পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శ్రీ* রুঞ্জলোকে গমন করিবে। অনুত্ত্বর ক্রমাগত পরিবর্তনলীয় সপ্তবিংশ দ্বাপরযুগ আগত হইলে যখন ব্যাস জাণ্ডুকৰ্ণ লামা অপোধন হইবেন; তখন আমি সোমূৰ্ম্মি-নামক দ্বিজোত্তম হইব এবং প্রভাসতীর্ষে ধোগাত্মা বা সাক্ষাৎ যোগ এইরূপে বিখ্যাত হইয়া কাল অতিবাহন করিব, সেইস্থানে তপোধনগণ আমার শিষ্য হইবে। শিষ্যগণের নাম হইবে, অক্ষপাদ, কুমার, উলুক ও ধংস এবং মহাত্মা সেই শিষ্যগণ, নিৰ্ম্মল ও নিৰ্ম্মলাস্তুকরণ হইয়া মহেশ্বর যোগ অবলম্বনে কন্দ্রলোকে গমনের জন্তু সেইস্থাম হইতে গমন করিবে। কমাগত পরিবর্তিত অষ্টাবিংশতি যুগ আগত হইলে যখন লোকপিতামহ কিম্বা সাক্ষাং বিষ্ণুকণী পরাশরস্থত শ্ৰীমন ব্যাস দ্বৈপায়ুন নামে ভূতলে অবতীর্ণ হইবেন, তখন মদৗষ ধষ্ঠাংশভুত পুরুষোত্তম কৃষ্ণ বহুদেব হইতে যদুশ্রেষ্ঠ বাসুদেব উৎপন্ন হইবেন, আমিও সেই সময় লোকবিশ্বয়ের জন্ত যোগমায়া দ্বাবা | ব্রহ্মচারী হইয়া শ্মশানে মৃত পবিত্যক্ত অনাথকায় দর্শন করিষা ব্রাহ্মণগণের হিতার্থ যোগমায অবলম্বনে সেই দেহে প্রবিষ্ট হইব এবং হে ব্ৰহ্মন। তোমার সহিত দিব্য সুমেকগুহা আশ্ৰষ করিয়৷ নকুলীশনাম গ্রহণপূর্বক সেই স্থানে অবস্থান করিব। যে পৰ্যন্ত । পৃথিবী কুল ধারণ করবেন, তদবধি “কায়াবতার’ এই নামক সিদ্ধক্ষেত্র সুবিখ্যাত হইবে। ১১৯–১৩০ ৷ সেই স্থানেও তপস্বীর। আমার পুত্র হইয়। কুশিক, গৰ্গ মিত্র, কেীক্য এই নামে প্রসিদ্ধ হইবে এবং তাহারা বোপারগ ও উর্বরেত হইয়া পাপক্ষালন করত মহেশ্বর যোগ লাভপুৰ্ব্বক পুনরাবৃত্তি কুর্লভ কন্দ্রলোকে গমন করিবে ! তহবি সকলে পশুপ ময়ে, দীক্ষিত সিদ্ধ ও ভস্মলিপ্ত দেহ, লিঙ্গার্জনে প্রতিনি রত, বাহ ও আভ্যস্তর-শোঁচযুক্ত আমাতে ভক্তি ও যোগ দ্বারা ধ্যাননিষ্ঠ ও জিতেক্রিয় হইবে। জ্ঞানমার্গপ্রকাশক পশুপাত যোগই মহৎ কারণ, তাহাতে স্বরূপজ্ঞানসিদ্ধি ও সংসারবন্ধন ছেদন হষ । ধোগমার্গ অনেক প্রকার আছে ও জ্ঞানমাৰ্গও অনেক প্রকার, কিন্তু পঞ্চাঙ্গরী (নমঃ শিবায়) মন্ত্র ব্যক্তি রেলে কোন স্থলে কোন পুরুষ, সংসার নিবৃত্তি লাভ করিয়াছে দেখিতে পাওয়া যায় না। যখন যে পুরুষ সৰ্ব্বৰস্থবিবর্জিত এই তপ আচরণ করিন্থে তবল সে মুক্ত হইয়া পক্লফলবৎ অবস্থান করিবে । * সকলেরই মত। যে পুরুষ একৃদ্ধিকাল সমকৃরূপে পাশুপত্ৰত আচরণ কুরিযে, সংখ্য বা পঞ্চরাত্র অনুসারে কার্য্য করিলে সে গড়ি লিঙ্গপুঞ্জ। তাহার লাভ হয় না। অষ্টবিংশতি যুগক্রমে মাদি কৃষ্ণ পৰ্য্যম্ভ অবতার লক্ষণ তোমার লিঙ্কট আমি খলিলাম। যখন কৃষ্ণদ্বৈপায়ন অবতীর্ণ হইবেন, তখন শ্ৰুতিসমূহের ধৰ্ম্মলক্ষণ বিভাগ হইবে। ১৩১–১৪০ ৷ স্থত কহিলেন, মহাতেজা ভগবান পিতামহ মহাদেবকীৰ্ভুিক্ত রুদ্রাবতার শ্রবণ করিয়া মহেশ্বরকে প্ৰণিপাতপূৰ্ব্বক ইষ্ট বাক্যদ্বারা পুনঃপুনঃ তাহার স্তব করিয়া র্তাহাকে কহিতে লাগিলেন, দেবতারা বিষ্ণুময়, প্রাণিমাত্রও বিষ্ণুমষ। বিষ্ণুতুল্য অন্ত কোন গতি বিধান হয় নাই। এই প্রকার বেদত্ৰয় কীৰ্ত্তন করিয়া থাকেন, এই বিষয়ে সংশষ নাই। সেই দেবদেব ভগবান বিষ্ণু rবনই বা তোমাব লিঙ্গার্চনে বত, কেনই বা তোমার প্রণামপব হইলেন। শুত কহি. লেন, শঙ্কর পরমোষ্ঠ ব্ৰহ্মার বাক্য শ্রবণে ধেম চক্ষুদ্বয় স্বাবা স্নেহ আকর্ষণ কৰত প্রশ্ন ীেববে পরম প্রীত হইয় তাহাকে নয়নগোচর দেখিম, পূজা প্রকরণ কহিতে লাগিলেন , হে বিভো | সাক্ষাৎ মুবোত্তম আপনি নারায়ণ ও শত্রু এবং মুনিবৃন্দ ইহঁর সকলে নিবন্তব বিধিপূৰ্ব্বক লিঙ্গপূজা কবিয় স্ব স্ব পদ প্রাপ্ত হইয়াছেন, এই জন্য তাহারা সকলে পূজা করিয়া থাকেন। মদীয় লিঙ্গার্জন বতিরেকে নিষ্ঠ অর্থাৎ নিশ্চল স্থান হয় না, সেই জন্ত জনাৰ্দ্দন শ্রদ্ধা সহকারে নিত্য পূজা কবিয়া থাকেন, মহেশ্বৰ অনুগ্রহ প্রকাশপূৰ্ব্বক এই প্রকাব ব্রহ্মাকে কহিয়া দেবেশকে পুনঃপুনঃ দর্শনপূৰ্ব্বক সেই স্থানেই অন্তৰ্হিত হইলেন। সেই সময ব্ৰহ্মা তাহাকে উদ্দেশ করিয়া কৃতাঞ্জলি পূর্বক মমস্কার করিষ। অশেষ জগং স্বজন কবিতে শঙ্করের অনুজ্ঞালাভ করিলেন। ১৪১-১৫০ ৷ চতুৰ্ব্বিংশ অধ্যায় সমাপ্ত। -o-o: পঞ্চবিংশ অধ্যায় । ঋষিরা কহিলেন, লিঙ্গরূপী মহেশ্বর কি উপায়ে পূজনীয় ? হে রোমহর্ষণ! সম্প্রতি আমাদিগের নিকট তাহ বল। সুত কহিলেম, কৈলাস পৰ্ব্বতে পাৰ্ব্বতী জিজ্ঞাসা করিলে, মহাদেব অঙ্কস্থা দেবীকে যথাক্রমে লিঙ্কাের্চন-বিধি ক্ষহিয়াছিলেন । সেই সময় পার্থস্থিত নদী সমস্ত শ্রবণ করিম, পূৰ্ব্বকালে ব্ৰজপুত্রের নিকট তাহ প্রকাশ কক্সে । ব্ৰজপুত্র সনৎকুমারকে লিঙ্কাৰ্চনবিধি ষ্ণুে,তাৰ হইতে মহাঙ্গে বাস শুজিয়মত লিঙ্গপূজা শুসিয়াছিলেন, শৈলাদি কঁহাৰু মুখ হইতে যাশ স্বাক্ষযোগউপচার শুনিয়ছেন, আমিও সেই