পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

es বর্ধ আতপাদিৰ দ্ব-পীড়িত হইয়া সাতিশয় দুখ । পাইতে লাগিল। এইরূপ দুঃখ পাইয়া প্রজাগণ তখন আবরণ ও গৃহাদি নির্মাণ করিয়া সেই শীঘোষণদিদ্বন্দ্বের প্রতিরোধ ক্ষরিত। তাহারা পুৰ্ব্বে স্বেচ্ছাচা হইয় গৃহাদিতে আশ্রয় গ্রহণ করিত না, কেবল ইচ্ছানুযায়ী যেখানে সেখানে ভ্রমণ কৃরিত। এখন তাহার যথাযোগ্য গৃহাদি নিৰ্ম্মাণ করিয়া তাঁহাতে আশ্রয় গ্রহণ করিল। এইরূপে শীতোষ্ণাদিদ্বন্ধের না। যুগের প্রভাবে সেই সময় আবার প্রজাগণ বলপূর্বক পরস্পরের পুত্র-জার-ধনাদি গ্রহণ করিতে লাগিল। প্রভু পদ্মযোনি, সে সকল অবগত হইয়া, মৰ্যাদা রক্ষার নিমিত্ত প্ৰজাগণকে হুঃখ হইতে উদ্ধার করিবার বাসনায় ক্ষত্রিয়গণকে স্বজন করিলেন ও স্বীয় সামর্থ্যবলে বর্ণাশ্রমের প্রতিষ্ঠা করিলেন এবং জীবন রক্ষার নিমিত্ত স্ব স্ব ধৰ্ম্মের বৃত্তি ব্যবস্থা করিলেন। ঐ ত্রেতাযুগে ক্রমে যজ্ঞপ্রবৃত্তি আরস্ত হইল এবং প্রতিরোধ করিয়া মধুর সহিত কল্পবৃক্ষসকল বিনষ্ট | সেই সময় মুমুকুগণ পশুযজ্ঞ অবলম্বন করিডেন হওয়াতে তাহার স্ব স্ব বৃত্তির উপায় চিন্তা করিতে | লাগিল। তখন তাহারা তৃষ্ণাঙ্গুধাদিতে পীড়িত হইয় কেবল বিবাদ করিয়াই ব্যাকুল হইতে লাগিল। পরে আবার তাহাদিগের সিদ্ধি প্রকাশ পাইল। তখন তাহাদিগের ইচ্ছাক্রমে কৃষ্যাদি বৃত্তির উপযোগী অতিশয় বৃষ্টি হইতে লাগিল। সেই বৃষ্টিজল নিম্নগামী | হইল, ও সেই সকল বৃষ্টিজলই স্রোতস্বিনীরূপে পরিণত হইতে লাগিল। দ্বিতীয় বৃষ্টিতে প্রজাগণের এই না। সৰ্ব্বদশী বিষ্ণু তখন স্বীয় প্রভাবে যজ্ঞ করিলেন, সেই ত্রেতাযুগে ব্রাহ্মণগণ পশুযজ্ঞকারী অপেক্ষ মোক্ষের নিমিত্ত অহিংসা অবলম্বন করিয়া মাত্র, পুরোডাশাদি দ্বারা যজ্ঞানুষ্ঠারিগণকে প্রশংসা করিতে লাগিলেন। দ্বাপরেও ঐরূপ বুদ্ধিবিপর্যায় হয় ; সেই সময় ঐ মনুষ্যগণের কায়িক, মানসিক ও বাচনিক কষ্ট্রে জীবিকা নিৰ্বাহ হইতে লাগিল । ৪২-৫৩। সেই সময় সকল প্রাণীর কায়িক ক্লেশ প্রকার নদী সকল উৎপন্ন হইল। আর সেই বৃষ্টি হইতে লাগিল বলিয়া ক্রমে লোভ, বেতন গ্রহণের জলের ষে যে বিন্দু পৃথিবীতে পতিত হইয়াছিল, জলও ভূমির সংযোগে সেই জলবিন্ হইতে চতুর্দশ প্রকার ব্রীহি প্রভৃতি গ্রাম্যারণ্য ওষধি বিনা বপনে অল্পকর্ষণেই উৎপন্ন হইল। এবং যাহাদিগের ঋতুভেদে ফল-পুপ জন্মায়, সেই সকল বৃক্ষ গুল্ম প্রভৃতিও উৎপন্ন হুইল । এই