পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२० জ্যেষ্ঠ ও বরদ অতএব তোমাকে নমস্কার ; তুমি রুদ্র, কাল, ও রক্ষক তোমাকে শত শত নমস্কার করি। হে কালবৰ্ণ! হে বৰ্ণিম্ ! তোমাকে মনোরূপী নমস্কার ; ভূমি নিত্য বলাদিগের বল ও মনোস্বরূপ ! হে বলপ্রমথন। তুমিই বলী ও ব্রহ্মরূপী ; হে সৰ্ব্বভুতের ঈশ্বরী হে ভূতদমন! তোমাকে নমস্কার করি হে মহাদেব ! দেবরূপ তোমাকে নমস্কার করি "হে বামদেব ! হে রাম! হে মহাত্মন! তোমাকে নমস্কার! হে জ্যেষ্ঠ ! হে বরদ! তুমিই কালহস্ত ; হে মহাত্মন্‌! তোমাকে নমস্কার ; এই স্তবদ্বারা বৃষধ্বজকে প্রণাম করিলেন। যে ব্যক্তি এই মন্ত্যভূমে একবারও এই স্তব পাঠ করবেন; সেই ব্যক্তি ব্রহ্মলোকে গমন । করিবেন। ১—১৬। যে ব্যক্তি শ্ৰাদ্ধকালে ব্রাহ্মণ । দিগকে এই স্তব শোনাইৰে, সেই ব্যক্তি পরম গতি লাভ করিবে। ভগবান ঈশ, ধানগত প্রণত পিতামহকে এই প্রকার বলিলেন। তোমার স্তবে আমি প্রীত হইয়াছি, তুমি কি ইচ্ছা কর । অনন্তর তিনি প্রণত হইয়া প্রীতমানসে, বিশুদ্ধ, প্রীত মহেশ্বরকে কহিলেন যে, তোমার এই বিশ্বরূপ ও প্রেফুশী ঈশ্বরী বিশ্ব গো দর্শন করিতেছি ইনি কে ? ইহা জানিতে ইচ্ছা করি। হে পরমেশ্বর চতুপদ চতুর্মুখী চতুঃশুঙ্গী, চতুৰ্ব্বক্র, চতুৰ্দ্দংষ্ট্র, চতুস্তনী, চতুর্হস্ত, চতুনত্রী, এই সাক্ষাৎ ভগবতী কি প্রকারে বা ইনি বিশ্বরূপ হন, ইহার নাম কি ? গোত্রই বাকি ? ইনি কাহার কোন-কৰ্ম্মাধীন এবং কিরূপ শক্সিম্পন্ন ? বৃষধ্বজ তাহার বাক্যশ্রবণে, দেবশ্রেষ্ঠ আত্মসম্ভব ব্ৰহ্মাকে কহিলেন, সকল মন্ত্রের মধ্যে গোপনীয়, ধুবন, পুষ্টিবন্ধন আদি স্বষ্টি কালীন এই পরম গুর্থব্যয় শ্ৰবণ কর। বৰ্ত্তমান এই কল্প বিশ্বরূপ নামে অভিহিত । হে প্ৰভো! যে কল্পে তুমি এই ব্ৰহ্মপদ প্রাপ্ত হইয়াছে। হে দেব! আমার বামাঙ্গজাত বিকুণ্ঠাত্মজ বিষ্ণুও তোমা হইতে শ্রেষ্ঠতর পদ লাভ করিণছেন। তথা হইতে এই কল্প ত্রয়ন্ত্রিংশত্তম জানিবে। তোমার পূৰ্ব্বে শত লক্ষ ব্রহ্মা অতীত হইয়াছে। হে মহামতে ! সে বিষয় শ্রবণ কর। যে মাণ্ডব্য গেঢ়/ওপোবলে মনীয় পুত্রত্ব লাভ করিয়াছে এবং ধে আনন্দ্র সারুপে বিশূেন্ধ অবস্থিতি করিতেছে ; সেই ব্ৰহ্মরূপ আনন্দ জানিতে যোগ্য হইতেছে। ১৭-২৮। যোগ্য, সাংখ্য অর্থাৎ তত্ত্বজ্ঞান, তপ, (স্থাদি) বিদ্যা, বিধি, ক্রিয়, ঋতু (প্রিয়ঙ্কাৰ) সত, দং গ্রন্ধ (বোরকল ) অহিংসা, সন্মতি, , ক্ষম, ধ্যান, ধোয়, ( ঈশ্বর সমিধান ) দম (ইঞ্জিয় লিঙ্গপুরাণ নিগ্রহ) শাস্তি, বিখ্যা (আত্মজ্ঞান) অবিদ্যা (মায় } মতি (বুদ্ধি) বৃতি (ধৈৰ্য্য) কাত্তি নীতি, পৃথা (খ)তি ) মেধা, লজ্জা, দৃষ্টি (দিব্যজ্ঞান ) সরস্বতী (বাণী ) তুষ্ট (সন্তোষ ) পুষ্টি (বেদবিহিত কৰ্ম্ম ) প্রসাদ এই উত্তম গুণসকল তোমাতেই প্রতিষ্ঠিত। হে মন । এই বিশ্বরূপ তোমার প্রন্থতি, ইনিই দ্বাত্রিংশ অক্ষররাপা অকারাদি বর্ণরূপ । স্থাত্রিংশং গুণ প্রকৃতিই মংকর্তৃক উৎপাদিত হইয়াছেন। হে প্রভো! ইনি ভগবৎ বিষ্ণুরও প্রস্থতি বলিয়৷ অন্ত দেবতাগণেরও প্রস্তুতি জানিবে। সেই এই ভগবতী মংপ্রস্থতি ( মৎসন্নিধন হেতু যাহা হইতে প্রজার উৎপত্তি হয় ) ইনিই জগংযোনি চতুর্মুখী প্রধান, ইনিই গো এই নামে প্রতিষ্ঠিত। ২৯-৩০। ইনিই গৌরী, মায়, বিদ্যা, কু , হৈমবতী তত্ত্বাস্তিকগণ ইহঁকে প্রধান ও প্রকৃতি এইরূপে ব্যবহার করেন, তাহাকে অজা (নিত্য) এক লোহিতা (রজোগুণ স্বরূপ ) শুক্ল কুষ্ণ (সত্ত্ব তমোগুণ স্বরূপা) সমানরূপা বিশ্বপ্রজাপ্রসবিনী জানিব । আমিই অজ আমাকে বিশ্বরূপ আর ইহঁাকে ধিস্বরূপ গো জানিবে ; ইনিই সেই গায়ত্রী। মহাদেব এই প্রকার বলিয়। স্বজন করিলেন। অনস্তর, দেবীর পার্শ্বগামী স্বৰ্ব্বরূপ কুমারগণ উৎপন্ন হইল । তাহারা কেহ জটী, কেহ মুণ্ড, কেহুব শিখণ্ড, কেহব অদমুণ্ডী । অনস্তুর তাহারণ যথোক্ত যোগদ্বারা অতি তেজস্বী হইনু মহাদেবের উপাসন - পূর্বক অখিল ধৰ্ম্মোপদেশ দিয়া শিষ্ট ও নিয়তাত্ম হইয়ু স্বৰ্গীয় সহস্ৰ বৎসরান্তে জগদীশ্বর রুদ্রে প্রবিষ্ট ইন ॥ ৩৪-৩৯ { ষোড়শ অধ্যায় সমাপ্ত । সপ্তদশ অধ্যায় । ভূত কহিলেন,—এই প্রকার সংক্ষেপে সদ্যাদি জন্ম কথিত হইল। যে ব্যক্তি ইহা পাঠ ও শ্রবণ করে ও ব্রাহ্মণকে শ্রবণ করায় সে ব্যক্তি পরমেষ্ঠীর প্রসাদে-ব্রহ্মসাধুজ্য প্রাপ্ত হয়। শৌনকাদি ঋষিগণ কহিলেন, কিরূপে লিঙ্গ উৎপন্ন হুইল ; কিরূপে লিঙ্গে শঙ্করকে পূজা করিয়া থাকে । লিঙ্গ বা কে ? লিঙ্গী বা কে ? হে স্থত! তুমি বলিতে সমর্থ, ইহা আমাদিগকে বল রোমহর্ষণ কহিলেন-দেব ও ঋষিগণ পিতামহ ব্ৰহ্মাকে প্রণতপুৰ্ব্বক জিজ্ঞাসা করিলেন, হে ভগব। লিঙ্গ কিরূপে স্বয়ং উৎপন্ন হইয়ছিলেন এবং লিঙ্গে মহেশ্বর রুদ্র কি হেতু পূজা হন।