পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৮
লেফটেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস

হইতে অজস্র গোলাবৃষ্টি হইতে লাগিল, স্থলস্থ দুর্গবাসিগণও নিশ্চিন্ত নীরব ছিল না। প্রত্যেক দুর্গের প্রত্যেক কামান অনর্গল অগ্নি উদগীরণ করিতে লাগিল। একদিকে রণপোতের বজ্রনাদ গোলা নিচর নগরে পতিত হইয়া গৃহ অট্টালিকাদি চূর্ণ বিচূর্ণ করিতে লাগিল,—অন্যদিকে দুর্গস্থ গোলা রাশিও সমুদ্রকে আলোড়িত করিয়া তুলিল। এইরূপে কয়েক দিন মহাসমর চলিতে লাগিল।

 সুরেশও এ যুদ্ধে সর্ব্বদা উপস্থিত। তাহার উপর একদল সেনা পরিচালনা করিবার ভার ছিল। তিনি সেনাপতির অধীনে থাকিয়া অসীম সাহসে ও বিশেষ দক্ষতা সহকারে যুদ্ধ পরিচালনা করিতেছিলেন। বোধ হয়, ব্রেজিল সেনানীগণমধ্যে সুরেশের সমকক্ষ আর কেহই ছিলেন না।—প্রতি মুহুর্তে ও প্রতি দিবসেই এইরূপে ক্রমান্বয়ে গোলাবৃষ্টি হইতে লাগিল। রণপোতের সৈনিকগণ ভাবিয়াছিল যেন মূল সৈনিকগণ কোনক্রমেই যুদ্ধে স্থির থাকিতে পারিবে না। এক্ষণে ক্রমেই বুঝিল যে তাহারা যাহা ভাবিয়াছিল তাহা নহে। ব্রেজিল সৈনিক মহোৎসাহে ও বিশেষ দক্ষতা ও সাহসসহকারে যুদ্ধ করিতে লাগিল। বিদ্রোহ জাহাজ হইতে প্রত্যহই নগর আক্রমণের চেষ্টা হইতেছিল, কিন্তু প্রত্যহই তাহারা অকৃতকার্য্য হইয়া জাহাজে ফিরিতে লাগিল।—তথাপি সহরের উপর গোলাৃষ্টি কোনক্রমেই থামিল না, উভয় পক্ষেই অগ্নিক্রীড়া চলিতে লাগিল।

 কোনও রূপে নগর অধিকারে অকৃতকার্য হইয়া রণপোতস্থ সৈনিকগণ নগর পরিত্যাগ করিয়া নগরের নিকটস্থ নাথেরয় নামক নগর পরিত্যাগ করিয়া নগরের নিকটস্থ নাথেরয় নামক সহরতলীস্থ ক্ষুদ্র নগর অধিকারে প্রয়াস পাইল। কিন্তু