পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্বভাগ। প্রণেতা। দ্বাপরযুগে অনারষ্টি অকালমৃত্যু ব্যাধি প্রভৃতি উপুদ্রব হওয়াতে যাত্মনঃকৰ্ম্মজ দুঃখ হয়, সেই দুঃখে নিৰ্ব্বেদ, ও সেই ుদুঃখ-মোচনের জন্মে এবং তাদৃশ বিচার ও পরে ে বৈরাগ্য হইতে দোষাশিতু শেষে সেই দোষদর্শন ও দুঃখে জ্ঞান জন্মে। কিন্তু সত্যত্রেতায় স্বাভাবিকই জ্ঞানে প্রবৃত্তি ছিল। হে মুনিবর! এই রজোগুণ-তমোগুণময়ী প্রবৃত্তি দ্বাপরের জানিবেন, আর আদ্য সত্যযুগে সৰ্ব্বত্রই ধৰ্ম্ম ছিল, (অর্থাৎ তখন স্বভাবতই ধৰ্ম্মজ্ঞান ছিল, ) পরে ত্রেতায় সেই ধৰ্ম্ম বিধানাদিতে প্রবর্তিত হয়। আর দ্বাপরে সেই ধৰ্ম্ম পীড়িত ও চালিত হইয়া শেষে কলিযুগে নাশ পাইয়৷ و 4 سبوعي أ تtraة উনচত্বারিংশ অধ্যায় সমাপ্ত চত্বারিংশ অধ্যায় । ইন্দ্র বলিলেন, কলিযুগে মনুষ্যেরা তমোগুণে ব্যাকুলেক্রিয় হইয়া মায়া ও অস্থয়াতে অভিভূত হইবে এবং তপস্বিগণের বধে নিয়ত রত থাকিবে; কলিকালে প্রমাদ, সতত রোগ, ক্ষুধ, ভয়, ঘোর অনাবৃষ্টি ভয়, ও @。 ব্যভিচারিণীর অংশ বুদ্ধি বে। মনুষ্য আর বর্ণশ্রমের নিয়মে প্রতিষ্ঠিত থাকিবে না। ঐ কলিকালে পৃথিবী অক্সফল হইবেন, কোন কোন স্থলে বা বহুফল জন্মিবে । রাজারা আর রক্ষক থাকিবেন না, কবল হরণ করিতেই রত থাকিবেন। শূদ্র সন্ধুল জ্ঞানী হইবে, ও ব্রাহ্মণগণ নিয়ত তাহাদিগকে বন্দন করিবেন ; রাজা অক্ষত্রিয় হইবেন এবং বিপ্রগণ শূদ্রোপজীবী হইবেন । উচ্চাসনোপবিষ্ট অল্পবুদ্ধি শুদ্ৰগণ ব্রাহ্মণকে দেখিয়াও উচ্চাসন হইতে চলিত হইবে না; স্বল্পবুদ্ধি শুদ্রগণ দ্বিজেন্দ্রগণকে নিয়ত তাড়ন করবে। ব্রাহ্মণগণ নীচ ব্যক্তির স্থায় শূদ্রের কর্ণের নিকটে মুখ রাখিয়া আপন মুখের নিকটে হাত রাখিয়া বিনীতভাবে সেই শূদ্রের সহিত কথোপকথন করিবেন। কালের প্রভাবে ঐ কলিকালে রাজা ব্রাহ্মণের মধ্যস্থলে উচ্চাসনারূঢ় শূদ্ৰকে জানিতে পারিয়াও দণ্ড করিবেন না। যাহাদিগের অল্প শাস্ত্রজ্ঞান এবং অল্প সামর্থ্য ও ভাগ্য, তাহারা, সুগন্ধি পুষ্পে ও অন্যান্ত শুভ মঙ্গল দ্রব্য দ্বারা শুদ্রগণকে পূজা করবে। গৰ্ব্বিত শৃদ্ৰগণ ব্রাহ্মণগণকে কটাক্ষে অবলোকন করিবে না । ১—১৬। ঐ কলিকালে |್ಲಿ ব্রাহ্মণগণ বাহনারূঢ় শুদ্রগণকে