পূৰ্ব্বভাগ। করে, উক্ত মন্ত্র সহস্র বার জপ তাহার প্রাযশ্চিত্ত। যে দ্বিজ অহউদ্রব্য ভোজন করে; সহস্র বার সেই মন্ত্র জপ করিলে তাহার শুদ্ধি হইবে । যে ব্যক্তি, দেবতা অতিথি বিপ্র ইহাদিগকে অন্ন দান্ত না করে, সহস্র অঘোর মন্ত্র জপে তাহার শুদ্ধি হইবে । যে ব্ৰহ্মশ্বের অপহৰ্ত্ত ও যে সুবর্ণচোর (অলীতিরত্তিক পরিমিত সুবর্ণকে সুবর্ণ কহে ) তাহার পক্ষে মনে মনে সেই মন্ত্রের নিযুত জপই শুদ্ধির কারণ জানিবে। গুরুতগ্রগামী, মাতৃহন্ত, ব্রহ্মস্থ ইহারাও সেই মন্ত্র নিযুত লার জপ করিবে তাহা হইলে তাহদের শুদ্ধি হুইবে । পিতামহ ! যদ্যপি পাপীব সম্পর্কে যে পাপ জন্মে, তাহাও তংতুল্য রূপে কথিত হইয়াছে; তথাপি অযুত জপ মাত্রেই সে পাপ ধ্বংস হইবে। জ্ঞানপূর্বক সংসৰ্গাধীন পাতকী হইলে মানস লক্ষজপ করিবে। যে ব্যক্তি, মনে মনে জপ না করিতে পারে ; সেই ব্যক্তি মানস চতুগুণ উপাংশু জপ বা অষ্টগুণ বাচনিক জপ করিবে। উপপাতকিগণের মহাপাতকীর অৰ্দ্ধ প্রায়শ্চিত্ত জানিবে। মহপাতক উপপাতক ভিন্ন পাপীর তদগ্ধ প্রায়শ্চিত্ত। এ বিষযে ব্ৰহ্মহত্য, হরাপান, হুবর্ণ চুরি, গুরুতগ্রগমন, এই সকল পাপ যদি ব্রাহ্মণ করে, তাহা হইলে সেই পাপকুৎ ব্রাহ্মণ, রুদ্রদৈবত্য গায়ত্রী পাঠ করিয়া কপিল গোর গোমুত্র গ্রহণ করিবে । গন্ধ দ্বারা দুরাধৰ্ষাং ইত্যাদি মন্ত্র দ্বার অস্পষ্ঠ ভূমি গোময় আহরণ করিবে ; পণ্ডিত ব্যক্তি তেজোহসি শুক্র ইত্যাদি মন্ত্র উচ্চারণ করত কাপিল ঘৃত পান করিবে। আপ্যায়স্ক ইত্যাদি মন্ত্র পাঠ করিয়া ক্ষীর, দধিক্রন্থেহুকার্ষং ইত্যাদি মন্ত্র দ্বারা অভিনব কপিলাদধি, দেবন্ত ত্বা সবিতুঃ ইত্যাদি মন্ত্র দ্বারা কুশোদক পান করিবে । কিম্বা অঘোর মন্ত্রদ্বারা সুবর্ণ পাত্রে একস্থ করিয়া শোভিত করিবে । কিম্বা তাম বা পদ্মপত্র বা শুভ পালাশদলে সকর্ট অর্থাৎ, পঞ্চগব্য সমবেত সৰ্ব্বরত্নযুক্ত কাঞ্চন ক্ষেপণ করিয়া প্লুতাদি দ্বারা হোম পূৰ্ব্বক আম্বোরাখ্য মন্ত্র লক্ষ করবে। য়ুত, চরু, সমিঃ তিল, যব ও ব্রীহি এই সকল দ্বারা পৃথক পৃথকৃ সাতবার করিয়া হোম করিবে। এই সকল দ্রব্যের আলাভে কেবল ঘ্নতত্ত্বার। অঘোর মন্ত্র মাত্র উচ্চারণ করত হোম করিয়া পুনরায় স্নান-করিবে। অষ্ট্র দ্রোণ পরিমিত ঘৃতত্বারা শিবকে স্বন করাইয়া পঞ্চগব্যে বিশোধন করিবে। অনস্তুর স্বয়ং অহোরাত্র