পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} o করেন । অশ্লীল বাক্য কীৰ্ত্তন করিবে না, পরদোষ জানিলেও প্রকাশ করিবে না, ব্রাহ্মণের পক্ষে এই প্রকার শ্রুতি আছে, এটাও সত্য। আপৎকাল উপঞ্জিত অর্থাং পোধ্যবর্গ অধিক হইতে থাকিলেও বিচারপূর্বক মন ও বাক্যদ্বার ও পরদ্রব্যের অনাদনকে অস্তেয় কহে, ইহ সংক্ষেপে কহিলাম। মানসিক, বাচনিক, কায়িক ও ফ্রিয় মৃক মৈথুনের অনিচ্ছাই ব্রহ্মচৰ্য্য ; এই ব্রহ্মচৰ্য্য যতি ও ব্রহ্মচারিগণের বিশেষতঃ অবিবাহিত ব্রহ্মচারিগণের এবং সদার গৃহস্থগণের কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য, এই স্থলে তোমাদের নিকট আমি বলিতেছি । স্বদারে যথাশস্ত্রি উপভোগাদি করিয়া পরদরে মানসিক, কায়িক ও ক্রিয়াত্মক মৈথুনের অপ্রবৃত্তিই ব্রহ্মচৰ্য্য —সাধুগণ, এইটাই সৰ্ব্বদ স্মরণ করিয়া থাকেন। করিবে । গৃহস্থব্যক্তি এই প্রকার করিলে যুক্তাত্মা অর্থাং যোগসংলগ্নমনা ও ব্রহ্মচারী হয়, এই বিষয়ে কোন সংশয় নাই । দ্বিজ, গুর ও অগ্নিপূজনে হিংসাকার্যা অহিংস হইয়া থাকে , কেন না, যথাশ৫ি যে হিংসা হয়, তাহাকেই অহিংস বলিয়৷ মনীষিগণ নির্দেশ করেন। বনিতাবৃন্দ, সাধুগণের সর্বদ। পরিত্যাজ্য, বিচক্ষণ ব্যক্তি যেমন শবের সহিত সঙ্গত হইতে ইচ্ছা করেন না ; সেইরূপ সাধুপুরুধ তাহ ৮ দিগের সহিত সঙ্গম করিতে চেষ্টা করিবে না। যেমন বিষ্ঠ মুত্র পরিত্যাগ কাল উপস্থিত হইলে বহির্ভুমি গমনে ইচ্ছা হয় ; রতিকাল উপস্থিত হইলে &দারেতেও সেই প্রকার মতি করিবে, পরস্ত্রীর প্রতি এরূপ করা নিষিদ্ধ। ১৩—২২ । নারী তপ্তাঙ্গার সদৃশ, পুরুষ ঘৃতকুন্ত সদৃশ ; সেই হেতুক নারীসংসর্গ দূরত: পরিহার করিবে। বিচার করিয়া দেখিলে ভোগদ্বারা মেধ্য নারী সম্ভোগ করিয়া স্নান । i | লিঙ্গপুরাণ । সেই জন্ত সকল বিষয়ে বিরাগ করা উচিত। মন, বাক্যদেহ ও কৰ্ম্মধারা রতি নিবৃত্তিকে ব্রহ্মচৰ্য্য বলিয়৷ মনীষিগণ, স্মরণ করিয়া থাকেন। সংক্ষেপে আটপ্রকার যোগসাধনের অন্তর্ভূত “যম বলিলাম ; এক্ষণে নিয়ম কাহাকে বলে, তাহ তোমাদের নিকট বলিতেছি যথা-শৌচ, যাগ, তপস্ত, সংপাত্রে যথাশাস্ত্র অর্পণ, বেদধ্যয়ন, উপস্থনিগ্রহ, ব্রত, উপবাস, মোন, স্নান, এই দশ প্রকার নিয়ম। অনীহ, শৌচ, তুষ্টি, তপ, জপ, পদ্মক স্বস্তিকাদি আসন এই কয়টিও নিয়ম। বাহ ও আভ্যন্তর শেীচের সাধ্য আভ্যন্তর শৌচই প্রধান । বাহ শোঁচে যুক্ত হইয়া আভ্যন্তর শৌচ আচরণ করিবে ; আর ভস্ম