পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নতুন পুতুল Q (t তেমনিই সে বোঝে না যে তার নাৎনীর বয়স হয়েছে ষোলো । যেখানে গাছতলায় বসে বুড়ে ক্ষেত আগলায় আর ক্ষণে ক্ষণে ঘুমে ঢুলে পড়ে সেখানে নাৎনী গিয়ে তার গলা জড়িয়ে ধরে, বুড়োর বুকের হাড়গুলো পৰ্য্যন্ত খুসি হয়ে ওঠে। সে বলে, “কি দাদী, কি চাই ?” । নাৎনী বলে, “আমাকে পুতুল গড়িয়ে দাও, আমি খেলব।” বুড়ে বলে, “আরে ভাই, আমার পুতুল তোর পছন্দ হবে কেন ?” , নাৎনী বলে, “তোমার চেয়ে ভাল পুতুল কে গড়ে শুনি ?” বুড়ে বলে, “কেন, কিষণলাল !” নাৎনী বলে, “ইস্ ! কিষণলালের সাধ্যি ” দুজনের এই কথা-কাটাকাটি কতবার হয়েচে । বারে বারে একই কথা ! i তারপরে বুড়ে তার ঝুলি থেকে মাল-মসলা বের করে—চোখে মস্ত গোল চষমাট আঁটে। নাৎনীকে বলে, “কিন্তু দাদী, ভুট্টা যে কাকে খেয়ে যাবে ” নাৎনী বলে, “দাদা আমি কাক তাড়াব।” বেলা বয়ে যায় ; দূরে ইদারা থেকে বলদে জল