উপবাসপুৰ্ব্বক স্নাত হইয়া শিবাগ্রে কুর্ট অর্থাং বিধি নিৰ্ম্মিত পঞ্চগব্য পান করবে। এবং যথাবিধি আচমন >> করিয়া ব্রাহ্ম গায়ত্রী জপ করিলে। এই প্রকার করিলে কুতন্ত্র, ব্ৰহ্মহা ইহারাও পাপমুক্ত হইবে। বীরহস্ত, গুরুত্বাতী, মিত্ৰ-বিশ্বাস-ঘাতক, স্তেী, সুবর্ণস্তেরী, নিরস্তুর, গুরুতঙ্গরত, মদ্যপ, বৃষলী সঙ্কু, পরদার বিকর্যক, ব্রহ্মস্ব অপহৰ্ত্ত, গোস্বাতী, মাতৃহা, পিতৃহা, দেবনাশকারী, লিঙ্গপ্রধ্বংসক, দ্বিজাতি এই প্রকার ইইলে পূৰ্ব্বোক্ত উপায় অবলম্বনপূর্বক শুদ্ধ হইবে। ১—২৯ । আর দ্বিজ যদি মানস বাচনিক ও কায়িক পাপ সহস্ৰ সহস্র বার করে, তাহা হইলে উক্ত উপায় দ্বার সদ্যোমুক্ত হইবে। আর জন্মান্তরে শত পাপ হইতেও মুক্ত হইবে । হে দ্বিজগণ । অঘোরেশ প্রসঙ্গাধীন এই গোপনীয় বিষয় তোমাদিগের নিকট প্রকাশ করিলাম। সেই জঙ্ক দ্বিজগণ পাপশুদ্ধির নিমিত্ত নিত্য এই মন্ত্রজপ করিবে॥ ১-৩২ ॥ পঞ্চদশ অধ্যায় সমাপ্ত। ষোড়শ অধ্যায়। . --- গুত কহিলেন, হে মুনিপুঙ্গবগণ । অনস্তর, ব্ৰহ্মা, অন্ত এক পবমাদ্ভূত কল্প আছে ; সেই কল্প বিশ্বরূপ এই নামে খ্যাত। প্রলয়কাল গত ও চরাচর স্বল্প হইলে পুত্র কামী ধ্যানশীল পরমেষ্ঠীর পুত্রীরূপে মহানাদ বিশ্বরূপ সৰুমতী অবতীর্ণ হইলেন। তিনি বিশ্বরূপ মাল্য - অম্বর ধারণ করিতেছিলেন। তিনি বিশ্ব যজ্ঞোপবীতিনী" নাহার মস্তকে বিশ্বরূপ উষ্ণৗষ, তিনি বিশ্বগন্ধা7 বিশ্বমাতা। ভগবান পিতামহ, শুদ্ধস্ফটিক সদৃশ সৰ্ব্বভৰুণ-ভূষিত বিশ্বরূপ পরমেশ্বরকে মানসিক ধ্যান করত যুক্তাত্ম হইয়া সৰ্ব্বব্যাপী স্লেই প্রভুকে বন্দন করিলেন। হে ঈশান ! তুমিই ব্ৰহ্ম ; অতএব তোমাকে নমস্কার। হে মহাদেব ! তোমাকে সমস্কার। হে পরমেশ্বর! তুমি সৰ্ব্ববিদ্যার অধিপতি, অতএব তোমাকে নমস্কার। হে বৃষভবাহন ! তুমি সৰ্ব্বভূতনিয়ন্ত তোমাকে নমস্কার। তুমিই ব্ৰহ্মার অধিপতি, তুমিই ব্ৰহ্ম.ও ব্রহ্মরূপী। হে ব্ৰহ্মাধিপতে! হে সদাশিব ! তোমাকে নমস্কার এবং আপনি আমাদিগের মঙ্গল বিধান করুন। হে ওঁকারমূৰ্ত্তে! দেবেশ! হে যুদ্যোজাত! তোমাকে সমস্কার করি ; আমি তোমার । শরণাপন্ন হইলাম। তুমি মরণ ওউৎপত্তি-বর্জিত; এবং অদৃষ্টাধীন জন্ম কোন কালেই তোমার সহব নাই। এই জস্ত তোমাকে নমস্কার করি। রে ভবোস্তুৰ! হে ঈশান ! হে মহাস্থ্যতে ! আমাকে ভজনা কর। হে বামদেব। তোমাকে ন ; তুর্ক্সি
