পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
উপসংহার
১৯৭

সুরেশচন্দ্রের পিতাকে এই পত্র লিখেন,—তিনি ব্রেজিলের একজন সম্ভ্রান্ত অধিবাসী, সুতরাং তাঁহার লেখনী-প্রসূত কথাগুলি যে অতীব মূল্যবান তদ্বিষয়ে সংশয় নাই বলিয়াই আমরা সে পত্র এস্থলে উদ্ধৃত করিলাম।


পত্র।

রাইয়ো-ডি-জেনিরো, ১২ই মার্চ্চ ১৮৯৪।


 আপনি ইতিপূর্ব্বে বোধ করি, নিশ্চয় জানিয়া থাকিবেন যে, আপনার পুত্র ব্রেজিল গবর্ণমেণ্টের সামরিক বিভাগের কর্ম্মচারী। ব্রেজিলের পদাতি সৈন্যদলের তিনি প্রথম লেফ্‌টেন্যাণ্ট; সম্প্রতি নাথেরয়ের (Nitheroy) যুদ্ধে স্বীয় অদম্য বীর্য্য, উৎসাহ ও রণকুশলতায় তিনি বিপুল যশস্বী হইয়াছেন। সেই সুবিখ্যাত ভীষণ যুদ্ধের রজনীতে শত্রুগণ ছয়ঘণ্টাকাল অবিরত উক্ত নগরীতে গোলাবর্ষণ করিলে আমাদিগের পরমবন্ধু আপনার পুত্র সৌভাগ্যবশতঃ সেইস্থলে স্বীয় সেনাদলের সহিত উপস্থিত থাকায় ৫০ জন সৈনিক সমভিব্যাহারে তিনি শত্রুপক্ষকে আক্রমণ করিবার জন্য প্রেরিত হয়েন। শত্রুপক্ষীয়গণ শীঘ্রই তাঁহাকে চিনতে পারিয়াছিল, এবং তৎপক্ষ হইতে তাঁহার কর্ণে এইমাত্র শ্রুত হইল যে “কে আসিতেছে”। তন্মুহূর্ত্তেই তাহার প্রত্যুত্তর হইল, ‘‘সাধারণ তন্ত্রের বীর সৈন্যগণ”। পুনরায় শত্রুপক্ষ কহিল, “হয় আত্মসমর্পণ কর অথবা মৃত্যু নিশ্চয়।’’

 তদুত্তরে তিনি কহিলেন, “সাধারণ তন্ত্রের বীরসৈনিকগণ