পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাণ মন ১৫৭ —“স্মৃষ্টি আবার ঘেরের মধ্যে ! তোমার কথা বোঝবার জো নেই।” আমি বল লেম, “যেমন তীরের মধ্যে বাধা পড়ে হয় নদী, তেমনি ঘেরের মধ্যে ধরা পড়েই ত স্মৃষ্টি। একই জিনিষ ঘেরের মধ্যে আটকা পড়ে কোথাও হীরের টুকরো, কোথাও বটের গাছ।” গাছ বললে, “তোমার ঘেরট কি রকম শুনি " আমি বললেম, “সেইটি আমার মন । তার মধ্যে যা ধরা পড়চে তাই নানা স্থষ্টি হয়ে উঠচে।” গাছ বললে, “তোমার সেই বেড়া-ঘেরা সৃষ্টিট আমাদের চন্দ্র-সূর্য্যের পাশে কতটুকুই বা দেখায় ? আমি বললেম, “চন্দ্ৰ-সূৰ্য্যকে দিয়ে তাকে ত মাপা যায় না, চন্দ্ৰ-সূৰ্য্য যে বাইরের জিনিষ ।” —“তাহ’লে মাপ বে কি দিয়ে ?” —“মুখ দিয়ে—বিশেষত দুঃখ দিয়ে।” গাছ বললে, “এই পুবে হাওয়া আমার কানে কানে কথা কয়, আমার প্রাণে প্রাণে তার সাড়া জাগে । কিন্তু তুমি যে কিসের কথা বললে আমি কিছুই বুঝলেম না।” আমি বললেম, “বোঝাই কি করে ? তোমার ঐ পূবে হাওয়াকে আমাদের বেড়ার মধ্যে ধরে বীণার তারে যেমনি বেঁধে ফেলেচি অমনি সেই হাওয়া এক