পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ । তার মধ্যে বাহানশুষ্ঠ চিত্তের একগ্রাতাই ধান। অর্থমাত্রে চিদাম্ভাস অর্থাৎ যে অবস্থায় চিং-চৈতন্তই ভাসমান হয়; স্থূল, লিঙ্গ ও ক্ষ, এই ত্রিবিধ শরীরের লীনাবস্থায় অবস্থানকে সমাধি বলিয়! ও ধান সমাধির কারণই প্রাণায়াম, ইহা জানিবে। প্রাণবায়ু স্বদেহ হইতেই জন্মিয় থাকে ধম, সেই প্রাণবায়ুর নিরোধক ; সাধুগণ যমকে আবার তিনরূপে । বিভক্ত করিয়াছেন, যথা মন্দ মধ্যম ও উত্তম। প্রাণ ও অপমবায়ুর নিরোধের নাম প্রাণায়াম, সেই প্রাণায়ামের পরিমাণ দ্বাদশমাত্র। অর্থাং নিমেষ উন্মেষকালে প্রাণ ও অপানবায়ুর গতি দ্বাদশ অঙ্গুলি পরিমাণ জানিবে । ৪৩-৪৬ । প্রণয়ামকালে নীচাবস্থায় দ্বাদশ অমুল উদঘাতাবস্থায় দ্বাদশ অঙ্গুল, , মধ্যমাবস্থায় চতুৰ্ব্বিংশতি অক্ষুলি-পরিমিত বায়ুর গতি হয়। কেবল মুখ্য অবস্থায় যট্‌ক্রিংশং অঙ্গুলি পরিমিত বায়ুর গতি হয়। যথাক্রমে ঐ কয় অবস্থায় প্রস্বেদ, কম্পন, উত্থানজনক বায়ু হইয়া থাকে। আনন্দ ও । যোগ এই উভয়ের লাভের জষ্ঠ নিদ্রাভাস, দর্শন, রোমাঞ্চ, লমরসদৃশ গুঞ্জনপূর্ণ, আসনবন্ধদিকালে নিজের অঙ্গমোড়ন, কম্পন, অর্থাং আনন্দের আন্দোলন, স্বেদজনিত ভ্রমণ, দ্যাস, সম্বিংসূৰ্চ্চা এই কয়টি যুংকালে হয়, তৎকালে অত্যুত্তম এবং সুশোভন প্রাণায়াম কথিত হইয়াছে । যোগ অবলম্বন করিয়া যে ব্যক্তি প্রাণায়াম অভ্যাস করে, সেই ব্যক্তির কথন বাসন জন্মিবে না। এইরূপে অভ্যন্তমান প্রাণবায়ু, যোগিগণের মানসিক, কল্পিক দোষ সকল দহন করে । এবং সম্যক্রুপে প্রাণায়াম অভ্যাসকারী হুবুদ্ধি যোগীর দেহও রক্ষা করিয়া থাকে। প্রাণায়াম দ্বার স্বৰ্গীয় শাস্ত্যাদিগণ যথাক্রমে সিদ্ধ হয়। শাস্তি, প্রশাস্তি, দীপ্তি ও প্রসাদ—হে দ্বিজগণ ! শান্তি এই | স্থলে এই চতুষ্টয়ের আদীভূত কথিত হইয়াছে। স্বাভাবিক ও আগস্তৃক পাপ সকলের শান্তি হয় বলিয়া শাস্তির “শাক্তি" নাম নিদিষ্ট হইয়াছে। যথাশাস্ত্র বাক্যের সংযমই প্রশান্তি । হে দ্বিজগণ ! সৰ্ব্বদ সৰ্ব্বপ্রকারে প্রকাশের নাম দীপ্তি। সকল ইলিয়ের প্রসন্নতা বুদ্ধি ও প্রাণবায়ু সকলের প্রসন্নতা এবং ! মানসিক প্রসন্নত শাস্ত্যাদি চতুষ্টয়ের অন্তর্গত প্রসাদ । বলিয়া উক্ত হইয়াছে। প্রাণ,অপান, সমান, উদান, ব্যান, নাগ, কুৰ্ম্ম, কূকর, দেবদত্ত, ধনঞ্জনয় এই প্রাণ- | বায়ুর যে প্রসাদ, তাহারও “প্রসাদ” নাম নির্দিষ্ট । হইয়াছে। যে বায়ু হইতে প্রয়াণ হইয়া থাকে, সেই বায়ুর নাম "প্রাণ" এবং