সাহেব। তুমি দেশে যাও না কেন?
সুরেশ। আমার দেশ কলিকাতা।
সাহেব। কলিকাতা ছেড়ে মাদ্রাজে এলে কেন?
সুরেশ। আমি কলিকাতায় স্পেন্সেস হোটেলে চাকুরী করিতাম। সেখান হইতে রেঙ্গুনে যাই। সেখানে কোন চাকুরী জোগাড় করতে না পারিয়া মাদ্রাজে আসি। এখানেও কিছুই জোগাড় করিতে পারিতেছি না।
সাহেব। এখানে যে কেহ তোমার সাহায্য করিবে এমত বোধ হয় না।
সুরেশ। তা আমি বুঝিয়াছি। এক্ষণে আমাকে অনাহারে মরিতে হইবে!
সাহেব। কতদূর লেখা পড়া করিয়াছ?
লণ্ডন মিশন কলেজে কয় বৎসর লেখা পড়া করিয়াছি। কিছু কিছু ইংরাজী ও বাঙ্গলা জানি।
সাহেব। তুমি কি খ্রীষ্টান?
সুরেশ। হাঁ মহাশয়! আসটন সাহেব আমাকে খ্রীষ্টান করেন।
বৃদ্ধসাহেব কিয়ৎক্ষণ নীরবে রহিলেন। তাঁহারা উভয়েই কথা কহিতে কহিতে চলিতেছিলেন। যদিও সুরেশ সাহেবকে আরও অনেক কথা বলিতে ইচ্ছুক হইলেন, কিন্তু মনের সে ইচ্ছা মনেই রাখিলেন, সাহেবকে বিরক্ত করা কর্ত্তব্য বিবেচনা করিলেন না। বহুক্ষণ নীরবে থাকিয়া সাহেব বলিলেন, “তুমি কি কাজ করিতে পার, মনে কর?”
সুরেশ। যাতে আমি বাড়ী ফিরে যাবার ভাড়া সংগ্রহ