পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჭ& বশিত্ব এবং অমরত্ব প্রাপ্ত হন। ৭-২১। ইস্রাদি দেবগণ সকাম ব্রত অবলম্বলপুৰ্ব্বক পরম ঐশ্বৰ্ষা লাড করিয়াছেন এবং তাহাদিগের তেজস্থিত সৰ্ব্বত্র বিখ্যাত ; অতএব মদ, মোহ, বিষয়ানুরাগ, তম ও খেলোয় পরিত্যাগপূৰ্ব্বক ভবাণীনিবৃত্তিহেতু পাণ্ডপও ব্রত অবলম্বন করিয়া সৰ্ব্বদাই মহদেবের চিত্ৰ দি বিবে। যে ব্যক্তি শুচি, আমুক্ত ও লিতেক্রিয় হইয়া সৰ্ব্বপাপনাশন এই শিকলি ধ্যান করত পাঠ করেন, সে ব্যক্তি সকল পাপ হইতে বিমুক্ত হইয়াবিলোকেগমন করেন। বলিষ্টাদিক গণ শৈাক্য শ্রবণ করত ভষ্ম-পাণ্ডুরা ও বিগত, পূহ, ইয়া শৈবতেজোবলে কান্তকালম্বী শিক লোকপ্রাপ্তির নিমিত্ত অবস্থিতি করিলেন। অতন সৰ্ব্ব মহযোগীন্দ্র আশঙ্কায় বিকৃত, মলিন হইলs জন্মদিগ্ধাঙ্গ ব্যক্তিদিগকে কদাচ অবজ্ঞা করিবে না; বরং উইগিকে পুজা করিবে। এক্ষণে বহুবাক্য: ব্যয়ে প্রয়োজন নাই, ভবভক্ত দ্বিজোত্তমদিগকে শিবব্রত পুজা করিতে হয়, সে বিষয়ে আর সন্দেহ নাই। ভবভক্ত দৃঢ়ব্ৰত বিপ্রেস্ত্ৰগণ মলিন হইলেও পূজনীয়। দধীচ মুনি কেবল রুদ্রশক্তিস্বাবা দেবদেবনারায়ণকে জয় করিয়াছিলেন। অতএব ভস্মাচ্ছান্তিকলেবর জটিল, বা মুণ্ডিত মস্তক, নগ্ন বহুরূপধারাদিগকে,কায়মনোবাক্যে সৰ্ব্বত্বে শিবং পূজা করবে। ২২-৩১। চতুষ্ট্রিংশ অধ্যায় সমাপ্ত।

পঞ্চত্রিংশ অধ্যায় । সনৎকুমার বলিলেন, হে সুব্রত শৈলাদে । দধীচ যুনি রিপে দেবদেব জনাৰ্দ্দনকে সমরে জয় করিয়া ফুপরাজকে পদাঘাত করিয়াছিলেন, কিরূপেই বা মহাতপা মুনির মহাদেবের অনুগ্রহে বঞ্জাস্থিত্বলাভ ও মৃত্যু জয় করিয়াছিলেন, অনুগ্রহ করিয়া বলুন। শৈলাদি বললেন, মুনির নীচের মিত্র ব্রহ্মপুত্র, মহাত্রী, লোকপালক ফুপ নামে বিখ্যাত রাজ৷ ছিলেন। বহুকালন্তে প্রসঙ্গক্রমে ক্ষত্রিয়-শ্রেষ্ঠ না, बांग्ल-क्लई औई दिक्त गरेद्वा ऊँशनिद्रश्नब क्षिाक् উপস্থিত ইল। রাজা অষ্টলৈাকপালের শীর ধরণ করেন, অল্পব আমি ইস্ত্র, অগ্নি, श्, নিঋতি, বরুণ বায়ু, সোমু, কুবের ; অধিক কি আমিই ঈশ্বর; নিঃসমোহ আমাকে অবমাননা করা উচিত নয়। হে স্বত্রত। হে চাবলে! শ্ৰেষ্ঠজাতি ব্রাহ্মণদিগের লিঙ্গপুরাণ। শ্রেষ্ঠদেবতা বিষ্ণুও আমি। অতএব আমাকে অবমাননা চ্যবনতন, স্বগোযোগ্ৰ, মুনিদত্তম দধীচ ক্ষুপরাজের তাদৃশ মত শ্রবণ করিয়া তাহর মস্তকে বামমুষ্টিার আঘাত করিলেন এবং বলবান ক্ষুপন্থপতি বঞ্জার র্তাহাকে ছিন্ন করিলেন। ১-৯। পূৰ্ব্বকালে স্কুপনৃপতি ব্ৰহ্মর ক্ষুত হইতে ব্ৰহ্মলোকে উৎপন্ন হন এবং অতুরবধার্থ ইন্দ্রপ্রেরিত হইয়া ইন্দ্র হইতে বন্দ্রলাভ করিয়াছিলেন। তিনি স্বেচ্ছাপুৰ্ব্বক মরদেহ গ্রহণ করিয়া পৃথিবীর অধীশ্বর হন। এই জন্ত মহাবল-পরাক্রম, ইস্রতুল্য বলবান ক্রম এবং গৰ্ব্বিত স্কুপরাজা দ্বিজেন্দ্র দধীচকে জয় করিয়াছিলেন। দ্বিজশ্রেষ্ঠ দধীচ বঞ্জনিহত হইয়৷ ভূমিতে পতিত হইলেন এবং নিতান্ত দুঃখিত হইয়৷ ভার্গব মুনিকে স্মরণ করিলেন। দেহিশ্রেষ্ঠ শুক্রাচার্ল্যও যোগবলে আগমন করিয়া বঞ্জতাড়িত অধীচের দেহ সন্ধিত করিলেন । ভার্গব মুনি, দধীচের দেহ পুৰ্ব্ববং সন্ধিত করিয়া বলিলেন, হে মহাভাগ! দধীচ। হে বিপ্রর্ষে। ব্রহ্মদিদেবগণ-পূজা, নিরঞ্জন দেবদেব উমাপতিকে পূজা করিয়া তাহার প্রসঙ্গে তুমি অমরত্ব লাভ কর। আমিও তাঁহারই প্রসাদে এই মৃতসঞ্জীবনী বিদ্যা লাভ করিয়াছি। ১০–১৬ । এই জগতে কোন স্থানেই শিবভক্তের মৃত্যুভয় নাই। ত্ৰিলোকের পিতা, সোম, অগ্নি, সূৰ্য্য এই ত্রিমগুলের জনক , সত্ত্ব, রজ, তম প্রভৃতি এই ত্রিগুণের-বুদ্ধি, অহঙ্কার, মনঃ এই ত্রিতত্বের ও গার্হপত্য, আহবনীয়, দক্ষিণাগ্নি এই অগ্নিত্রয়ের ঈশ্বর, সৰ্ব্বত্র ত্রিধাভূত, ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু, রুদ্ররূপ, যশস্বী, পুষ্টিবৰ্দ্ধন মহাদেবকে আমরা পূজা করি। তিনি সৰ্ব্বভূত, ত্রিগুণ, প্রকৃতি, সৰ্ব্বেক্রিয়, দেবগণ, প্রমথ, সৰ্ব্বস্থানেই বিদ্যমান আছেন। যশস্বী পরমেশ্বর পুপস্থ গন্ধের ন্তায় ক্ষ। ছে দ্বিজোত্তম। পরমেশ্বরের পুষ্টিপ্রকৃতি তাহা হইতেই উৎপন্ন। হে সুব্রত ! মহামুনে! মায়াশ্রম, বিষ্ণু, ব্রহ্ম, মুনিগণ, ইন্দ্র, দেবগণ, সকলেরই মহাদেব হইতে পুষ্টিবৰ্দ্দন হয়। আমর, কর্ণ, তথস্ত, বেদধ্যয়ন, যোগ ও খ্যাল দ্বার, সনাতন রুদ্র দেবকে আরাধনা করি । পুৰ্ব্বোক্ত সত্যত্রত আশ্রয় করিলে মহাদেব স্বয়ং মৃত্যুপাশ হইতে বিমুক্ত করবেন। কঁকুড় ফল যেমন স্বর্ঘ্যতাপে পক্ক হইয়া আপনি বন্ধনমুক্ত হয়, শিবভক্তেরাও অন্ধপ ভুক্তিগ্ৰন্ধাবে স্বয়ং মুঞ্জিলাভ করেন। আমিও মুক্তসঞ্জীবনমন্ত্র শঙ্কর হইতেই প্রাপ্ত হইয়াছি। যে ব্যক্তি জলমাত্র