পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ। এলঙ্কারে ভূষিত বিচিত্রবসন পরিধান মহাদেবের এইরূপ রূপ চিম্ভা করিয়া দহনাদি (বহিৰীজাদি) দ্বারা শৈবৗতকু ( শিবশরীর) স্বয়ংও অবলম্বনপূৰ্ব্বক মহেশ্বরকে পূজা করিবে। এইরূপে দেহ শুদ্ধ করিয়া মূলমন্ত্র ক্রমে স্বাস করিবে ! সৰ্ব্বত্র প্রণবযোগে ব্ৰহ্মমন্ত্র দ্যাস করা বিধেয় । পুজাবিষয়ে নমঃশিবায় এই পরম শুভ। ঐ স্থত্রে ছন্দ (বেদ) আর মন্ত্রগণ মৃক্ষরূপে স্থিতি করেন । হুহ্ম বটবজে শাখাপ্রশাখাশালী বটবৃক্ষের হুক্ষরূপে অবস্থিতির ষ্ঠায় অতি শোভন মহৎ ও কারণ স্বরূপ পঞ্চাক্ষর ক্ষুদ্রমন্ত্রে ব্রহ্ম স্বয়ং সুন্নবং অবস্থিত আছেন। ১-৭ । গন্ধচন্দনজল দ্বারা পুজাস্থান মার্জন প্রক্ষালন, প্রোক্ষণাদিদ্বারা পূজা পাত্ৰ শুদ্ধি করিবে। ক্ষালন ও প্রোক্ষণকৰ্ম্মে প্রণবপাঠ বিহিত আছে। ধীমান্‌ বিপ্ৰ, প্রোক্ষণীপাত্র, অর্থ্যপত্র, পাদ্যপাত্র ও আচমনীয়াৰ্থ কল্পিত পাত্র অবগুণ্ঠন (নির্জল) করিয়া যথাবিধি রাখিবে। পরে সে সকল পাত্র কুশ দ্বারা আচ্ছাদন ও জল দ্বার প্রোক্ষণ করিতে হয়। অনন্তর সকল পাত্রে সুশীতল জল দিবে। বুদ্ধিমান ব্যক্তি, প্রণব উচ্চারণপূর্বক বক্ষ্যমাণ দ্রব্য সকল রাখিবে। উলীর ( বেণীর মুল ) চন্দন পাদ্যপাত্রে, জায়ফল কক্কোল কপূর অনন্তমূল ও মানচু করিয়া আচমনীয় পাত্রে স্থাপন করিবে, এইরূপ সকল পাত্ৰেতে দিয়া লেপনার্থ চন্দন কপূর ও বিবিধ পুপ পাত্রাস্তরে স্থাপন করবে। ৮–১৪ কুশাগ্ৰ, অক্ষত, যব, ব্রীহি, তিল, গবাঞ্ছত সিদ্ধার্থ ( শ্বেতসর্ষপ ) ভস্ম এই সকল দ্রব্য অর্ঘ্যপাত্রে রাখিবে। কুশ পুপ যব ব্রীহি বহুমূল (অনন্তমূল ) অমাল ও ভষ্ম প্রণব দ্বারা প্রেক্ষিণী পাত্রে রাখিবে। পঞ্চাক্ষর রুদ্রগয়িত্রী বা বেদসার কেবল প্রণব স্থাস করিবে। অনন্তর প্রোক্ষণীপাত্রস্থ জলদ্বারা প্রণব ও ঈশানাদি পঞ্চমন্ত্র পাঠ করিয়া সমুদায় পুজোপকরণ প্রোক্ষণ করিতে হয়। দেবদেবের দক্ষিণ পার্থে দীপ্ত অগ্নির সদৃশ ত্রিনেত্র ত্ৰিদশের কালচক্রমুকুট হরি চক্ৰ চতুর্ভূজ পুপমাল্যধর, সৰ্ব্বাভরণভূষিত এইরূপ নদী আদিষ্ট আমাকে অর্চনা করিবে। ১৫-২০ । উত্তর পার্থে আমার পবিত্র সুখশানায়ী ভাৰ্য্যা ও মরুতের শুভ সত্ৰতনামী পত্নী জম্বার (তুর্গার) পামগুনতংপর এই উভয়কে পূজা করিয়া পরমেষ্ঠী মহাদেবের গৃহমধ্যে প্রয়েশালস্তর দেবদেবের পঞ্চ মস্তকে ঈশানাদি পঞ্চমন্ত্র দ্বারা উক্তিভাবে পঞ্চ পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করিমগঞ্জপুপ ধুপ আর কি উপচাদারা পদক্ষে পূজা "రీఫి করিয়া কাৰ্ত্তিক, গণেশ ও দেবীপূজনস্তুর লিঙ্গগুদ্ধি মস্তক হইতে নিৰ্ম্মাল্য অপসারণ করবে। প্রণবাদি নমোহস্তক সকল মন্ত্ৰ জপাত্তে প্রণবপাঠপূৰ্ব্বক্ত পদ্মাসন কল্পনা করিবে। ২১—২৪ । সেই পদ্মের পুৰ্ব্বদিকৃস্থ পত্র অক্ষর (অবিনাশী) সাক্ষাৎ অদিমাময় দক্ষিণ পৰু, লখিমাময় পশ্চিম পত্র, মহিমাময় উত্তর পত্র, প্রাপ্তিময় বহ্নি কোন প্রাকাম্য নৈঋত পত্র, ঈশিত্ব বায়ুকোণে বশিত্ত্ব, ঈশান পুত্ৰ সৰ্ব্বজ্ঞত্ব, পদ্মকণিকা চন্দ্রমণ্ডল, চন্দ্রের অধোদেশে স্বৰ্য্যমণ্ডল, হর্ঘ্যের অধঃ সাক্ষাৎ অগ্নি। ধৰ্ম্মাদি (ধৰ্ম্ম, জ্ঞান, বৈরাগ্য, ঐশ্বৰ্ধ) বিদিকে (অগ্ন্যাদি চার কোণে) ক্রমে অনস্তাদি কল্পনা। পুৰ্ব্বাদি দিকৃ চতুষ্টয়ে) অব্যক্তাদি (অব্যক্ত, মহত্তত্ত্ব, অহঙ্কার ও চিত্তরূপ ) সোমের অস্তে গুণত্রয় (সত্ত্ব রজঃ তমঃ) তাহার উর্বে তিম স্বাক্ষ্মতত্ত্ব (বিশ্ব, তৈজস, প্রাজ্ঞ, ) তাহার অন্তে (উপরি) শিবপীঠ (শিবাসন) ঐ পীঠে সদ্যোজাতং প্রপদামি, এই মন্ত্র দ্বারা পীঠোপরি স্থাপন, রুদ্রগায়ন্ত্রী দ্বার সান্নিধ্যকরণ, অষোর মন্ত্রপাঠে নিরোধ করিয়া, ঈশান মন্ত্র দ্বারা পূজা করিবে। পাদ্য, আচমনীয় ও অর্ঘ্য বিভুকে প্রদান করিবে, গন্ধ ও চন্দনযুক্ত জল দ্বারা যথাবিধি রুদ্রকে স্নান করাইবে। যথাবিধানে পাত্রে পঞ্চগব্য রাখিয়া মন্ত্রপূর্বক শোধনাস্তে তাহ দ্বারা” প্রণব পাঠপূৰ্ব্বক যথাবিধি স্নান করাইবে। আজ্য (তথা ইক্ষুরস আর পবিত্র অন্যান্ত দ্রব্য দ্বারা প্রণব পাঠপুৰ্ব্বক মহাদেবকে অভিষেক করিবে, পবিত্রজলপুর্ণ ভাণ্ডদ্বারা মন্ত্রোচারণপূর্বক জল মহেশ্বরমস্ত রি ক্ষেপণ করবে। ২৫–৩ ঐ জল অগ্রে শুক্ল বস্ত্র দ্বারা সাধকগণ শোধন করিয়া লইবে । ঐ জল কুশ, অপমাৰ্গ, কপূর জাতি, কবরীর ও শুক্ল পুষ্প মল্লিক, কমল, উৎপল, ও চন্দ্রনাদি সুগন্ধি দ্রব্য দ্বারা পূর্ণ করিবে, জলোপরি সঙ্গ্যোজাতাদ মন্ত্র পাঠ করা বিধিসিদ্ধ। তাম্ৰপাত্র পদ্মপত্র ও পলাশপত্ররচিত পাত্র, শঙ্খ, মৃন্ময় ও শুভপাত্র সফুর্টং ও সপুষ্প ঐ সকল পাত্রদ্বারা মন্ত্ৰপুৰ্ব্বক স্বানে বিহিত। তোমাকে স্নানমন্ত্ৰ কহিতেছি, ঐ সকল মন্ত্ৰ সৰ্ব্বার্থসিদ্ধিহেতু হয়, শ্রবণ কর । ৩৫- ৩৯ । যে সকল মন্ত্র দ্বারা স্নান করাইলে মনুষ্য মুক্ত হয়,হে মন্ত্রজ্ঞ মানবগণ , পক মানমন্ত্র, তথা সমীয়কমন্ত্র, রুদ্রমন্ত্র, নীরদ্র, শুভঞ্জী স্থত্ত, রজনীযুক্ত, শুণ্ড ভারুগু, চমক মন্ত্র ; শিব শুদ্ধ আখৰ্ব্ব, শাস্তি, পুনঃ শাস্তি, আরণ্য, বারুশ, জ্যেষ্ঠ রেক্ষরত, পুণ্য পুরুষযুক্ত, ত্বরিত রুড়, বাণি, জাধোগজ, সাম্য বৃহঙ্গ, বিষ্ণু ও স্পিক্ষ স্থল