পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৪
লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস।

কার্য্যকরী হইতে পারে, কিন্তু যখন শত্রুগণ নিকটে আগত, পরস্পরের সংঘর্ষ উপস্থিত, তখন কেবল সাহস ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞার প্রয়োজন, অন্য কিছুই লাগে না। যে পক্ষ বিপুল সাহসে নির্ভর করিয়া শত্রু আক্রমণ করিতে পারে,—সেই পক্ষেরই জয় হয়। শত্রুগণ সেই পক্ষের অত্যধিক উদ্যমে ও সাহসে ভীত ও বিচলিত হইয়া পলায়ন করিয়া থাকে।’’

 এ সকল কথা প্রকৃতই বীরোচিত। প্রকৃত বীর হৃদয় না হইলে কেহ অপরকে কুকুরের ন্যায় নিজ পদানুসরণ করাইতে পারে না। অন্যকে মৃত্যুমুখে লইয়া যাওয়া সহজ কার্য্য নহে,—প্রাণের প্রকৃত উন্মাদিনী শক্তি না থাকিলে কেহ কখনই পরকে প্রাণ হারাইতে উত্তেজিত করিতে পারে না। সুরেশের এই শক্তি না থাকিলে বিদেশীয় শ্বেতকায় সৈনিকগণ ঘোর যুদ্ধক্ষেত্রে তাঁহার পদানুসরণ করিয়া আসন্ন মৃত্যুমুখে অগ্রসর হইত না। যখন সুরেশ সেণ্টক্রুস নগরে বাস করিতেছিলেন, সেই সময় ব্রেজিলদেশীয় একজন অধিবাসী তাঁহাকে এতই ভালবাসিত যে, সে কেবল সুরেশের নিকট থাকিতে পারিবে বলিয়াই উক্ত সৈন্যদলে নাম লেখাইয়াছিল।

 নাথেরয়ের যুদ্ধবর্ণনা লিপিবদ্ধ করিবার পূর্ব্বে আমরা এখানে সুরেশের গৃহস্থলী সম্বন্ধে দুই একটী কথা বলিব। পাঠকগণ অবগত আছেন যে সুরেশ রায়োডি-জেনিরো নগরে আসিয়া তথাকার একটী রমণীকে ভালবাসিতেন। তাঁহারা উভয়ে উভয়কে প্রাণের সহিত ভালবাসিতেন। ইনি এই দেশের একজন চিকিৎসকের কন্যা ছিলেন,—ইহাকেই সন্তুষ্ট করিতে গিয়া সুরেশ সৈন্যদলে সামান্য সৈনিকরূপে নাম লিখাইয়া-