পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সারকাসে প্রবেশ।
১৪৫

দীর্ঘাকার ও বলে অসুর বলিলেও অত্যুক্তি হয় না। সে উপস্থিত হইলে ম্যানেজার সাহেব বলিলেন, “তুমি ইহার সহিত লড়িতে পার?” সুরেশ বিনা দ্বিধায় বলিলেন, “কুস্তি হয় ত পারি।”

 তখন উভয়ে কুস্তির আয়োজন হইল, তৎপরে উভয়ে কুস্তি আরম্ভ হইল। শীঘ্রই দর্শকমাত্রেই বুঝিল যে সাহেবক্রীড়কের শরীরে কিছু বল অধিক থাকিলেও দক্ষতায় তিনি কোন অংশেই ভারতবাসীর সমকক্ষ নহেন। ১০ মিনিট যাইতে না যাইতেই তিনি পরাজিত হইলেন। সুখে তখন হোরাইজাণ্টাল ও প্যারেলাল বারেও ক্রীড়া দেখাইতে চাহিলেন, কিন্তু ম্যানেজার সাহেব তাঁহার ক্ষমতা বুঝিয়াছিলেন, বলিলেন, “না; আমি সন্তুষ্ট হইয়াছি, তুমি আমাদের দলে যোগ দিতে পার।”

 সেই দিন হইতে সুরেশ সেই সারকাস দলে অন্তর্ভুক্ত হইলেন। মাহিয়ানারও একটা বন্দ্যোবস্ত হইয়া গেল। সারকাস দল হইতে তিনি সমস্ত আহারাদির ব্যয় পাইবেন, অধিকন্তু সপ্তাহে ১৫ সিলিং করিয়া পারিশ্রমিক লাভ করিবেন। যদিও সারকাস ক্রীড়কদিগের ইহাপেক্ষা অনেক বেশী মাহিয়ানা ছিল, তবুও সুরেশ এই মাহিনাতেই স্বীকৃত হইলেন। তিনি নূতন, ক্রমে কাজ শিখিলে অবশ্যই তাঁহার বেতনের হার সঙ্গে সঙ্গে বৃদ্ধি পাইবে। এ দলে না হয়, অন্য দলে মিলিবে। এক দিকে সপ্তাহে ১৫ সিলিং পাইয়া সুরেশ যেরূপ উৎফুল্ল হইলেন, অন্যদিকে ম্যানেজার সাহেবও একজন প্রকৃত কালো ভারতবাসী এত সস্তায় পাইয়া মনে মনে বিশেষ