পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> Ro করিলে ওবিষয় অধিক আর কি বলিব, ধখন শিবের নিলা শুনিতে হইল, তখন নিশ্চয়ই বোধ হইতেছে বে আমি জুম্মান্তরে মহৎ পাপ উপার্জন করিয়াছি। ফেব্যক্তি শিবনিব্দ শ্রবণ করিয়া তৎক্ষণাৎ শিবমিন্দা করন্থে নিহত করিয়া স্বদেহ বিসর্জন দেয়, সে শিখলোকে গমন করিয়া শাশ্বত সুখের আশ্রয় হয় । যে ব্যক্তি শিবলিন্দাকারীর জিহ্বা উৎপাটন করে, সে একবিংশ কুল উদ্ধার করিয়া শিৰলোকে গমন করে। এখন মুগ্ধে ইচ্ছা দূরে থাকুক, সম্প্রতি স্বরাধম তোমাকে প্রথমে বিনাশ করিয়া শিবাস্ত্রে স্বীয় কলেবর পরিত্যাগ করিব। পূৰ্ব্বে জননী আমাকে যথার্থই বলিয়াছেন যে, “পুৰ্ব্বজন্মে আমরা কখনও শিবপুজা করি নাই," দেবকে এই কথা বলিয়া মন্ত্ৰবিং মহাতেজ উপমনু্য নিৰ্ভয়ে সেই শত্রুকে অথৰ্ব্বাস্ত্রে সংহার করিব, এইরূপ কৃতসংকল্প হইয়া ভস্মধার হইতে একমুষ্টি ভস্ম গ্রহণ করিয়া সেই শত্রুরূপী হর-উদ্দেশে অথৰ্ব্বাস্ত্র পরিত্যাগ করিলেন এবং ভয়ঙ্কর শব্দ করিলেন। পরে অমর সেই উপমনু স্বদেহ বিসর্জনে উদযুক্ত হইয়া আগ্নেয়ী ধারণা ( যোগাঙ্গবিশেষ ) ধ্যান করিয়া স্বদেহ দগ্ধ করিতে শুষ্ককাষ্ঠের স্তায় স্থির হইয়া রহিলেন। মুনি উপমনু এইরূপ স্বদেহবিসর্জনে উদ্‌যুক্ত হইলে, ভগবান ভগনেত্রহী উমাসহচর ধারণাযোগে সেই আগ্নেয়ী ধারণাকে নিবারণ করিলেন এবং নদীর আদেশে চন্দ্রক নামে গণকর্তৃক সেই কুলগ্নিসদৃশ অথৰ্ব্বাস্ত্রও সংস্থত হইল। পরে পরমের স্বীয় চন্দ্রাঙ্কশেখর মোহনরূপ প্রকাশ করিয়া উপমনুকে দর্শন দিলেন। সে সময় চতুর্দিকে দুগ্ধের হস্র ধারা ও দুর্থ-সমুদ্র, দধি প্রভৃতির সমুদ্র স্কৃত-সমুদ্র, ফলসমুদ্র ও নানাবিধ ভোজ্য ভক্ষ্যের এবং পিষ্টকের পৰ্ব্বত, সেই মুনিবালক উপমত্যুর নিমিত্ত চতুৰ্দ্দিকে বিরাজ করিতে লাগিল । বন্ধুজন-বেষ্টিত উপমনুকে লজ্জিতভাবে অবস্থিত দেখিয়া ভগবান ভূতভাবন গ্ৰীষ্কর স্বয়ংও লজ্জিত হইলেন, পরে স্মিতমুখী দেবীকে অবলোকন করিয়া ঈষৎ হাসিতে হাসিতে সে খলক উপমন্ত্রকে বললেন; হে মহাভাগ উপমেন্ধা! আজ বন্ধুক্ষণের সহিত যত ইচ্ছা স্বীয় অল্লিষিত বস্তু ভক্ষণ কর। আর দেখ, এই পৰ্ব্বতী জেম্বাই মাতা। আজ হইতে তুমি আমার পুত্র হইলে, অতএৰ এই সকল