উত্তরভাগ । হন। শিবের স্থৰ্যরূপমূৰ্ত্তি দ্বাদশ প্রকার এবং উহা সৰ্ব্ববেদময় ও ধাগার্হ বলিয়া মুনিগণ উহারই ধাগ করেন। ঐহুর্বরূপী শিবের অমৃতসংক্ষক এক কলা আছে, তাহা সৰ্ব্বজীবের সঞ্জীবনী বলিয়া জগতে সৰ্ব্বদা পীত হইয়া থাকে। ঐ স্থৰ্য্যরূপী ধূর্জটির চন্দ্রসংজ্ঞক কিরণ আছে, তাহার ওষধিসমূহের সম্বৰ্দ্ধনাথ হিমবৃষ্টি করিয়া থাকে। ঐ স্থধ্যরূপী শঙ্কুর শুকুসংজ্ঞক রশ্মি আছে, তস্থার জগতে ধান্তাদিশম্ভপক্কতার হেতু উত্তাপ জন্মে। ঐ মূর্ধ্যাত্মক শিবের হরিকেশনামক কিরণ আছে, তাহা গ্রহনক্ষত্রাদির তেজঃপ্রদ বলিয়া প্রসিদ্ধ আছে এবং ঐ স্থৰ্য্যরূপী পরমেশ্বরের বিশ্বকৰ্ম্মানামক কিরণ বুধগ্রহের তেজের পোষক বলিয়া খ্যাত আছে ও বিশ্বব্যচ-নামক কিরণ শুক্রগ্রহের পোষক বলিয়া খ্যাত আছে। ১-১৩। এবং ঐ হর্ঘ্যরূপী শূলপাণির সংঘৰমুনামক যে কিরণ আছে, তাহা মঙ্গলগ্রহের কাস্তিপুষ্টি করে। সেই স্বৰ্য্যরূপী শিবের অৰ্ব্বাবলু নামে রশ্মি বৃহস্পতির পুষ্টিসাধন করে। উইার স্বরাটু নামে বিখ্যাত রশ্মি শনিগ্রহের পুষ্টিসাধন করে। ঐ স্থৰ্য্যরূপী বিশ্বঘোনি দেব উমাপতির স্বযুদ্মনামক রশ্মি সৰ্ব্বদা চন্দ্রকে পরিপুষ্ট করে। ১৪–১৭ । জগদগুরু কালান্তক শঙ্করের নিখিল শাস্ত কিরণজালের প্রকৃতিরূপিণী চন্দ্রনামক মূৰ্ত্তি যাবৎ শরীরিগণের শ্রেষ্ঠ ধাতু শুক্ররূপে অবস্থান করেন। ঐ মূৰ্ত্তি শরীরিগণের মনেতেও অবস্থান করেন। দেব শস্তুর ষোড়শকলারূপে বিভিন্ন ঐ চন্দ্রমুক্তি যাবৎ জীবের দেহে অবস্থান করিতেছেন এবং সৰ্ব্বনিম্নস্তা দেবদেবের ঐ মূৰ্ত্তি অমৃতম্বারা সৰ্ব্বদা দেব ও পিতৃগণের পুষ্টিসাধন করেন ; চন্দ্রমূৰ্ত্তি দেহিগণের দেহশুদ্ধির জন্ত রসসঞ্চার দ্বার ওষধিসমূহ পরিবর্ধন করেন। ভবানীকেই ঐ মুক্তি বলিয়া বিবেচনা করিবে। উমাপতির ঐ চন্দ্ররূপ শরীর, যজ্ঞ তপস্যা ও জীবগণের প্রভুরূপে প্রসিদ্ধ। ভগবানের ঐ মূৰ্ত্তিই জলপতি ও ওষধিনাথ বলিয়া বিখ্যাত। আত্মীনা-বিবেকিগণ র্যাহার অস্তিত্ব স্থির করিয়াছেন, a。