বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
কর্ত্তার ভূত
৮৫

এখন কথাটা দাঁড়িয়েছে, “খাজনা দেব কিসে?”

এতকাল উত্তর দক্ষিণ পূব পশ্চিম থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে নানা জাতের বুলবুলি এসে বেবাক ধান খেয়ে গেল, কারো হুঁস ছিল না। জগতে যারা হুঁশিয়ার এরা তাদের কাছে ঘেঁষতে চায় না, পাছে প্রায়শ্চিত্ত কর্‌তে হয়। কিন্তু তারা অকস্মাৎ এদের অত্যন্ত কাছে ঘেঁষে, এবং প্রায়শ্চিত্তও করে না। শিরোমণি চূড়ামণির দল পুঁথি খুলে বলেন, “বেহুঁস্‌ যারা তারাই পবিত্র, হুঁসিয়ার যারা তারাই অশুচি, অতএব হুঁসিয়ারদের প্রতি উদাসীন থেকো, প্রবুদ্ধমিব সুপ্তঃ।”

শুনে সকলের অত্যন্ত আনন্দ হয়।

কিন্তু তৎসত্ত্বেও এ প্রশ্নকে ঠেকানো যায় না; “খাজ্‌না দেব কিসে?”

শ্মশান থেকে মশান থেকে ঝোড়ো হাওয়ায় হাহা করে’ তার উত্তর আসে, “আব্রু দিয়ে, ইজ্জৎ দিয়ে, ইমান্‌ দিয়ে, বুকের রক্ত দিয়ে।”

প্রশ্নমাত্রেরই দোষ এই যে, যখন আসে এক আসে না। তাই আরো একটা প্রশ্ন উঠে পড়েছে; “ভূতের শাসনটাই কি অনন্তকাল চল্‌বে?”

শুনে ঘুম-পাড়ানী মাসি পিসি আর মাস্‌তুত