পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

፶ow ক্ষেত্র ও ক্ষেত্রবিদ উভয়ই স্বয়স্থর রূপমাত্র, তদন্ত কিছুই নাই। ঐ জন্মমৃত্যু-বিরহিত অপর ব্রহ্মরূপীপ্রভু মহাদেবকে কেহ কেহ পরব্রহ্ম বলিয়া নির্দেশ করেন একারণ জীবগণের ইঞ্জিয়ের বিষয় শঙ্কাদি ভগবান,অপরব্রহ্ম ও পরব্রহ্মস্বরূপ উক্ত উভয়ই স্বয়ন্ত পরমেশ্বর শঙ্করের রূপ ; শিবভিন্ন কিছুই নাই, সকলই শিবময় ; কোন কোন পণ্ডিত ঐ শঙ্করকে বিদ্যা ও অবিদ্যাস্বরূপী কহেন। মুনিগণ ঐ জগংষ্ট ও জগৎপাত আদিদেব মহেশ্বরকে বিদ্যা ও তদ্ভিন্ন নিখিল ব্রহ্মাওকে অবিদ্যারূপ বলিয়া থাকেন, সেই উভয়ই ভগবানের রূপাত্তর । কোন কোন বেদজ্ঞমুনিগণ বিদ্যা ও অবিদ্যাতীত পরম শিবস্বরূপতা প্রাপ্ত হইয়াছেন। সকলে নিজ যোগপ্রভাবে বিষযবিজ্ঞানকে ভ্রাস্তি কহে, অস্থারূপে প্রপঞ্চজ্ঞানকে বিদ্যা কহে এবং সংশয় ও প্ত জ্ঞানকে পরমতত্ত্ব কহে, উহাই প্রভুর তৃতীয় রূপ অন্ত কিছুই নাই সকলই জ্ঞানময়। জগৎপাত জগৎশ্রষ্ট ঐ পরমেশ্বর শিব ব্যক্ত-অব্যক্তরূপী এবং জ্ঞ বলিয়া অভিহিত হন। পণ্ডিতগণ ব্যক্তশব্দে চতুৰ্ব্বিংশতি তত্ত্ব অব্যক্তশব্দে পরমপ্রকৃতি এবং জ্ঞ শব্দে সত্ত্বদি-গুণভোগী পুরুষকে নির্দেশ করিয কহেন। পরিদৃশুমান যাবৎ প্রপঞ্চই শিবৰূপ; শিবভিন্ন কিছুই নাই। ১৩—২৬। পঞ্চদশ অধ্যায়ু সমাপ্ত । ষোড়শ অধ্যায় । সনৎকুমার কহিলেন, হে হুবুদ্ধে নদিনৃ! মুনিগণ বহুতর বাক্যদ্বারা যাহা কীৰ্ত্তন করিয়াছেন, সেই শিবস্বরূপ পুনরায় শ্রবণ করিতে ইচ্ছা করিতেছি, আপনি বলুন। শৈলাদি কহিলেন, হে মুনে। পূৰ্ব্বতন মুনিগণ কর্তৃক নানারূপে কীৰ্ত্তিত সেই শিবরূপ পুনঃপুনঃ তোমাকে কহিতেছি শ্রবণ কর। বেদসমুদ্রের পাষণ আচাৰ্য্য মুনিগণ ঈশ্বরকে ক্ষেত্ৰজ্ঞ প্রকৃতি ব্যক্ত ও কালরূপী বলিয়া নির্দেশ করেন এবং ঐ ক্ষেত্ৰজ্ঞকে পুরুষ, প্রকৃতিকে প্রধান, ব্যক্তকে প্রকৃতি ৰিকার-সমুদয় প্রপঞ্চ এবং প্রকৃতিও ব্যুক্তের পরিণামের একমাত্র কারণকে কালরূপে কহিয়া থাকেন। ঐ চতুষ্টয় ঈশ্বরের রূপ মাত্র । কোন কোন জাচাৰ্য্যগণ ব্যক্তরূপী প্রধান পুরুষ পরমেশ্বর শিবকে হিরণ্যগৰ্ড কহিয়া । ব্ৰহ্ম এই বিশ্বের অষ্ট, প্রধান পুরুষ বিষ্ণু তাহার ভোক্ত, এই প্রপঞ্চের নাম ব্যঞ্জ, প্রকৃডিইহার লিঙ্গপুরাণ প্রধান কারণ এই চারিট শিবের রূপচতুষ্টয়মাত্র। শঙ্কর হইতে ভিন্ন কোন বস্তু নাই সকলই