পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

及篮 হয়। হে দেবগণ। চন্দ্রভূষণ বিশ্বের নিজের আত্মায় | যোগবিং; সেই পুরুষ অনিৰ্ব্বচনীয় যোগ আশ্রয় অব্যভিচারিণী শ্রদ্ধা দান করিলেন। তিনি আবার | করিয়া অন্ধকার সদৃশ কান্তিম সহস্রবণবিশিষ্ট উত্তম ব্রহ্মবিষ্ণুকেও অব্যভিচারিণী শ্রদ্ধা দান করিলেন। নারায়ণ স্বয়ং পুনরায় ক্ষিতি-নিহিত জানু হইয়া বিশ্বেশ্বরকে প্ৰণিপাত করিয়া ধীরে ধীরে তাহাকে কহিতে লাগিলেন, হে দেবদেবশ ! আমাদিগের অতি আশ্চৰ্য্য বিবাদ উপস্থিত হইয়ছে ; আমাদিগের বিবাদ-শমনের নিমিত্ত আপনি এইখানে উপস্থিত আছেন। হর, তাহার সেই বাক্য শ্রবণ করিয়া পুনরায় প্ৰণিপাত করিয়া অবস্থিত মস্তকে কৃতাঞ্জলি হরিকে ঈষৎহাম্ভ করত কহিলেন। ১—১০ । হে! ধরণীপতে ! তুমি প্রলয় স্থিতি ও স্বজনের কওঁ। বৎস! হে হরে । এই চরাচর বিশ্বপালন কর। হে বিষ্ণো ! ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও ভব এই নামে আমি তিন প্রকার এবং স্বজন, পালন ও লয় এই ত্রিতয়গুণবিশিষ্ট নিদল পরমেশ্বর জানিবে। হে বিষ্ণো ! মোহ পরিত্যাগ কর, এই পিতামহকে পালন কর । পাদুকল্পে পিতামহ ব্ৰহ্মা তোমার পুত্র হইবেন। তৎকালে তুমি আমায়ু দেখিতে পাইবে এবং পদ্মযোনিও আমাকে দেখিতে পাইবেন। ভগবান এই কথা কহিয়া সেইখানেই অন্তর্হিত হইলেন। তখন হইতে লিঙ্গের অর্চনা প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। লিঙ্গ বেণী মহাবেদী ; লিঙ্গ সাক্ষাৎ মহেশ্বর । লয় করেন বলিয়া লিঙ্গ নাম হইয়াছে, হে মুরগণ! যে ব্রাহ্মণ, লিঙ্গ-সন্নিকটে লিঙ্গের আখ্যান নিত্য পাঠ করে ; সে বিপ্র শিবতা লাভ করিবে, এই বিষয়ে বিচার করিবে : په لاسم لا لا | {Rة উনবিংশ অধ্যায় সমাপ্ত বিংশ অধ্যায় । ঋষির কহলেন;–পাদকল্পে পুরাকালে ব্রহ্মা কেমন করিয়া পদ্ম হইতে উৎপন্ন হইয়াছেন ? কি প্রকারেই বা পুরুষোত্তম বিষ্ণু ব্ৰহ্মার সহিত মিলিত হইয়া ভবকে দর্শন করিয়াছেন। হে স্থত! সম্প্রতি এই সকল বিষয় বলিতে বিশেষ যত্নবান্‌ হুও। স্থত কহিলেন;–এই জগৎ অতি ভয়ঙ্কর ও অন্ধকারময় বিভাগশুণ্ঠ একাধব ছিল। হিনি পুরুষসাধ্য শ্রেষ্ঠ ; যাহাকে লোকে ধোনি বলিয় থাকে; যিনি অষ্ট্র-পদ্মবিশালাক্ষ, র্যাহা হইতে সৰ্ব্বাত্মাগণ উদগীর্ণ হইয়াছেন, তিনিই শঙ্খ-চক্র-গদাধর, জলধরঙ্কুচি, পদ্ধলোচন, কিরীট, গ্ৰীপতি, হরি, তিনিই