পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তই নিঃসন্দেহ । বৎস! তোমার এই দেহু বস্তুতঃ লৌকিক মহে, পূৰ্ব্বে দেব-দানব গন্ধৰ্ব্ব-লিঙ্ক-মুনিগণপূজিতবে তোমার দৈবিক দেহ, তাহা তোমার পিত কর্তৃক দৃষ্ট হইয়াছে। সংসারের এই স্বভাব যে, মুখদুঃখ পুনঃপুনঃ যাতায়াত করিতেছে। ১—২২ । বিী মানবের সপ্লৰাই স্ত্রী সঙ্গম পরিত্যাগ কর উচিত। সৰ্ব্বদেব মহেশ্বর এই কথা বলিয়া কোমল করকমলযুগলে আমাকে স্পর্শ করিলেন। পরে সেই প্রভাত্মা জরাথুস্ত নিত্য দুঃখবিবর্জিত অক্ষয় অব্যয় পিতা ও সুহজন স্বরূপ সুরেশ্বর বৃষভধ্বজ গণপতিগণ ও দেবীকে নিরীক্ষণ করিয়া বলিলেন, তুমি গণপতি হইবে ও আমার প্রিয়, আমার স্তায় বীৰ্য্যবান, আমার স্তায় পরাক্রমী, ও মহযোগ-বলান্বিত হইবে ; এবং সদাসৰ্ব্বদা তুমি আমার পার্শ্বগত হও, এরূপ আমার অভিলাষ জানিবে। গণব্যাহারী ভগবান মহাতেজা, বৃষধ্বজ এই কথা বলিয় আপনার কমলময়ী মালা উন্মোচন করিয়া আমার গলে প্রদান করিলেন। সেই কণ্ঠস্থিত মালার প্রভাবে আমার তখন তিন নেত্র, দশ ভুজ হইল। তখন আমি দ্বিতীয় শঙ্করের স্তায় প্রকাশ পাইতে লাগিলাম । পরে আমাকে পরমেশ্বর বৃষধ্বজ হস্ত দ্বারা স্পর্শ করিয়া বলিলেন, আজ তোমায় কি উত্তম বর প্রদান করিব, বল ? পরে স্বীয় জটাস্থিত বারি গ্রহণ করিয়া “এই জল নদীরূপে প্রবাহিত হউক” এই বলিয়া পরিত্যাগ করিলেন। পরে সেই জল, বিতোয়, পদ্ম-উৎপল-বল-বিরাজিত শুভ্রজলপরিপূর্ণ নদীরূপে প্রবৃত্ত হইল। সেই পরম শোভমান মন্ত্রদেবী নদীকে বলিলেন, যেহেতু তুমি এই জটাজলে উৎপন্ন হইয়াছ, অতএব জটোদক নামে পুণ্য সরিষ্কর হইবে । মানবগণ তোমাতে স্নান করিলেই সৰ্ব্বপাপ হইতে ৰিনির্মুক্ত হইবে। তাহার পর প্রভু মহাদেব শিলাঙ্গতময়কে দেবীর সম্মুখে “তোমার এই পুত্র” এই বলিয়া দেবীর পাদকমলে পতিত করাইলেন; পরে দেবী আমার মস্তক চুম্বন করত হন্ত দ্বারা আমার গাত্র স্পর্শ রিলেন। পরে দেব-দেবকে নিরীক্ষণ করিয়া, পুত্রদেহে আপন স্তন হইতে ক্রিস্রোতাকারে নিঃস্থত শখের স্তীয় শ্বেতবর্ণ স্কুগ্ধে আমাকে অভিষিক্ত করিলেন। দেবীর সেই স্তস্তষ্কের স্নোতক্ৰয় স্রোতস্বিনীরূপে পরিণত হইল। সেই ফেবদেব খ্রিশ্ৰোতঃ বলিয়া কীৰ্ত্তন করেন। বৃষ সেই মনীকে দেখিয়

  • द्वब ए६रेिऊ एऐश्वt;$रैष्करटन अंक कब्रेिण ! cमहे !

