সুশীলবাবুর বাড়ীতে দেখা হইবে। তবে যদি তাহার পূর্ব্বে আর কোন পত্র পান, তাহা হইলে সে পত্র তখনই আমার নিকট পাঠাইয়া দিতে বিলম্ব করিবেন না। ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, আপনাদের যেন আর কোন কষ্ট না হয়।”
পঞ্চম পরিচ্ছেদ।
◇◇◇◇◇◇
সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছে। পূর্ব্বগগনে পূর্ণচন্দ্র উদিত হইয়াছে। মেঘমুক্ত সুনীল অম্বরে নিশানাথ রজত শুভ্র কোমল জ্যোৎস্নায় চারিদিক আলোকিত করিতেছে। মন্দ মন্দ মলয় পবন প্রস্ফুটিত কুসুম-সৌরভ বহন করিয়া জনগণের মনে বিপুল আনন্দ দান করিতেছে।
আমি যখন সুশীলভট্টাচার্য্যের বাড়ীতে পঁহুছিলাম, তখন সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গিয়াছিল। সুশীল আমার বাল্যবন্ধু, তাহার উপর আমার ভ্রাতুষ্পত্রের শ্বশুর। তিনি বাটীর সদর দ্বারে দণ্ডাইয়া নিমন্ত্রিত লোকগণের অভ্যর্থনা করিতেছিলেন। পৌত্রের অন্নপ্রাশন উপলক্ষে তিনি প্রচুর আয়োজন করিয়াছিলেন।
বাড়ীতে লোকে লোকারণ্য। চারিদিকেই গোলযোগ। কোথাও নিমন্ত্রিতগণ আহার করিতে বসিয়াছেন, কোথাও বা আহারান্তে গাত্রোত্থান করিতেছেন, কোথাও আবার আহারের স্থান হইতেছে। এই প্রকার সকল স্থানেই গোলমাল। আমি একটী নিভৃত স্থান দেখিয়া বসিয়া পড়িলাম।