নারায়ণ, ধোগাত্মা ও । মহামূল্য আসনাবৃত অনন্তের দেহে একার্ণব জগতে একমাত্র প্রভু হরি সেই মহং পর্যাঙ্গে শয়ন রহিয়াছেন । ১–৬। অক্লিষ্টকৰ্ম্ম, জগৎকাকু, সেই অনুযায় শয়ন বিষ্ণু অবলীলাক্রমে ক্রীড়া করি বার জন্ত নাভিদেশস্থিত একটি পুষ্কর স্বজন করিলেন । সেই পদ্ম শতযোজন বিস্তীর্ণ, তরুণ আদিত্যসদৃশ ও হীরকমৃণাল। হিরণ্যগৰ্ভ, জিতেন্দ্রিয় বিশালাক্ষ চতুৰ্বক্র ব্রহ্ম, ক্রীড়মান সেই পুরুষের সমীপে যদৃচ্ছাক্রমে আগমন করিয়া শ্ৰীযুক্ত হুগন্ধি দিব্যপদ্ম দ্বারা ক্রীড়াপরায়ণ র্তাহাকে দর্শন করিয়া উত্তম বাক্যবিদ্যাসপূর্বক তাহাকে কহিলেন। হে সৌম্য ! আপনি কে ? জলমধ্য আশ্রয় করত শয়ন করিতেছেন । অনন্তর অচ্যুত ব্ৰক্ষার বাক্য শ্রবণ করিয়া বিস্ময়ে লোচনস্বয় বিস্কারিত করত তাদৃশ পর্যাঙ্ক হইতে গাত্ৰোখান ও প্রত্যুত্তর করিলেন। আমি জগন্নিবাস_ অতএব প্রতিকল্পে আমার এই আশ্রয় জানিবে এবং যা কিছু, কৰ্ত্তব্য কাৰ্য্য করিয়া থাক, সেইটী মংকুত । আমিই স্বর্গ ও পৃথিবী এবং আমিই পৃথিবীর পরম স্থান। ভগবান বিষ্ণু, তাহাকে এই প্রকার কহিয়া পুনরায় কহিলেন, তুমি, কে ? কোথা হইতেই বা আমার নিকটে আগমন করিলে পুনরায় কোথায় বা যাইৰে এবং তোমার আশ্রয় বা কোথায় ? বিশ্বমূৰ্ত্তি তুমি কে "*. তোমার কি কৰ্ত্তব্য সাধন হইবে । ভগবান হরি এই প্রকার কহিলে, পিতামহ তাহাকে কহিলেন । শস্তুর মায়ায় মুগ্ধ হইয়া আপনাকে আমি জানিতে পারি নাই; আপনিও তাহাক মায়ায় মুগ্ধ হইয়া আমাকে জানিতে পারেন নাই; আপনি যাদৃশ স্থষ্টিকৰ্ত্ত ও প্রজাপতি আমিও তাদৃশ স্থষ্টিকৰ্ত্ত ও প্রজাপতি। ব্রহ্মার সবিস্ময় বাক্য শ্রবণ করিয়া হে | নাথ ! “আমিই বিশ্বকারণ ও বৈকুণ্ঠ” এই প্রকার জ্ঞান আজ আমার উপস্থিত হইল। বিষ্ণু মহাযোগ অবলম্বন কুরিয়া পরম কৌতুহলে ব্ৰহ্মার মুখমধ্যে প্রবেশ করিলেন। মহাতেজ নারায়ণ, উদরে প্রবেশ করিয়া দেখিলেন সপ্তসমুদ্র ও অষ্টকুলাচলসমেত এই সেই অষ্টাদশ দ্বীপ। •চাতুব্বর্ণ্যসমাকুল, ব্ৰহ্ম হইতে তৃণ পর্যন্ত সনাতন সপ্তলোক বৰ্ত্তমান ; কি আশ্চৰ্য্য ! ! তপস্তাপ্রভাব, এই কথা পুনঃপুনঃ কহিয়া বিবিধলোক ভ্ৰমণ করিতে লাগিলেন । অনস্তর সহজবং সুর ভ্রমণ করিয়াও যখন অস্ত দেখিতে পাইলেন না; তখন ব্রহ্মমুখ হইতে নিৰ্গত হইয় পতঙ্গেশ্র স্বামী