登 মন্তরে প্রণের সহিত একত্র অবস্থিত ঐ লুৰাৰু উমাপতির প্রধান জলময়ী মূৰ্ত্তির ব্রহ্মাণ্ডের অস্তরে বহিদেশে ও জীবগণের শরীরে জলরূপে অবস্থান করেন এবং নদনদী ও সমুদ্র ঐ সৰ্ব্বব্যাপিনী পরমামূৰ্ত্তির সাক্ষাৎ দর্শন সৰ্ব্বদাই লাভ করা যায় ও ঐপবিত্র মূৰ্ত্তি স্কুলজীবের জীবন রক্ষা করিতেছেন। ১৮-৩২ । শস্তুর যে মূৰ্ত্তি অগ্নিতে অবস্থিত, সেই পরমপূজনীয়া ঈশ্বরী অগ্নিমূৰ্ত্তি ব্ৰহ্মাণ্ডের অস্তরে ও বহির্দেশে এবং যজ্ঞসমূহের শরীরে অবস্থান করেন ও জীবগণের কুশলার্থে শরীরে জঠরাগ্নিরূপে অবস্থিত আছেন। ঐ মূৰ্ত্তির একোনপঞ্চশত ভেদ আছে ইহা বেদবিদগণ কহিয়া থাকেন। উহার যজ্ঞাত্মক; মূৰ্ত্তি ব্রাহ্মণগণকর্তৃক দেবতোদেশে ও পিতৃলোকোদেশে যথাক্রমে হয়মান হবাকব্যরূপ দ্রব্যজাত তাহাদিগের নিকট বহন করেন এবং শস্তু পূৰ্ব্বোক্ত অগ্নিরূপ দেহকে বেদশাস্ত্রজ্ঞেরা সৰ্ব্ববেদময় কহেন ও তাহাতে যথাবিধি যাগ করেন এবং শিবের বায়ুমুৰ্ত্তি ব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যে ও বহির্দেশে অবস্থিত আছেন ও জীবগণের শরীরে প্রাণাদি পঞ্চ নাগকূৰ্ম্মাদি পঞ্চ ও আবহাদি পৃথকৃরূপে অবস্থান করেন। প্রভুর আকাশমুৰ্ত্তি ব্ৰহ্মাণ্ডের মধ্যে বহির্দেশে ও জীবগণের শরীরে সর্বত্রই অবস্থান করেন, এবং ব্রাহ্মণগণের মুখ্য দেবতাস্বরূপ শস্তৃর বিশ্বস্তুর মূৰ্ত্তি স্থাবর-জঙ্গমাত্মক অখিল বিশ্বকে ধারণ । ঐ চরাচরস্থিত জীৰগণের শরীর শিবের পঞ্চমূৰ্ত্তি দ্বারাই নিৰ্ম্মিত হয়। ধীমান দেবদেব মহাদেবের পঞ্চভূত, স্থৰ্য্য, চন্দ্র, ও আত্মা এই আটট মূৰ্ত্তি ইহাঙ্গুনিগণ কহিয়া থাকেন এবং আত্মা তাহার অষ্টমী মূৰ্ত্তি, উহার সংজ্ঞ যজমান। ইনিই সকল স্থাবর-জঙ্গমের শরীরে অবস্থান করেন। মুদিগণ দীক্ষিত ব্রাহ্মণকেই আত্মা কহিয়া থাকেন, উহাই মঙ্গলদাতা শিবের ধজমানাধ্যা মূৰ্ত্তি। এক্ষণে মঙ্গলকাজী মানবগণকর্তৃক সযত্নে সৰ্ব্বদা মঙ্গলের একমাত্র হেতু এই অষ্টশিবমূৰ্ত্তির বম্বন কৰ্ত্তব্য ॥৩৩—৪৬ ॥ দ্বাদশ অধ্যায় সমাপ্ত । ബ ত্ৰয়োদশ অধ্যায় । সনৎকুমার কহিলেন, মন্দি পুনরায় উমাপতি শিবের অষ্টমূৰ্ত্তির মহিম আমাকে বলুন। মণিকেশ্বর কছিলেন, হে সনৎকুমার! সৰ্ব্বব্যাপী পরমাঙ্কা দেব ! উমাপতির অষ্টমুক্তির মহিম তোমাকে কহিতেছি শ্রী কর । সৰ্ব্বশাস্ত্র-পারদর্শী পণ্ডিতগণ নিখিল প্রপঞ্চের
