পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্বভাগ। 及冰 লিঙ্গপ্রধান, লিঙ্গী পরমেশ্বর শিব, হে মুরোত্তমগণ হও । তিনিও আমাকে বলিলেন, আমিই জগতের আমারওবিষ্ণুর রক্ষার্থ সমুদ্রে ছিলেন, মহর্ষিগণের কৰ্ত্ত, এইটি জ্ঞান কর। আমার অব্যয় অল্প হইতে সহিত বৈমানিক সর্গ অর্থাৎ দেবগণ জনলোকে গমন তুমি অবতীর্ণ হইয়া এই বিশ্ব স্তরণ ও হরণ করিতেছ। " করিলে জনলোকে স্থিতি-কাল পূর্ণ হইলে, সেই জগতের স্বামী অনাময় নারায়ণকে তুমি লোক হইতে প্রত্যাহৃত হইয়া চতুর্মুৰ্গ সহস্ত্রের পর হইয়াছ। ১৪-২৩। তিনি পরম পুরুষ পরমাত্মা, দেবর্ষিগণ সত্যলোক প্রাপ্ত হন; তৎকালে আমার পুরুহত ও পুরুষ্টুত ; তিনি বিষ্ণু, অচ্যুত ঈশান এবং আধিপত্য না থাকায় অন্তর্কালে সকলই সমতা লাভ তিনি বিশ্বপ্রভু ও দেবগণেরও কারণ। এই বিষয়ে করিল এবং অনাবৃষ্টিবশতঃ সকল স্থাবর পুদাৰ্থ শুষ্ক | তোমার কোন অপরাধ নাই, আমার মায়াবশে ভূমি হইল। আর পশু, মানুষ, বৃক্ষ, পিশাচ, রাক্ষস, সমস্তই ভুলিয়াছ । হে চতুর্বত্ত্ব ! তুমি শ্রবণ কর, গন্ধৰ্ব্বাদি, ইহারা সকলে যথাক্রমে স্থৰ্যকিরণ দ্বারা । আমি সত্যই সৰ্ব্বদেবের ঈশ্বর। আমি কওঁ, আমিই দগ্ধ হইল। তৎকালে চতুৰ্দ্দিকৃ মহাঘোর অন্ধকারময় জগৎ একীর্ণব অর্থাৎ জলময় হইল ; তাহতে যোগাত্মা নিৰ্ম্মল পরমেশ্বর, নিরুপপ্লব হইয়া নিদ্রিত ছিলেন। তিনিই সহস্রশীর্ষ, বিশ্বাস্থা, সহস্রাক্ষ, সহস্রচরণ, সহস্ৰবাহু, সৰ্ব্বজ্ঞ ও দেবগণের উৎপত্তিবীজস্বরূপ। তিনি রজোগুণাবলম্বনে ব্রহ্মা, তমোগুণযোগে শঙ্কর, জগড়ের নায়ক হৰ্ত্ত ; আমার তুল্য বিভু নাই ; হে পিতামহ ! আমিই পরমব্রহ্ম ও পরমতত্ত্ব আমিই উংকৃষ্ট জ্যোতিঃস্বরূপ ; আমিই পরমাত্মা ও পরম বিভু । এই জগতে সকল চরাচর যা কিছু দেখিতেছ ও শুনি.তছ, হে চতুৰ্ব্বক্ত! সেই সমস্ত সংস্বরূপ, এইট তুমি জ্ঞাত হও । পুৰ্ব্বকালে সৰ্ব্বগুণযোগে সৰ্ব্বগ বিষ্ণু ; আর নিগুণ সৰ্ব্বাত্মাস্বরূপ ! আমি স্বয়ং চতুৰ্বিংশতি ব্যক্ত পদার্থ স্থঞ্জন করিয়ছি।_ তিনিই মহেশ্বর । তিনি কালস্বরূপ, তিনিই কালনাভ নিতান্ত ক্ৰোধোপ্তবাদি পরমাণু, তুমি এবং নানা ব্রহ্মাও আম,কর্তৃক অবলালক্রমে স্বল্প হইয়াছে। ও সত্ত্বগুণপ্রধান ; তিনি তমঃস্বরূপ এবং নিৰ্গুণ । সেই মহাবাহু নারায়ণ সৰ্ব্বাত্মা এবং নিত্য ও অনিত্য- আমি বুদ্ধিকে স্বজন করিয়ছি, সেই বুদ্ধিতে অহঙ্কার স্বরূপ ॥ ৫—১৩ ॥ সমুদ্রজলশায়ী পঙ্কজলোচন উৎপন্ন হইয়াছে ; সেই অহঙ্কার তিন প্রকার ; সেই নারায়ণকে তথভূত দর্শন করিয়া আমি সেই সৰ্ব্বময় ! অহঙ্কার হইতে তন্মাত্রপঞ্চক মন এবং পুরুষের মায়ায় মুগ্ধ ও ক্রুদ্ধ হইয়৷ হিকে বলিলাম । উৎপন্ন ; পঞ্চতন্মাত্র হইতে আকাশদি পঞ্চভূত তুমি কে ? আমাকে বল, তাহাকে এই বাক্য প্রয়োগ | হইয়াছে। তিনি এই প্রকার কহিলে, আমিও সেই করিয়া হস্তদ্বারা সেই সনাতন পরম পুরুষকে উত্থাপন ཨོཾ་ཧྰུཾ་ করিলাম। সেই কালে মুদৃঢ় ও তীব্ৰহস্ত প্রহার দ্বারা তিনি প্রবুদ্ধ হইলেন । কমলবং নিৰ্ম্মললোচন ও জিতেন্দ্রিয় ভগবান হরি, অনন্তশয্যা হইতে ক্ষণকাল গাত্ৰোখান করিয়া নিদ্রায় ক্লেদযুক্ত শরীরে অগ্রেস্থিত আমাকে দেখিলেন এবং সেই ভগবান উত্থিত হইয়া একবার মধুর হাস্ত করত আমাকে বলিলেন, বৎস! পিতামহ । মহাস্থ্যুতে মুখে আগমন করিষ্কাছ ত ? তাহারসেই ঈষৎ হান্তপূর্ণ বাক্য শুনিয়া রজোগুণে আবিদ্ধবৈর হইয়া জনাৰ্দ্দন হরিকে আমি বলিলাম—হে অনঘ! যেমন গুরু শিষ্যকে কহিয়া থাকে, সেই প্রকার অস্তরে ঈষৎ হাস্ত করিয়া স্বষ্টি-সংহার-কারণ আমাকে মোহবশতঃ বৎস! বৎস! কি জন্ত প্রয়োগ করিলে ? আমি জগতের কৰ্ত্ত। সাক্ষাৎ প্রকৃতির প্রবর্তক। আমি সনাতুন আজ ; আমি বিষ্ণু ও বিরিঞ্চি এবং বিশ্বের কারণ ; আমিই বিশ্বম, আমিই বিধাতা, আমিই ধাত, পঙ্কজেক্ষণ; অতএব আমাকে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে সত্বর যোগ্য কহিলে পর, প্রলয়কালীন সমুদ্রমধ্যে রজোগুণ । আরদ্ধবৈর আমাদের দুইজনের রোমহর্ষণ এবং অতিভয়ঙ্কর যুদ্ধ হইয়াছিল ৷ ২৪-৩২ ৷ ইহার মধ্যে আমদরে অগ্ৰে বিবাদশমন ও প্রবোধের জন্ত ভাস্কর লিঙ্গ উৎপন্ন হইল | সেই লিঙ্গের আভা সহস্ৰ শিখ সমুজ্জ্বল প্রলয়কালগত অনভূতুল্য। তাহা সাদৃষ্ঠাহীন ক্ষয়বৃদ্ধিশুস্ত আদিমধ্যাস্তবর্জিত, বিশ্ববীজ, অনির্দেষ্ঠ অব্যক্ত । ভগবান্‌ হরি, তাহার শিখা-সহস্ৰে মোহিত হইয়া মোহিত আমাকে কহিলেন, এই অগ্নির উৎপত্তি-বিষয়ে আমাদিগের পরীক্ষা করা উচিত। অনুপম অনল-স্তন্তের অধোভাগে আমি গমন করিব। তুমি যত্বসহকারে উদ্ধে গমন করিতে সত্বর যত্নবান হও। সেইকালে বিশ্বময় হরি এই প্রকার করিয়া বাৰ্বাহরূপ প্রকাশ করিয়াছিলেন। হে দেবগণ! আমিও শীঘ্র হংসত্ব প্রাপ্ত হইলাম। তৎকাল প্রভৃতি সকলে আমাকে হংস হংস বিরাট বলিয়া থাকে, যে ব্যক্তি আমাকে হংস হংস রলিকে সেই ব্যক্তি মুক্তি লাভ করিবে। দেবগণ !