প্রকার ওষধি ও বৃক্ষজাতি প্রভৃতি উৎপন্ন হইলে প্ৰজাগণ তাহ স্বারাই জীবিকা নিৰ্ব্বাহ ধরিতে লাগিল । ২৭--৪১। অবশুস্তাবী অর্থ কে নিরাস করিতে পারে? সে কারণে ও যুগের প্রভাবে প্রজাগণ আবার রাগমোহাভিভূত হইল। তখন তাহার নদী, ক্ষেত্র, পৰ্ব্বতাদি হইতে বৃক্ষ, গুল্ম, ওষধি প্রভৃতি বলপূর্বক যথেচ্ছ গ্রহণ করিতে লাগিল। এইরূপ অত্যাচারে ঐ সকল চতুর্দশ প্রকার ওষধি প্রভৃতি বিনষ্ট হইতে লাগিল। পিতামহ বিষ্ণু, সেই সকল ওষধি প্রভৃতি পৃথিবীতে প্রবেশ করিয়াছে মনে করিয়া পথ নামক ভূপতিরূপ ধারণ কুরিয়া সকল ভূতের হিতপমিত্ত প্রযত্ন-সহকারে দোহন করিলেন। সেই অবধি ওষধি সকল সৰ্ব্বত্র ফালারাই কৰ্ষিত হইয় থাকে ও সেই অবধি প্ৰজাগণের কৃষিবার্তাই জীবিকাপে পরিণত হইল। কৃষিকাৰ্য্য বার্তাবৃত্তি বলিয়। কথিত হয় –ত্রেতাযুগের অপগমসময়ে rপ্ৰজাগণের সেই কৃষি ব্যতিরিক্ত অঙ্গ কিছু জীবিকা हिम न गरे जयत्न छन, श्षु ऎं,ंश्च লাগিল; কোনও খত্রিদির অপেক্ষ ছিল } নিমিত্ত সেবা অর্থাৎ দাতব্য, বাণিজ্য, বিবাদ, যথার্থ বস্তুতে চিত্তের কলুষতাবশতঃ সন্দেহ, বেদশাখ-বিভাগ, ধৰ্ম্মসঙ্করবর্ণাশ্রমের ধ্বংস, কাম, দ্বেষ, লোভ, মদ, রাগ প্রভৃতি প্ৰবৰ্ত্তিত হইতে লাগিল। স্বাপরের আদিকালে ব্যাসকর্তৃক বেদ চারিভাগে বিভক্ত হয়। ত্রেত পর্য্যস্ত একবেদেই ঋগদি চতুষ্পদ বিশিষ্ট করিয়া বিহিত হয়। তখন তাহাই অধীত হইত। পরে সেই এক বেদ স্বাপরাদি কালে আয়ুর ক্ষয় হওয়াতে বিভক্ত হয়। ৫৪-৫৭। তাহার পর সমান ভাগে বিভক্ত সেই সেই বেদের সংহিতা সকল আবার ঋষিপুত্ৰগণ স্ব স্ব জ্ঞানানুসারে অন্ত প্রকারে মন্ত্র-ব্রাহ্মণ বিস্তাসে ও স্বরবর্ণ-বিপর্যয়ে বিভাগ করেন এবং বেদের ব্রাহ্মণভাগ কল্পসূত্র, মীমাংসা, স্তায়সূত্র, এসকলও ঋষিগণের রচিত। সে সকল মতের কতিপয় ঋষি বিরোধী হন, আর কতিপয় ঋষি তাহার সপক্ষ থাকেন। ইতিহাসপুরাণও আবার কল্পভেদে বিভিন্ন হয়। ব্রহ্ম, পদ্ম, বিষ্ণু, শিব, ভাগবত, . ভবিষ্য, মারদ্বীয়, মার্কণ্ডেয়, অগ্নি, ব্রহ্মবৈবৰ্ত্ত, লিঙ্গ, বরাহ, বামন, কূৰ্ম্ম, মৎস্ত, গারুড়, স্বনা, ব্ৰহ্মাও, এই সকল সেই পুরাণের ভেদ কথিত আছে; সেই অষ্টাদশ পুরাণের মধ্যে এই লিঙ্গপুরাণ একাদশ । মগু, অত্রি, বিষ্ণু, হরীত, যাজ্ঞবল্ক্য, উশন, জরি, যম, আপঞ্জয়, সম্বর্ত, কাণ্ডায়ন, বৃহস্পতি, পরাশর, ব্যাস, শঙ্খ, লিখিত, দক্ষ, গৌতম, শান্তান্তপ, বসি, ইত্যাদি সহঞ্জ ঋষিগণ সেই ভেঙ্গের