কুন্ধসমূদ্র, মধুসমূদ্র, निकल इज्रनु, जलनश्ञ्ज, क्ण ९८नश्क्स-| সমুজ, পিটকের পর্যন্ত ও নানাবিধ ভক্ষাভোজ্যের সমুদ্র তোমারই লিম্বিস্তু জাদিবে। হে উপমতো ! লিঙ্গপুরাণ । এই জগৎপিতা আমি তোমার পিতা, আর এই জগন্মাতা মহাভাগা পাৰ্ব্বতী তোমার মাতা জানিবে । আজ হইতে তোমাকে দেবত্ব ও শাশ্বত স্থান প্রদান করিলাম, এক্ষণে বর প্রদান করিতেছি যে, তোমার যাহা যাহা আছে, প্রার্থনা কর, ইহাতে কোনরূপ বিচার করিও না। এই কথা বলিয়া মহাদেব সেই বালক উপম্যুকে হস্ত প্রসারণ করত আলিঙ্গন করিয়া মস্তক চুম্বন করিলেন। পরে তোমার এই তনয়কে গ্রহণ কর বলিয়া দেবীর ক্রোড়ে প্রদান করিলেন। ভবানীও তনয়কে সম্নেহে অবলোকন করিয়া প্রীত হইয়া যোগৈশ্বৰ্য্য ও ব্রহ্মবিদ্যা প্রধান করিলেন। উপমনু দেবীসকাশে এই প্রকার বর ও কুমারত্ব প্রাপ্ত হইয়া হর্ষগদগদ বচনে মহাদেবকে স্তব করিতে লাগিলেন এবং সত্ত্বিকানুরাগী পরমেশ্বরকে ভূয়োভূয়: নমস্কার করিয়া কৃতাঞ্জলিপুটে প্রার্থনা করিলেন, হে দেবদেবেশ ! প্রসন্ন হইয়া এই বর দান করুন, যেন আপনাতে আমার অব্যভিচারিণী ভক্তি থাকে ও নিয়ত যেন আপনার সন্নিধ্য পাইতে বঞ্চিত ন হই । এইরূপ প্রার্থনা শুনিয়া ভূতপতি শঙ্কর ঈষৎ হাসিতে হাসিতে অভলষিত বর প্রদান করত অন্তৰ্হিত হইলেন। ২৫-৬৪ । সপ্তাধিক শততম অধ্যায় সমাপ্ত । 够 অষ্টাধিক শততম অধ্যায় । ঋষির বলিলেন ; ঐ উপমনুকে অক্লিষ্টকৰ্ম্ম কৃষ্ণ দেখিতে পাইয় তাহার সকাশে দিব্য পাশুপত ব্রত শিক্ষা করেন, ধীমান কৃষ্ণ সেই উপমন্ত্র্যসকাশে কিরূপে পাশুপত জ্ঞান লাভ করেন ? সেই পাপনাশিনী কথা কীৰ্ত্তন করিয়া আমাদিগকে নিষ্পাপ ও তষিয়ে শ্রবণবাঞ্ছা পূরণ করুন। স্থত বলিলেন, সনাতন পুরুষোত্তম বাসুদেবরূপ স্বেচ্ছাক্রমে অবতীর্ণ হইয়াও মনুষ্যত্বকে নিন্দ করিয়া স্বীয় দেহগুদ্ধি করেন। সেই সময় ভগবান বামুদেব স্বীয় পুত্রকামনায় তপস্যা করিতে উপমত্যুর আশ্রমে গমন করেন। সেখানে উপমমু মুনির সহিত সাক্ষাৎ হয়, তাহ দেখিতে পাইয়া বনমালী ভক্তিপূৰ্ব্বক তিনবার প্রক্ষিণ করিয়া সমস্কার করিলেন। ধীমান্‌ উপমত্যুর দর্শনমাত্রেই কৃষ্ণের কাজ ও কর্মুজ নিখিল মল দূৰীভূত হইল। পরে মহাঙ্গে উপমন্ত্র গাত্রে ভস্মলেপন করি সচিত্তে ঐক্ষককে বিপাশুপত