শিবময়। ঈশ্বর পিগুজাতিস্বরূপ অর্থাৎ যাবস্থ্যক্তিস্বরূপ ; কারণ নিখিল স্থাবর-জঙ্গমের শরীর পিওরূপে কীৰ্ত্তিত হয় এবং ঐ জাতিশব্দে সমস্ত সামান্ত দ্রব্যাত্রিয়বৃত্তি সত্ত্বাকে মহাসামান্ত বলিয়া নির্দেশ করেন তৎসমুদ্রায় ধীমান শিবের স্বরূপ। ঈশ্বরকে কেহ কেহ বিরাট ও হিরণ্যগর্ভরূপী কহেন, হিরণ্যগৰ্ভশব্দে জগতের কারণ ও বিরাষ্ট্রশকে বিশ্বরূপ অভিহিত হয়। পরমেশ্বরকে কেহ কেহ ব্যাকৃত অর্থাং প্রকাশ ও অব্যাকৃত অপ্রকাশু এবং স্থত্ররূপে নির্দেশ করেন । মণিগণ শ্নেরূপ সূত্রে অবস্থান করে, তদ্রুপ লোকসকল র্যাহাকে আশ্রয় করিয়াই সংসারে ভ্রমণ করিতেছে, সেই অসামান্ত ক্ষমতাশালীকেই স্বত্র বলিয়। জানিবে । ১-১৩। কেহ কেহ ঐ স্বয়ংপ্রকাশ স্বয়ংবেদ্য পরমেশ্বর স্বয়তুকে অন্তৰ্বামী এবং পর বলিয়া নির্দেশ করেন। ঐ শিব সৰ্ব্বভূতের আত্মারূপী এজন্য অন্তর্যামী ও সৰ্ব্বভূত হইতে পৃথক বলিয়া পররূপে অভিহিত হন। পরমেশ্বর শিব শস্তু শঙ্কর ও পরমাত্মা ঐ তুরীয় শিবের প্রাঙ্গ, তৈজস ও বিশ্বসংজ্ঞক রূপত্রয় জানিবে এবং বিরাট হিরণ্যগর্ভ ও অব্যাকৃতাদি অপরনামক পূৰ্ব্বোক্ত প্রাজ্ঞাদিরূপত্ৰয়ই মুযুপ্তি স্বল্প ও জাগ্ৰং এই অবস্থাত্রয়ুরূপে অভিহিত। ঐ অবস্থত্রয়বী তুরীয় শিবের জগংস্কৃষ্টি স্থিতি ও সংহারের যথাক্রমে কারণ ব্ৰহ্মা বিষ্ণু ও রুদ্র এই অবস্থাত্রয় পণ্ডিতেরা কীৰ্ত্তন করেন ; দেহিগণ ঈশ্বরের ব্রহ্মা বিষ্ণু ও রুদ্র এই অবস্থাত্রয়কে ভক্তিপূর্বক আরাধনা করিয়া মুক্তি লাভ করে, কৰ্ত্ত ক্রিয়া কাৰ্য্য করণ এই চারিট পরমাত্মার রূপ বলিয়া পণ্ডিতেরা কীৰ্ত্তন করেন এবং প্রমাতা প্রমাণ প্রমেয় ও প্রমিতি এই চারিট শিবের চারিরূপ, ইহাতে সন্দেহ নাই। যেরূপ সমুদ্রের তরঙ্গসকল সমুদ্রেরই বিকার, অদ্রুপ ঈশ্বর অব্যাকৃত ; প্রাণ বিরাট পঞ্চভূত ও ইন্দ্রিয় ঐ সকলই ভগবান্‌ শিবের বিকারমাত্র। পরমেশ্বর জগতের অসাধারণ কারণ ; ঐ কারণকে বেজ্ঞেরা অব্যক্ত প্রকৃতিরূপে নির্দেশ করেন। শিবরূপ কহিয়া থাকেন । শিব পরমাত্মাস্বরূপ, যেরূপ উন্থী সলিল হইতে উৎপন্ন হয় কিন্তু তৎসমুদয়ই সলিলেরই রূপ, তেমনি ঐ শিব হইঙে সমূৎপন্ন পঞ্চবিংশতিতত্ত্ব শিবস্বরূপ বলিয়া মনীষিগণ কীৰ্ত্তন করেন; এবং যেমন হুবর্ণ ও বলয় সুবর্ণেরই বিকার, মুক্তিকাধিকারস্বরূপ যেমন বট অঙ্কপ সদাশিবাদি ঈশ্বরের সগুণতত্ত্ব পরমাখা আঁত কিছুই