পাতা:লিঙ্গপুরাণ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

تواوفي পৰ্ব্বত আছে,-তাহার উত্তরে নীলাচল, তাহার উত্তরে শ্বেত পৰ্ব্বত, তাহার উত্তরে শুঙ্গী, তাহার উত্তরে তিলুট বর্ষপৰ্ব্বত। মেরুর পূর্বদিকে জঠর ও দেবকূট নামে পৰ্ব্বত বিদ্যমান আছে, দক্ষিণে নিষধ পৰ্ব্বত এবং তাহীর দক্ষিণে হেমকূট নামে গিরি ও তাহার দক্ষিণে হিমালয় ; মেরুর পশ্চিমে মাল্যবান ও গন্ধ মাদন, এই দুই পৰ্ব্বত বিদ্যমান আছে। এই পৰ্ব্বত‘সমুহে সিদ্ধচারণগণ নিয়ত অবস্থান কবিয়া থাকেন। ইহাদের প্রত্যেকের অভ্যন্তরে দুরত নব সহস্ৰযোজন এই হৈমবতবৰ্ষ, ইহাই ভারতবর্ষ নামে খ্যাত হইয়াছে। হেমকুটের পর কিন্পুরুষবর্ষ। হেমকূট হইতে নৈষধপৰ্ব্বত পৰ্য্যন্ত হরিবর্ষ । হরিবর্যেয় পর হইতে মেরু পর্য্যন্ত ইলাবৃত বর্ষ। ইলাবৃত হইতে নীলাচল পৰ্য্যস্ত রম্যক বর্ষ। রম্যক হইতে শ্বেত পর্যন্ত হিরণীয়বর্ষ হিরন্ময় বর্যের পর শুঙ্গী নামক পৰ্ব্বত তাহা পর কুরু বর্ষ, তাহার দক্ষিণোত্তরে ধনুরাকারে অবস্থিত দুইট বর্ষা আছে। তাহাতে দীর্ঘ চারি বর্ষ। তাহার মধ্যে ইলাবৃত বর্ষ। মেকর পূর্ব ও পশ্চিমে দুই বর্ধ, তাহাও দীর্ঘ নহে। নিষধ পৰ্ব্বতের উত্তরস্থিত প্রদেশ বেদ্যা। বেদ্যার্দের দক্ষিণে তিন বর্ষ। উত্তরে তিন বর্ষ। ইহার মধ্যে মেরু-মধ্যস্থিত ইলাবৃত বর্য , এবং নীলাচলের দক্ষিণে নিষধের উত্তরে মাল্যবান নামে মহাপর্কত বিদ্যমান আছে। তাহার উপরিভাগ ছুইসহস্ৰযোজন বিস্তৃত। তাহার রায়াম চতুঞ্জিংশ সহস্ৰযোজন। তাহার পশ্চিমদিকে গন্ধ মাদন নামে এক পৰ্ব্বত আছে, সেই পৰ্ব্বত আমে মাল্যবানের স্তায় বিস্তৃত। জম্বদ্বীপের চারিদিকৃ সমান বিষ্কারবশতঃ এই ছয়ট বর্ষ পৰ্ব্বত পুরোভাগে আয়ত হইয়া পশ্চিম ও পুৰ্ব্ব সমুদ্রে অবনত হইয়াছে। ১—১৭। হিমালয় পৰ্ব্বত হিমযুক্ত, হেমকূট ও হেমবিশিষ্ট্র নিষধ বালাতপের স্তায় প্রদীপ্ত এবং হিরণ্য. বিশিষ্ট। মেরু নামক পৰ্ব্বত রত্নময় সাতুতে সুশোভিত ও চারিবর্ণে বিচিত্র দৃপ্ত তাহার বিস্তৃতি উৰ্বদিকে, আকু’ মুগোল এবং তাহার বিশালত চারিদিকে নীলাচল বৈদুৰ্য্য-মণিময়, শ্বেত পৰ্ব্বত ক্রীড়া করেন, সেই পাৰ্ব্বত্য কাননে চারিট সরোবর শুরুষ এবং হিরা পৰ্ব্বতের বর্ণময় পিচ্ছের স্থায়। শুী পৰ্ব্বত হুবর্ণময় শৃঙ্গত্রয়ে সুশোভিত। এই সমস্ত বিক সংক্ষেপে ধৰ্ম করিলাম ; এক্ষণে শ্রেষ্ঠ গিরিকথা বলিতেছি, শ্রবণ কর। মশার ও এই দুই পৰ্ব্বও পূৰ্ব্ব দিকে বিদ্যমান আছে । কৈলাস, গন্ধমান ও মেধাম