বেষ্টন করিয়া সেবায় তৎপর থাকিবে, ও নানাবিধ স্তুতিতে দেশের বিপৰ্য্যয় ঘটিবে। কলিকালে শাস্ত্রের আর স্তু করিবে। ঐ কলিতে ব্ৰাহ্মণশ্রেষ্ঠগণ অপোযজ্ঞপ্রমাণ্য থাকিবে না, মনুষ্যেরা নিয়ত অধৰ্ম্মপরায়ণ ফলের বিক্রেত হইবেন এবং কলিতে অনেকানেক হইবে এবং সকলে অধাৰ্ম্মিক, অনাচার, মহাক্রোধী সন্ন্যাৰীবেশধারীও দেখা যাইবে । কলিতে পুরুষের ও নীচচেতা হইবে। কলিকালোৎপন্ন নিদিত ভাগ অল্প হইবে, আর স্ত্রীর ভাগ অধিক হইবে। প্রজাগণ দুরভিসন্ধি ও দুরভিলাষই আশ্রয় করিবে এবং ব্রঙ্কুণগণ বেদাদি বিদ্যা ও শ্রেীতস্মাৰ্ত্তাদি কৰ্ম্মের নিন্দ দ্বরাচার ও দুরাগমসম্পন্ন হইয়া নিয়ত অমৃত বাক্য করবেন। ঐ কলিকালে দেবদেব শঙ্কর নীললোহিত প্রয়োগ করবে, লোভ হইবে। ঐ কলিযুগে ব্রাহ্মণের | মহাদেব ধর্মের প্রতিষ্ঠার নিমিত্ত বিকৃতকৃতি অর্থাৎ কৰ্ম্মদোষেই প্রজাদিগের ভয় জন্মিবে এবং সে সময় ব্রাহ্মণগণ বেদাধ্যয়ন পরিত্যাগ করিবেন এবং যাজনকার্যাও পরিত্যাগ করিবেন। ক্ষত্ৰিয় বৈশুগণ ক্রমশঃ উৎসাদ প্রাপ্ত হইবে। শূদ্রগণের ব্রাহ্মণের সহিত মন্ত্রোপদেশ-যোগে সম্বন্ধ জন্মিবে ; এবং একত্র শয়নভোজনাদিতেও ব্রাহ্মণের সহিত খুদ্রগণের সম্বন্ধ থাকিবে। নৃপতিগণ প্রায়ই শূদ্র হইবেন এবং তাহার নিয়ত ব্রাহ্মণের পীড়া দিবেন। কলিকালে এই ভারত ভূমিতে প্রজাতে ভ্রুণহত্য বীরহত্যা প্রভৃতি দোষ জন্মিবে; এবং শুঞ্জের ব্রাহ্মণের আচার ও ব্রাহ্মণগণ আচার অবলম্বন করিবেন। চেীরের রাজার লম্বন করবেন। পতিব্ৰতার ভাগ কম হইবে। আর বিচ্ছিন্ন-বিভিন্ন-লিঙ্গ-স্বরূপ হইয়া প্রকাশ পাইবেন। যে বিপ্রগণ সেই বিস্তৃতাকৃতি শঙ্করকে যে কোনরূপেও পুজা করিবেন, তাহার কলিদোষনিচয় জয় করিয়া পরম শিবপদ লাভ করিতে সমর্থ হইবেন। ঐ কলিযুগে শ্বাপদ সকল প্রবল হইবে, গো-গণ কেবল ক্ষয় পাইতে থাকিবে এবং সাধুলোকের বিনাশই হইতে থাকিবে। ঐ কলিতে আশ্রম-চতুষ্টয়ের শৈখিলা হইবে ; মহোদর্ক হুক্ষ দানমূল ধৰ্ম্ম প্রচলিত হইবে। নৃপতিগণ প্রজারক্ষণে অবহেলা করিকেন, কেবল করগ্রহণেই তংপর হইবেন। ঐ কলিতে সকলে স্ব স্ব রক্ষণে তৎপন্ন থাকিবেন, জনপদে কেরল অন্ন ও কল্প বিক্রয় হইতে থাকিবে, চতুপথে কে বিকল্প হইবে, স্ত্রীগণ বেখাবৃত্তি আচরণে পণ্যস্বরূপ