পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পরিশষ্ট
২১১

 পত্রমধ্যে আমার দুইখানি ফটোগ্রাফ পাঠাইতেছি—একখানি আপনার ও অপরখানি বাবার জন্য। কেমন আমার একটা ধারণা হইয়া গিয়াছে যে, তিনি বোধ হয় আর জীবিত নাই আর তাহাও আমি জানি না যে, আমার এই ধারণা সত্য কি মিথ্যা। আমি যে ব্রেজিলদেশীয় পদাতি সৈন্যদলের অধিনায়ক বা লেফ্‌টেনাণ্টের পরিচ্ছদ পরিয়াছি, তাহা দেখিলে নিশ্চয়ই তিনি সুখী হইবেন এবং সে সুখ বা আনন্দ, গৌরব বা স্পর্দ্ধা—তাঁহারই। আপনি শুনিয়া হয়ত একেবারে স্তম্ভিত হইবেন যে, এই পোষাকটী প্রস্তুত করাইতে আমার এক সহস্র ডলার খরচ হইয়াছে, কারণ সুন্দর কাপড়, পালক, রেশম ও সোণার জরিতে ইহা তৈয়ার হইয়াছে। আমার সহধর্ম্মিণীরও একখানি ফটোগ্রাফ পাঠাইলাম, উহা বিবাহের পূর্ব্বেকার। এখন আমার পুত্রের ফটোগ্রাফ তোলান হয় নাই, সুতরাং তাহা পাঠাইতে পারিলাম না। আমি যে অদৃশ্য হইয়াছিলাম, তৎসম্বন্ধে যাহা ঘটিয়াছিল, তাহা নিম্নে বিবৃত করিতেছি। যুদ্ধ সংঘটনের স্বায়ংকালে দশজন নৌ-সেনাকে কয়েদীরূপে ধরিয়া লইয়া বাসায় ফিরিয়া গেলাম, পরে আবার একাকী ভ্রমণে বহির্গত হইলাম। পথিমধ্যে একটী ভদ্রবেশী রমণী আসিয়া আমাকে জিজ্ঞাসা করিল যে, মৃত ব্যক্তিগণ কোথায় রক্ষিত বা স্থানান্তরিত হইয়াছে। আমি আগ্রহের সহিত গিয়া তাহাকে সেই স্থান দেখাইয়া দিলাম। সহসা দুই জন নৌ-সেনা ছোরা হস্তে আমাকে আক্রমণ করিল। আমিও তরবারি নিষ্কাষিত করিয়া আত্মরক্ষা করিলাম। আত্মরক্ষা ও আক্রমণে তাহারা আমাকে যথেষ্ট সমর্থ দেখিয়া দ্রুতপদে ঊর্দ্ধশ্বাসে পলায়ন করিল। আমিও তৎক্ষণাৎ