পাতা:লুকোচুরি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪
দারােগার দপ্তর, ১৯৬ সংখ্যা।

করিতে পারি, তাহার উপায় করিব। ইত্যবসরে আমার অনুরোধ এই যে, আপনি বা আপনার স্ত্রী একা যেন গৃহের বাহির না হন। যেখানে যাইবেন, অন্ততঃ একজন লোকও সঙ্গে লইবেন। গাড়ীতে যান, পাল্কীতে যান কিম্বা নৌকাযোগেই যান, কোন সঙ্গী না লইয়া কোথাও যাইবেন না।”

 অনথনাথের মুখ সহসা মলিন হইয়া গেল। তিনি ভীত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “আমিও একা বাহির হইতে পারিব না? এই মাত্র আপনি বলিলেন, আমার নিজের ভয়ের কোন কারণ নাই?”

 আমি হাসিতে হাসিতে বলিলাম, “সাবধানের বিনাশ নাই। নতুবা এই শূকর-ব্যাপারে সত্যই আপনার নিজের ভয়ের কোন কারণ নাই। যখন পত্রখানি কলিকাতা হইতেই প্রেরিত হইয়াছে, তখন পত্র-প্রেরক নিশ্চয়ই কলিকাতায় আছেন। আপনার সন্ধান পাইলেই আপনার স্ত্রীর সন্ধান পাইবে জানিয়া, তাহারা আপনার অনুসরণ করিতে পারে, সেই জন্যই সাবধান হইতে বলিয়াছি।”

 অনাথনাথ আমার কথায় আশ্চর্য্যান্বিত হইলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করিলেন, “আপনি কেমন করিয়া জানিলেন, পত্রখানি কলিকাতা হইতেই প্রেরিত।”

 আ। খামের উপর পোষ্টাফিসের মোহর দেখিলেই বুঝতে পারিবেন, পত্রখনি বড় ডাকঘরে ফেলা হইয়াছিল।

 অ। কতদিন আমাদিগকে এমনভাবে থাকিতে হইবে?

 আ। পরশ্ব বেলা একটার পর আপনি থানায় যাইবেন। সেদিন যেমন বলিব, সেই মতই করিবেন। এখনও তত ভয়ের কারণ নাই।

 অ। কেন? উহাতে কি লেখা আছে, বুঝিতে পারিলাম না।