আহারাদির অপনয়ন করে Y } বলিয় “অপনি" নাম নিদিষ্ট হইয়াছে । ম্বে বাধ অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে বিশেষরূপে আনত করে এবং ব্যাধি প্রভৃতির প্রকোপক হয় ; সেই বায়ুর নাম “ব্যান ।” যে বায়ু, মৰ্ম্মস্থান সকলকে উদ্বেজিত করে ; ফ্লাহ উদান নামে প্রকীৰ্ত্তিত। যে বায়ু, যুগপৎগাত্রব্যাপক হয়, তাহার নাম সমান। যথাক্রমে এই পঞ্চবায়ু কথিত হইল। উদগারে নাগবায়ু উন্মীলনে কৰ্ম্ম নামক বায়ু। বিস্তৃগুণ অর্থাং হাইতোলাবিষয়ে দেবদত্ত নামক বায়ু, মহাশদকারী ও সৰ্ব্বব্যাপী ধনঞ্জয় বায়ু জানিবে { ৪৭—৬৬ ৷ যে পুরুষ, প্রাণায়াম দ্বারা পূৰ্ব্বোক্ত দশ বায়ুর সিদ্ধি লাভ করিতে পারে, বিপ্রগণ! সেই পুরুষের শাস্ত্যাদি চতুষ্টয়ের অন্তর্গত প্রসন্নত। তুরীয় সংজ্ঞক অর্থাং মোক্ষ ফলোপযোগী হয়। বিস্বর, মহং প্রজ্ঞা, মন, ব্ৰহ্মা, চৈতন্ত, স্মরণ, খ্যাতি, সম্বিং, ঈশ্বর, মতি, হে দ্বিজগণ! এই কয়টি মহত্তত্ত্বরূপ বুদ্ধির সংজ্ঞ। প্রাণায়াম দ্বারা এই বুদ্ধির প্রসাদ সিদ্ধ হয়। হে মুনিশ্রেষ্ঠগণ দ্বন্দুবিশ্বরীভাবই বিশ্বর, যিনি সৰ্ব্বতত্ত্বের অগ্রজ ও পরিমাণে শ্ৰেষ্ঠ ; তিনিই মহৎ । যেটি প্রমাণের গুহাস্বরূপ ; সেইটিই প্রজ্ঞ, যেটী মনন-উপায় স্বরূপ ; সেইটিই মন ; হে ব্রহ্মবিদগ্রগণ্য সাধুগণ যাহাতে বৃহত্ত্ব ও বুংহুণ তৃ আছে ; তিনি ব্রহ্ম। যেটি ভোগের গুপ্ত মুকল কৰ্ম্মে ব্যাপ্ত আছে, সেইটিই চিতি। লোকে যেটি স্মরণ করে, সেইটিই স্মৃতি । যাই। হইতে সকল লাজকরা যায়, সেইটিই সম্বিং অনেক প্রকাঃযেটি জ্ঞানাদি কষ্টক বিখ্যাত হয়, গিনি সকলতত্ত্বেঃঅধিপতি, যিনি সকল বিষয়ক জ্ঞানবান ; তিনিই ঈশ্বর নাহা হইতে মনন প্রমাণের বিষয়ু, ঘটে, হে মতিমং সাধুগণ! সেইটিই মতি, যেটি অর্থবোধক ও জ্ঞানের বিষয়, লোকে তাহকে বুদ্ধি বলিয়া কহে । ৬৭-৭৪ | প্রাণায়াম দ্বার। এই বুদ্ধির প্রসন্নত সিদ্ধ হয় । সংযমী পুরুষ প্রাণায়াম আশ্রয় করত সকল দোষ দহন এবং ধারণ ও প্রত্যাহার দ্বারা পাতক দহন করেন। বিষয় বিষবৎ মনে কুরিয়া ধান দ্বার অনীশ্বর গুণ সকলকেও দহন করেন । হে যতিশ্রেষ্ঠগণ! সমাধি দ্বারা প্রজ্ঞ। বদ্ধিতা করিবে এবং অনুক্রমে উত্তম স্থান লাভ কুরিয়া যোগের অষ্টাঙ্গ সকল অভ্যাস করিলে। আত্মৰিং ব্যক্তি, যোগসিদ্ধির নিমিত্ত বিধিবৎ স্বস্তিকাদি আসন সমুদায় লাভ করিতে চেষ্টা করিবে ; যে হেতুক গুরুর উপদেশ কালে যোগদর্শন कलाछ शग्न न! ॥ १4-१४ ॥ आध्रि अदिल्ले द BB KS KBBBSBg BSBB BBSB BBBBB