পাতা:লুকোচুরি - প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দারােগার দপ্তর, ১৯৬ সংখ্যা।




 আমি কোন কথা কহিলাম না। অনাথনাথ গৃহমধ্যস্থ একটী দ্বার খুলিয়া দিলেন এবং ঠিক তাহার নিকটে গিয়া উপবেশন করিলেন। পরে আমাকেও সেই স্থানে যাইতে অনুরোধ করিলেন। আমিও অগত্যা সেইখানে গিয়া বসিলাম।

 কিছুক্ষণ পরে অনাথনাথ একটা স্বর্ণ-নির্ম্মিত ক্ষুদ্র শূকর ও একখানি পত্র বাহির করিয়া আমার হস্তে প্রদান করিয়া বলিলেন, “এই সোনার শূকর ও এই কাগজে অঙ্কিত শূকরমূর্ত্তি দেখিয়া আপনার মনে কি কোন সন্দেহ হয়? এই দুই পদার্থের মধ্যে কোন প্রকার সংশ্রব আছে কি?”

 আমি দুইটী দ্রব্যই হাতে লইয়া উত্তমরূপে নিরীক্ষণ করিলাম। দেখিলাম, স্বর্ণ-নির্ম্মিত ক্ষুদ্র শূকরটী মস্তকের অলঙ্কাররূপে ব্যবহৃত হইয়া থাকে। শূকরটীতে অন্ততঃ দুই ভরি বিশুদ্ধ স্বর্ণ আছে, এবং উহা কোন ইংরাজকারিকরের দ্বারা গঠিত। দেশীয় কারিকর কর্ত্তৃক প্রস্তুত করা হইলে শূকরমূর্ত্তি ঐ প্রকার হইত না বলিয়াই আমার বিশ্বাস হইল। যে কাগজখানি পাইলাম, তাহাতেও অবিকল ঐ প্রকার শূকর-মূর্ত্তি অঙ্কিত ছিল। কিন্তু কাগজখানিতে অপর কতকগুলি লেখায় পরিপূর্ণ। লেখাগুলি কাগজে যেমন ছিল, নিম্নে সেইরূপ লিখিত হইল।

 বছিনি হুএয়া দিইমৃ নপত্যু পত্রর রেপ্রজ সথন্য ন্ধামপ্র ননিস্তু পাশাত ইনাহ য়াজাও।”

 আমি কিছুক্ষণ ঐ কাগজখানি অতি মনোযোগের সহিত দেখিতে লাগিলাম, কিন্তু দুঃখের বিষয়—সহজে উহার কোন অর্থ উপলব্ধি করিতে পারিলাম না।

 আমাকে নিস্তব্ধ দেখিয়া অনাথনাথ জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিছু