পূৰ্ব্বভাগ বিস্তাররূপে ৰূর্ন করিতে সক্ষম হইব না। তাহানের নাম পিতাস্ত, কুরং, কুবর, বিক্র, মণিশৈল, বৃক্ষবা, মহানীল, রুচক, সবিন্দু, দদুর, বেণুমান, সমেষ, নিষধ, দেবপৰ্ব্বত। এই সমস্ত শ্রেষ্ঠপৰ্ব্বত ও অন্তান্ত গিরিসমুহও ক্রমান্বয়ে বিদ্যমান আছে। ইহারা মন্দর পৰ্ব্বতের পূৰ্ব্বভাগে সিদ্ধগণের আবাসস্থান বলিয়৷ কল্পিত হইয়াছে। সেই সেই গিরীন্দ্রসমূহে, বনে, গুহায়, রুদ্রক্ষেত্র এবং ক্ষেত্র আছে । মানসসরোবরের দক্ষিণে অনেক মহাচল আছে । তাহদের সকলের বিষয় সংক্ষেপে বর্ণন করিতেছি, তাহদের নাম শৈল, বিশির, শিখর একশৃঙ্গ, মহাশূল, গজশৈল, পিশাচক, পঞ্চশৈল, কৈলাস ও হিমূলয়। এই সমস্ত পৰ্ব্বত অতি উচ্চ ও দেবতাদিগের আবাস-স্থান। ইহার প্রত্যেক পৰ্ব্বতে বন ও গুহাতে সুরশ্রেষ্ঠগণ বিচিত্র রুদ্রক্ষেত্র সংস্থাপন করিয়াছেন । দক্ষিণদিকের কথা তোমাদিগকে বলিলাম। এক্ষণে পশ্চিমদিকের কথা বলিতেছি। ২৪-৪৯ ॥ সিতোদ সরোবরের পশ্চিমে স্বরপ, মহাবল, কুমুদ, মধুমান, অঞ্জন, মুকুট, কৃষ্ণ,পাণ্ডু, সহস্রশিখর, পারিজাত, শৈলেশ্র, শ্ৰীশুঙ্গ। এই সমস্ত পৰ্ব্বত দেবতাদিগের আবাসস্থান অতি উচ্চ এবং রুদ্রক্ষেত্রযুক্ত। মহাভদ্র সরোবরের উত্তরে যে সমস্ত পৰ্ব্বত আছে, তাহদের বিষয় সংক্ষেপে বর্ণন কারতেছি, অবগত হও। তাহদের নাম —শঙ্খকুট, মহাশৈল, বৃষভ, হংসপৰ্ব্বত, নাগ, কপিল, ইন্দ্রশৈল, সামুমান, নীল, কণ্টকশঙ্গ, শতশৃঙ্গ, পুষ্পকো, প্রশৈল, বিরজ, বরাহপৰ্ব্বত ময়ুরপর্বত, জারুধি, শৈলেন্দ্র, ইহার উত্তরদিকে বৰ্ত্তমান রহিয়াছে। এই সমস্ত স্বৰ্গীয় শৈলসমূহ দেবদেব ভূতনাথের অসংখ্য সপ্ততল ভবনে শোভা পাইতেছে। এই সমস্ত পৰ্ব্বতের অভ্যস্তরে দ্রোণী সরোবর ও বন প্রভৃতি বিদ্যমান আছে। তাহাতে শিবপরায়ণ দেবগণ, মুনিগণ ও সিদ্ধগণ পিতামহের অনুগ্রহে সন্ত্রীক অবস্থান করেন। এইরূপে বিপ্লবনে লক্ষ্মী প্রভৃতি দেবীগণ, অর্জুনৰ্বক্ষবনে কগুপ প্রভূতি, তালবনে ইন্দ্র বামন এবং প্রধান সৰ্পগণ উডুস্বরবনে কর্দম এবং অস্তান্ত মহাত্মাগণ অবস্থান করেন এবং পুণ্যময় আম্রবনে বিদ্যাধর ও সিদ্ধগণ, নিধুবনে নাগসমূহ ও সিদ্ধগণ অবস্থান করেন। সেইরূপ কিংশুক্রবনে স্বৰ্ঘ্য ও রুদ্রগণ, বীজপুরুবনে বৃহস্পতি, কৌমুদ্রবনে বিষ্ণু প্রভৃতি মহাত্মাগণ এবং স্থলপদ্মবনে ও গুঞ্জেীখনে লাগরাজ অনন্ত অবস্থান করেন। অনন্তদেব জগতের কালস্বরূপ এবং তিনিই পাতালে অবস্থান করেন। তিনি বিশ্বগুরু বিষ্ণুমূৰ্ত্তি ও لإيثيN সাক্ষাং বলরামের স্বরূপ। দেবশ্রেষ্ঠ গ্রীহরি তাহাকে শয়নরূপে কল্পনা করিয়াছিলেন এবং তিনি বিভুর কঙ্কণ স্বরূপ। পনসংঙ্কের বনে শুক্র ও দানবগণ, শিখধুন কিম্বুরবর্গের সহিত উরগগণ অবস্থান করেন এবং মনোহরবনে বৃক্ষগণ সৰ্ব্বকোটীসমন্বিত ;-aতাহাতে নন্দীশ্বৰু গণসমূহের স্তবে সম্ভোবসহকারে অবস্থান করেন। সস্তনকস্থলীমধ্যে সাক্ষাং, সরস্বতীদেবী অবস্থান করেন। এইরূপ সংক্ষেপে বনসমূহে বনবাসীদিগের, বিষয় উক্ত হইল ; কিন্তু এ সমস্ত বিষয় অসংখ্য ; বিস্তররূপে বর্ণন করিতে সক্ষম নহি । ১৮-৬৯। উনপঞ্চাশ অধ্যায় সমাপ্ত । পঞ্চাশ অধ্যায়ু । স্থত বলিলেন, হে দ্বিজাসত্ত্বমগণ সিতান্ত পৰ্ব্বতের শিখরদেশে পারিজাতবনে দেবরাজ ইন্দ্র অবস্থান করেন। তাহার পূর্বদিকে অতি বিস্তৃত কুমুদ নামে পৰ্ব্বত আছে। তাহাতে দানবদিগের আটট পুর আছে। হে দ্বিজকুলাবতংসগণ। ঐরপ পুণ্যময় সুবৰ্ণকোটরে মহাত্মা নীলক প্রভৃতি রাক্ষসগণের অষ্ট্রষষ্টসংখ্যক পুর বিদ্যমান আছে। শৈলশ্রেষ্ঠ মহানীল পৰ্ব্বতে অশ্বমুখ কিন্নরগণের পঞ্চদশ ভবন আছে, এবং মহাশৈল বেণুসোঁধ পৰ্ব্বতে বিদ্যাধরগণের তিনটী পুর আছে। বৈকুণ্ঠে গরুড়, করঞ্জে নীললোহিত বিরাজ করেন ও বমুধারে বহুদিগের নিবাস কল্পিত আছে। গিরিশ্ৰেষ্ঠ রত্বধারে সিদ্ধায়তনযুক্ত পবিত্র সপ্তর্ষিগণের সংস্থান নিরূপিত হইয়াছে এবং নগশ্রেষ্ঠ এক শৃঙ্গে প্রজাপতির আয়তন। গজশৈলে দুর্গ প্রভৃতি দেবীগণের আয়তন। সুমেধ পৰ্ব্বতে বসুগণের নিবাস এবং আদিত্যগণ, রুদগণ ও অশ্বিনীকুমারদ্বয় ইহঁদের নিবাস। অশীতিসংখ্যক মুরপুরী হৈমকক্ষ পৰ্ব্বতে নিদিষ্ট আছে। ১-৮। ঐরাপ মুনীলপৰ্ব্বতে রাক্ষসদিগের পঞ্চকোটিশত-সংখ্যক ভবন ও পঞ্চকোটে পঞ্চকোটি পুর নিরূপিত হইয়াছে। শতশৃঙ্গপৰ্ব্বতে অতি তেজস্বী যক্ষদিগের একশত ভবন কল্পিত আছে । হে বিপ্রশ্রেষ্ঠগণ ! তাম্রাভ পৰ্ব্বতে কাড়বেয়দিগের আবাস ; বিশাখে গুহেরু আবাস; গেতোরে সুগণের আবাস ; পিশাচক পৰ্ব্বতে কুবেরের আবাস ; হরিকুটে শ্ৰীহরির আবাস, কুমুদ পৰ্ব্বতে কিন্নরদিগের আবাস, অঞ্চনপৰ্ব্বতে চরণদিগের আবাস; কৃষ্ণপৰ্ব্বতে গন্ধৰ্ব্ব দিগের আশ্বাস এবং পাণ্ডুপৰ্ব্বতে বিশ্বের অশোভোগযুক্ত বিদ্যারদিগের সপ্তপুর নিরূপিত আছে। হেগ্লুিক গৰ । ঐরাপ সহস্ৰ-শিখ পৰ্ব্বতে উগ্রকল্প। দ্বৈত),