শৰে বৃক্ষান-সন্মুক্ত বলিয়া অঙ্ক এক নদী উৎপন্ন লিঙ্গপুরাণ। হইল। দেবদেব সেই নদীর নাম “বৃষধ্বনি রাখিলেন। তংপরে দেব বৃষধ্বজ মহেশ্বর আপন বিশ্বকৰ্ম্মনিৰ্ম্মিত সৰ্ব্বরত্নময় সোঁবর্ণচিত্র মুকুট আমার মস্তকে বন্ধন করিয়া দিলেন ও বৈদুর্ঘ্যবিভূষিত দিব্য সুন্দর কুঞ্চলদ্বয় আমার কর্ণে পরিধান করাইলেন । ২৩-৪৩ । দেবদেব কর্তৃক তাদৃশ অভ্যচ্চিত্ত আমাকে নিরীক্ষণ করিয়া প্রভাকর শুর্ঘ্য মেঘের সহিত মেঘজলে আমাকে অভিষিক্ত করিতে লাগিলেন। দিবাকর এইরূপ অভিষেক করিলে সেই জল সুবর্ণ হইতে বেগে নিঃস্থত হইয়া নদীরূপে প্রবৃত্ত হইল। সেই নদী সুবর্ণনিঃস্থতা বলিয়া দেবদেব তাহার স্বর্ণোঙ্গক নাম রাখিলেন। আর পুণ্য দ্বিতীয়া নদী জাম্বনাময় মুকুট হইতে নিঃস্থত হইয়া প্রবাহিত হইল ; সেই হেতু ঐ নদী জামূনদী বলিয়া কীৰ্ত্তিত হয়। যে এই পঞ্চনদে আগমন করিয়া ঐ জপ্য ঈশ্বরকে পূজা করে, সে যে শিবসাযুজ্য লাভ করিয়া থাকে, ইহাতে কোন সন্দেহ নাই । ৪৪–৪৮ অনন্তর সৰ্ব্বভুতপতি মহাদেব ভৰু অঙ্গাদেবী গিরিষ্কতাকে বললেন, হে দেবি ! এক্ষণে এই ভূতপতি গণেশ্বরকে অভিষেক করি এবং উহাকে গণেশ বলিয়া সম্ভাষণ করি ; হে অব্যয়! ইহাতে তোমার মত কি ? দেবের এতাদৃশ বাক্য শ্রবণে ভবানী প্রফুল্লবদন হইয়া ঈষৎ হাসিতে হাসিতে ভূতপতি ভবকে বলিলেন,—এই শৈলাদি যখন আমার তনয়, সুতরাং হে ভবানীপতে ! এই তনয়কে সৰ্ব্বলোকাধিপত্য ও গণেশ্বরত্ব প্রদান করা আপনার উচিত হইতেছে। পরে সর্বলোকেশ্বরেশ্বর বৃষধ্বজ দেবদেব ভগবান সৰ্ব্ব গণপতিকে স্মরণ করিলেন । ৪৯-৫২ । ত্ৰিচত্বারিংশ অধ্যায় সমাপ্ত । চতুশ্চত্বারিংশ অধ্যায়। শৈলাদি বলিলেন, রুদ্রদেবের স্মরণমাত্রেই সহস্ৰভূজ গণেশ্বরগণ তথায় আগমন করিলেন। তাহদের হস্তে সহস্ৰ সহস্ৰ সুতীক্ষু অস্ত্র, বদনমণ্ডলে উজ্জ্বল নয়নত্রয়ে সুশোভিত। দেবগণ, নিরস্তুর তাহাদের স্তব করিয়া থাকেন। তাহাজের কোটি কালারি স্থায় ভীষণ, মূৰ্ত্তি-শিরোদেশে জটাভার বিলম্বিত ও বানমণ্ডল বিকট দর্শনসমূহে ভীষণ। সেই নিৰ্ম্মলজোস্তি নিত্যরূপ প্রভূজশিলী গণেশ্বরসমূহ খ্ৰীয় স্বীয় প্রভাবলে কোটগণেরঞ্জুিল্য অসংখ্য। উtহারা আনন্দে বিহ্বল