পৰ্ব্বও-ইহারা পূৰ্ব্ব পশ্চিমে অদ্ভুত ও সমুদ্র পর্যন্ত প্রষ্টি। নিবন্ধ ও লিঙ্গপুরাণ পারিপাত্র,—এই দুই পৰ্কত পশ্চিম দিকুকে আশ্বধ করিয়া অবস্থান করিতেছে। এই পৰ্ব্বতদ্বয়ের যেরূপ পূৰ্ব্বভাগ, সেইরূপ দক্ষিণ ভাগ। ১৮–২৩ । ত্রিশৃঙ্গ ও জাৰুধি,—এই দুই পৰ্ব্বত উত্তরদিকে বিদ্যমান আছে । ইহারা পূৰ্ব্বদিকে আয়ত ও সমুদ্র পর্যন্ত প্রবিষ্ট । মনীষিগণ এই পৰ্ব্বতসমুহকে সীম-পৰ্ব্বত বলিয়া কল্পনা করিয়াছেন। হে বিপ্রকুলোত্তমগণ ! মেরুনামক কনকপৰ্ব্বত অতি উচ্চ। ইহার চারিট প্রত্যন্ত পৰ্ব্বত, চারিদিকে চারিট শ্রেষ্ঠ পৰ্ব্বতরূপে বিখ্যাত। সপ্তদ্বীপা পৃথিবী তাহদের সহিত দৃঢ়রপে সংলগ্ন হুইয়া অবিচলিতভাবে অবস্থান করিতেছে । তাহাদের আয়াম দশ সহস্ৰ যোজন। সেই চারিটি পৰ্ব্বতের মধ্যে পূৰ্ব্বদিকে মন্দর, দক্ষিণে গন্ধমাদন, পশ্চিমে বিপুল এবং উত্তরে সুপার্শ্ব। এই সমস্ত পৰ্ব্বতের উপরিভাগে কেতুর ন্তায় চারিটী বৃক্ষ আছে। তাহার মধ্যে মন্দর পর্বতের শৃঙ্গে কেতুর রাজা স্বরূপ কদম্ব বৃক্ষ আছে। তাহার সুবিস্তৃত শাখাচয় চারিদিকে বিলম্বিত হইয৷ শোভা পাইতেছে । এইরূপ দক্ষিণদিকৃস্থ গন্ধমাদন পৰ্ব্বতের উপরিস্থিত শুঙ্গে পবিত্র ফলশালী জম্ব-বৃক্ষ আছে। তাহা মনোহর মালাজালে সুশোভিত ও দেবগণ সেই বৃক্ষ-শ্রেষ্ঠের বহু সম্মান করিা থাকেন। সেই প্রস্থ বৃক্ষ কেতুস্বরূপ ও লোকপ্রসিদ্ধ। পশ্চিমদিকৃস্থ বিপুলাচলের শিখরদেশে এক মহাত্মশ্বখ বৃক্ষ আছে। উত্তরদিকস্থিত সুপার্থ পৰ্ব্বতের শৃঙ্গে বিপুল শাখাপল্লবাদযুক্ত উড়ম্বর বৃক্ষ আছে। সেই বৃক্ষ বহুযোজন বিস্তৃত। হে বিপ্ৰগণ । | ত্রমান্বযে সেই শৈলচতুষ্টয়ের বিষ্য বিশেষরূপে বর্ণন করিতেছি । সেই শৈলচতুষ্টয়ে সৰ্ব্বকালরমণীয় ও অমামুৰিক ভাৰ সম্পন্ন দেবতাদিগের ক্রীড়ার একমাত্র স্থান মনোহর চরিটী বন আছে। সেই বনচতুষ্ট্রয়ের মধ্যে পুৰ্ব্বে চৈত্ররথ, দক্ষিণে গন্ধমাদন, পশ্চিমে বৈভ্রাজ ও উত্তরে শিবের হন। এইরূপ পুরে মিত্ৰেশ্বর, দক্ষিণে ষষ্ঠের্শ্বর, পশ্চিমে বর্য্যেশ্বর ও উত্তরে জামকেশ্বর। হে মুনিশ্রেষ্ঠগণ। যেখানে মুনিগণ আছে। পূৰ্ব্বে অরুণোদয় সরোবর, দক্ষিণে মানস সরোবর, পশ্চিমে সিতোদ-নামক সরোবর ও উত্তরে মহাভদ্র নামক সরোবর। দক্ষিণে শাখের ক্ষেত্র, পশ্চিমে বিশাখের ক্ষেত্র, উত্তরে সৈগমেয়ের ক্ষেত্র এবং পূৰ্ব্বে কুমারের ক্ষেত্র। অরুণোদ-নামক সরোবরের পূর্বদিকে স্বামপ্রসিদ্ধযে শৈলেশ্ৰুগণ বিদ্যমান আছে, তাহদের বিষয় সংক্ষেপক্লপে বর্ণমা করিতেছি,