পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

"ט ל ভূমি তাহাদিগের মোক্ষরূপা হইবে।” জগত-গুরু শিব, পুত্রকামী ধানশীল পরমেষ্ঠীকে সেই চতুষ্পদ দান করিলেন । অনস্তর ব্ৰহ্ম ধ্যানযোগে তাঁহাকে পরমেশ্বরী জ্ঞান করিলেন এবং জগতস্বামী মহাদেব হইতে চতুপদ ফুহেশ্বরীকে প্রাপ্ত হইলেন। অনন্তর ব্রহ্ম অনু্যন্ত্রিত হইয়া রৌদ্রী গায়ুত্ৰধান করত বেদমন্তব। জ্ঞানদা রুদ্রদৈবতা সৰ্ব্বদেবনমস্কৃত, ইনিই সেই গ্নায়ত্রী, এইরূপ তাহাকে জপ করিয়া ধানযুক্তহৃদয়ে মহাদেবের শরণাপন্ন হইলেন। অতস্তর মহাদেব র্তাহাকে বহুশ্রুতি-দিব্যযোগ, ঐশ্বৰ্য্য, জ্ঞান, সম্পত্তি ও বৈরাগ্য দান করিলেন। অনস্তর উহার পার্শ্বে দিব্যকুমারগণ প্রাচুর্ভূত হইলেন, "মস্তকে পীতাভ উফৗষ পীতবদন, পীতকেশপুঞ্জ অনন্তর সেই কুমারের বিমলতেজস্বী, যোগাত্মা, তপস্ত}বিষয়ে আহলাদদাতা ও ব্রাহ্মণগণের হিতার্থী এবং ধৰ্ম্মবল ও যোগবল উপেত হইয়া মুনিগণ ও ব্রাহ্মণগণ সন্নিকটে বাস করত দীর্ঘসত্রি মুনিদিগকে মহাযোগ উপদেশ দিয়া ছুক্স বৎসরান্তে পুনরায় মহেশ্বরে প্রবিষ্ট হইলেন। যাহার এই উপায়ে মহেশ্বরের শরণাপন্ন হইবেন, হারা সকলে সংযতাত্মা জিতেন্দ্রিয় হইয়া পাপত্যাগ রত নিৰ্ম্মল ব্রহ্মতেজঃসম্পন্ন ও জন্মমরণাদি রহিত প্রেষ্টাইল। سس-د-R الا ত্রয়োদশ অধ্যায় সমাপ্ত । চতুর্দশ অধ্যায়। স্থত কহিলেন, পীতবর্ণ সেই কল্প গত হইলে স্বয়স্তু ব্ৰহ্মার পুনরায় অগ্রকল্প প্রবৃত্ত হইল ; সেই কল্পের নাম অসিত কল্প। দিব্যসহস্রবৎসর একর্ণিব হইলে ব্রহ্মা প্রজা স্বজন ইচ্ছাকরত দুঃখিতন্তঃকরণে চিন্তা করিলেন চিত্তনশীল পুত্র কালীধ্যানপরায়ণ পরমেষ্ঠীর একট কৃষ্ণবর্ণ পুত্র হইল। মহাতেজ ব্রহ্ম কুমার দর্শন করিড়েন। সেই কুমার কৃষ্ণবর্ণ, অতিশয় বীৰ্যবান তেজে, দীপ্যমান; তাহার পরিধেয় কৃষ্ণবর্ণ বসন, মস্তকে উীৰ কৃষ্ণবর্ণ; তিনি কৃষ্ণ যজ্ঞোপবীতধারী ༢ ལྕཝ cशे কৃষ্ণমাল্য ও কৃষ্ণচঙ্গনে অনুলিপ্ত , ব্ৰহ্মা এতাদৃশ পুত্রকে দর্শন করিয়া অভূত কৃষ্ণ ও পিঙ্গলবয়েবের ঘোর বিক্রম মাহাত্ম অথোরের বদন করলেন ; এবং প্রাণারামপর হইয়া মহেশ্বরকে অনস্তুর ব্রহ্ম অথেীরকে ব্রহ্মরূপে চিন্তা করলেন। লিঙ্গপুরাণ স্কোরবিক্রম অঘোর ধ্যানশীল পরমেষ্ঠীকে দর্শৰ্ম দিলেন অনন্তর ইহার পার্থে কৃষ্ণমাল্যামুলিপ্ত কৃষ্ণবর্ণ চব্লিট । মহাত্মা উৎপন্ন হইলেন ; কৃষ্ণান্ত, কৃষ্ণবস্ত্রবৃক্, কৃষ্ণবর্ণ শিখাযুক্ত সেই কুমারচতুষ্টয় সহস্ৰ বৎসর ব্যাপিয়া যোগদ্বারা মহেশ্বরের উপাসনা করিয়া শিষ্যদিকে মহাযোগ প্রদান করিলেন ; এবং পুনরায় যোগসম্পন্ন হইয়া মনোযোগদ্বারা শিবে প্রবেশপুৰ্ব্বক অমল নিৰ্গুণ জগময় ঈশ্বরে প্রবিষ্ট হইলেন। অন্ত র্যাহার এই প্রকার যোগদ্বারা মহাদেব চিন্তা করিবেন, তাহারাও অব্যয় রুদ্রে গমন করিবেন। ১—১৩ ৷ চতুর্দশ অধ্যায় সমাপ্ত। পঞ্চদশ অধ্যায় স্থত কহিলেন-কৃষ্ণবর্ণ ভয়ানক সেই কল্প গত হইলে ব্রহ্ম বৃষরূপীসেই দেবদেবেশ্বরকে স্তব করিলেন । অনন্তর হর অনুগৃহীত ও তুষ্ট হইয়া ব্ৰহ্মাকে কহিলেন। হেপরমেষ্টিন্‌! আমি এই রূপ দ্বারাই সকল সংহার করিব ; ইহা স্থির জানিবে। মহাভাগ! ভয়ঙ্কর ব্ৰহ্মহত্যাদি মহাপাতক ও অন্ত বিবিধ মহাপাতকও সংহার করিব। হে সুব্ৰত! উপপাতকও এই প্রকার মৎকর্তৃক সংস্থত হইবে। পিতামহ । অধিক আর কি বলিব, অতি ভয়ঙ্কর মানস বাচিক কায়িক প্রাসঙ্গিক, সাংসর্গিক, জ্ঞানকৃত, স্বাভাবিক, আগন্তুক যে সকল পুপি আছে, তাহাও বিনষ্ট হইবে। এবং মাতৃদেহ সমুংপন্ন পাতক, পিতৃদেহস্থিত পাতক আর যা কিছু পাতকরাশি আছে, তাহাও সংহার করিব, এ বিষয়ে কোন সংশয় নাই। লক্ষ অঘোর মন্ত্র জগ করিয়া ব্ৰহ্মহা ব্যক্তি মুক্তি লাভ করিবে। হে প্রভো ! বাচনিক পাপে লক্ষৗদ্ধ জপ, বৎস! মানস পাপে তদদ্ধ জপ, অজ্ঞানজ্ঞানকৃত পাপে ইহার চতুৰ্গুণ জপ, ক্রোধজ পাপে অষ্টগুণ উক্ত মন্ত্র জপ করিয়া পাপমুক্ত হয়। বীরহস্ত লক্ষ জপে বিশুদ্ধ হয়। ভ্রুণহ, কোটি জপ অভ্যাস করিবে মাতৃহা, নিযুত জপ করিয়া শুদ্ধ হইবে ; এবিষয়ে সংশয় নাই। গোস্বাতী, কৃতঘ্ন, স্ত্রীহস্তা, আর অস্ত মহাপাপযুক্ত নরও অযুত অঘোরমন্ত্র জপ করিলে পাপমুক্ত হইবে; এই বিষয়ে কোন সংশয় নাই। জ্ঞানপূর্বক অজ্ঞানপূৰ্ব্বক্ষ সুরাপায়ী লক্ষ জখোর মন্ত্র জপ করিলে পাপীষ্ঠ হইবে, ইহা স্থির জানিৰে। বরুণীপনকারী লক্ষার্ক জপ, অগ্নাক্ত ভোজী সহস্ৰ জপ করিয়া শুদ্ধ হইৰে । যে ব্রাহ্মণ ইষ্ট জপ না