পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩০
লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

স্থার হীনতা যতদূর হওয়া সম্ভব তাহা হইয়াছে, কিন্তু তবুও তিনি আশা ছাড়েন নাই।

 সম্বাদপত্র বিক্রয় আর ভাল না লাগায় তিনি এ কার্য্য পরিত্যাগ করিলেন। তার পর কয়েকদিন অতি কষ্টে কাটাইলেন। যখন সম্বাদপত্র বিক্রয় করিতেন, তখন তাঁহার আহারের ক্লেশ ছিল না, এক্ষণে তা দেখা দিল। কোন দিন কিছু আহার জুটিত, কোন দিন একেবারেই কিছু জুটিত না। এ সময়ে তাঁহার কোন নির্দ্দিষ্ট কাজ ছিল না,—যখন যে দিন যাহা ফুটিত, তখন তাহা করিয়া দুই এক শিলিং উপার্জ্জন করিতেন এবং অতি কষ্টে সে দিনটা কাটাইয়া দিতেন। এই সময়ে তিনি অনুসন্ধান করিয়া আসটন সাহেবের জনক জননীর সহিত সাক্ষাৎ করিয়াছিলেন। তাঁহারা অতি সাদরে তাঁহাকে অভ্যর্থনকরিয়াছিলেন। মধ্যে মধ্যে তাঁহারা কিছু কিছু অর্থও সাহায্য করিতেন। যাহাতে তাঁহার কোন একটা কাজের সুবিধা হয়, তাহার জন্যে বিশেষ যত্নও পাইয়াছিলেন,—কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ তাঁহারাও সুরেশের কোন কাজ জোগাড় করিয়া দিতে পারেন নাই।

 তাঁহার অবস্থা ঘোরতর শোচনীয় হইয়া দাঁড়াইল। অনাহার মুখ ব্যাদন করিয়া তাঁহাকে গ্রাস করিতে উদ্যত হইল। বাড়ীওয়ালী ভাড়া না পাইয়া তাঁহাকে গৃহ হইতে বহিষ্কৃত করিয়া দিতে ব্যগ্র হইয়া পড়িল। এ ভারতবর্ষ নহে, এদেশে গৃহ না থাকিলে গাছতলায় শয়ন করিয়া রাত্রি কাটে; ২ ৪ পয়সা হইলে একরূপে দিন কাটিয়া যায়। লণ্ডন সেরূপ স্থান নহে, কঠোর শীতে কেহ ঘরের বাহিরে রাত্রিযাপন করিতে পারে না। বাহিরে এক মুহূর্ত্তও থাকিবার যো নাই, অবিশ্রান্ত