র্তাহাদের মনোভিলাষ পূরণ করলেন । এইরূপ অগোচর-গোচর ক্ষম দিবানেত্ৰ পাইয়া ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, ইন্দ্র প্রভৃতি দেবগণ মহেশের সেই অদ্ভুত অনুপম তেজঃপুঞ্জ-ব্যাপ্ত দিব্যমূৰ্ত্তি অবলোকন করিয়া, তখন এক অনিৰ্ব্বচনীয় জ্ঞানময় ভাবের ভাজন হইলেন। পরে মুনিগণ গণপতিগণের সহিত সেই দেবাদিদেবকে নমস্কার করিলেন । খেচর সিদ্ধচারণগণ পুষ্পবৃষ্টি করিতে লাগিলেন ; দেবদুদুভির গভীর মনোহর নদে সেই স্থল আনন্দময় হইয়া উঠিল। মুনিগণ স্তৰ করিতে লাগিলেন। শৈলাদি গণপতিগণ হৰ্ষমদে মত্ত হইলেন। পাৰ্ব্বতীর আনন্দ উথলিয়া উঠিল ; সেই সময় হৰ্ষোংফুল্লনয়ন দেবী সকল দিবোঁকসগণের সমক্ষে সুগন্ধি দিব্যমালা সেই ত্ৰিলোচনের চরণকমলে অপর্ণ করিলেন। তখন ব্রহ্মাদি দেবগণ যক্ষ রাক্ষস পন্নগের সহিত মিলিত হইয়ু সাধু সাধু বলিয়৷ সেই পাৰ্ব্বতীপুজিত পরমেশ্বরকে দেবীর সহিত নমস্কার করিলেন । ৪৮-৬৩ ! স্বাধিকশততম অধ্যায় সমাপ্ত র্যধিকশততম অধ্যায় । স্থত বলিলেন, অনন্তর কমলধোনি ব্রহ্মা ভগবান মহাদেবকে নমস্কার করিয়া ; কৃতাঞ্জলি হইয়া বিবাহ করিতে - নিবেদন করিলেন। ব্রহ্মার তাশ বাক্যশ্রবণে প্ৰভু ভূতপতি বাহা ইচ্ছা হয়, তাহাই অনুষ্ঠান কর এই কথা বলিলেন। মহেশের তাদৃশ বাক্যশ্রবণে উৎসাহিত হইয় গ্ৰন্ধা দেবের উৎসাহ বর্ধনের নিমিত্ত তৎক্ষণাং রত্ন-মর দিব্য পুর রচনা করিলেন। শিবের বিবাহ হইবে এই কথা শুনিয়া সাক্ষাৎ জড়ি, দলু, কঙ্ক, মুকালিকা; পুলোম, সুরম, সিংহিক, বিলত, সিদ্ধি, মায়, ক্রিয়, সাক্ষাং, দেবী দুর্গ, সুধা,