পাতা:লিপিকা-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.djvu/৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সুয়োরাণীর সাধ

 সুয়োরাণীর বুঝি মরণকাল এল।

 তার প্রাণ হাঁপিয়ে উঠ্‌চে, তার কিছুই ভালো লাগ্‌চে না। বদ্দি বড়ি নিয়ে এল। মধু দিয়ে মেড়ে বল্‌লে, “খাও।” সে ঠেলে ফেলে দিলে।

 রাজার কানে খবর গেল। রাজা তাড়াতাড়ি সভা ছেড়ে এল। পাশে বসে জিজ্ঞাসা করলে, “তোমার কী হয়েছে, কী চাই?”

 সে গুম্‌রে উঠে বল্‌লে, “তোমরা সবাই যাও; একবার আমার স্যাঙাৎনীকে ডেকে দাও।”

 স্যাঙাৎনী এল। রানী তার হাত ধরে বল্‌লে, “সই, বস। কথা আছে।”

 স্যাঙাৎনী বল্‌লে, “প্রকাশ করে বল।”

 সুয়োরাণী বল্‌লে, “আমার সাতমহলা বাড়ির একধারে তিনটে মহল ছিল দুয়োরাণীর। তারপরে হল দুটো, তারপরে হল একটা। তারপরে রাজবাড়ী থেকে সে বের হয়ে গেল।