স্নান, উদকমান, মন্ত্রস্নান এই কয়প্রকার স্নান শিবপূজকগণের করা উচিত ২৮-৩১ । অন্তঃশৌচবর্জিত পুরুষ আমরণকাল মৃত্তিক লেপনপূর্বক তীৰ্থজলে অবগাহন করিলেও মলিনবং প্রতাত হয় । হে দ্বিজসত্তমগণ শৈবাল, ঋষক, মংস্যাদি প্রাণিগণ ও মংস্তোপজীবিগণ, ইহর। সকলে জলে বিচরণ করে বলিয়া কি বিশুদ্ধ হইতে পারে ? সেই হেতু যথাবিধি আভ্যন্তর শৌচ নিরস্তর করিবে । বিশুদ্ধভাবে উত্তম বৈরাগ্য মৃত্তিকদ্বারা একবার দেহ বিলেপন করিয়৷ আত্মজ্ঞানরূপ জলে স্নান করিলে মানব শুদ্ধ হয় ; এই প্রকার আভ্যন্তর শৌচ কীৰ্ত্তন করিলাম । আভ্যন্তর শুদ্ধ পুরুষেরই অভীষ্ট লাভ হয়, অশুদ্ধ পুরুষের সিদ্ধি কদাচ দেখিতে পাওয়া যায় না ; স্তায়াগত বৃত্তি দ্বার যে পুরুষ সন্তুষ্ট হয়, সেই সুব্রতই চিরসন্তোষসম্পন্ন। ৩৩-৩৭ ধনাদিলাভে সকলের সস্তোষ জন্মে বটে ; কিন্তু সে সন্তোষ অচিরস্থায়ী, এজন্ত তাহ। সন্তোষই নহে। চিরস্থায়ী সন্তোষকে সাধুগণ সন্তোষ বিষয়ের প্তি জন্মে না ; সেই জষ্ঠ মন, কৰ্ম্ম, ও পদবাচা কহেন। অবিদ্যমান বিষয়ে চিন্ত না করাই রাজ্যদ্বার বিরাগ উপস্থিত করিবার চেষ্টা করিবে কেন না, বিষয়ের উপভোগে কাম কখনও শান্তিলাভ করিতে পারে না; বরং বঙ্কিত হইতে থাকে। যেমন বহ্নি তার উত্তরোত্তর বদ্ধিত হইয় থাকে, কখনও "uলাভ করিতে দেখা যায় না । সেই হেতুক মোক্ষের জন্ত যোগীর কাম সৰ্ব্বদ। ত্যাগ করা উচিত ; যেহেতু অবিরাগী মনুষ্য নানাযোনিক্ষে ভ্রমণ করে। হে শ্রুতিস্কৃতিজ্ঞানবিদুপ্রবর যোগিগণ মানবের কর্তৃত্বভিমান ত্যাগ করিয়া অমৃতত্ব লাভ করিয়া থাকে , সহস্ৰ বংসর অগ্নিহোত্রাদি যাগ করিলেও নরকবারণ শতপুত্র জন্মিলেও বহুবিধ ফলসাধন ধনদান করিলেও অনীহ। প্রণব-জপই স্বাধ্যায় কথিত হইল ; সেই প্রণব-জপ অর্থাৎ স্বাধ্যায় তিন প্রকার যথা—বাচ. নিক প্রণব-জপ অধম, উপাংশুজপ মুখ্য, মানস-জপ উত্তম হইতেও উত্তম, পঞ্চাক্ষর কল্পে উক্ত জপসবিস্তররূপে বণিত হইয়াছে এবং মন বাকা, দেহও কৰ্ম্মস্বারা শিবের উপাসনাকে শিবপ্রণিধান শিবজ্ঞান জানিবে। আচল সুপ্রতিষ্ঠিত গুরুভক্তিই শিবজ্ঞান বিষয়াসক্ত ইন্দ্রিয়সমূহ দূরীকরণ করিলে নিগ্রহ হয়, সেই নিগ্রহই প্রত্যাহার। চিত্তের স্থানে বন্ধন অর্থাৎ পূৰ্ব্বোক্ত হৃদয়াদি-স্থানে বিষয়ুজালের আকর্ষণই ধারণ এই ধারণা সংক্ষেপে বৰ্ণিত হইল। ৩৮–৪২ ৷ ধ্যান মানলগণ, অমৃতত্ত্ব লাভ করিতে পারে না। ২৩-২৭ । s ও বিচার দ্বারা পরিণার মুস্থত নিবন্ধন সমাধি হয়