পাতা:লেফ্‌টেন্যাণ্ট সুরেশ বিশ্বাস.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
নবদ্বীপ ও নবদ্বীপবাসী।
১১

গোধূলি সময়ে মৃদঙ্গ করতাল শঙ্খধ্বনি প্রতি ঘরে।
শ্বেতচামর ময়ূরপাখা হাতে, চন্দ্রাতপ শোভা করে॥
ইষ্টক রচিত প্রাচীর প্রাঙ্গণ চিত্রিত গৃহ দ্বারে।
হিজুল হরিতাল কাঁচা চাল চৌখণ্ডী চৌকাট সালে॥
শাল রসাল বিশাল শুম্ভরাজিত চন্দ্রার্কতিলকে।
ময়ূর শুক সারস পারাবত সিংহ হংস শাবকে॥
ঘাটপাট সিংহাসন আসন চৌখড়ি ময়ূর পাখা।
বিচিত্র চামর চন্দ্রাতপ প্রতি ঘরে সুন্দর শাখা॥
ডাবর বাটা গুবাক সংপুট দর্পণ রসবাটিকা।
তাম্রহাণ্ডি রসপিত্তল কলস বারাণসী ত্রিপদিকা॥
শঙ্খ বাটাবাটি সর্ব্বাঙ্গ থাল রসময় রসখুরি।
তিরোহত গাড়ু, তাম্রমুখী মণ্ডল শীতল পিত্তল ঝারি॥
ট্যার গাটাকড়ি হিরণ্যমাদুলী কেয়ুর কঙ্কণ নূপুরে।
হেমকিয়াপাতা বিদ্রুম মুকুতা কাশ্মীর দেশের খুরে॥
তবকসুর পানবাটা কাঞ্চিদেশের বিচিত্র বেলি।
পাটনেত তোট সকলাতকম্বল শ্রীরামথানিজমকা।
তোভোট্টদেশের ইন্দ্র নীলমণি লক্ষ্মীবিলাস তারকা।
লিখিতে না পারি যত দাস দাসী প্রেমের মন্দিরে খাটে।
যে যে দ্রব্য সব ভুবনদুর্লভ বিকায় নদীয়ার হাটে॥

 নবদ্বীপের সেই সুখশান্তির সময়ে মুসলমান অত্যাচারে এখানকার পণ্ডিতমণ্ডলী, ও সাধারণের ধনমান নিতান্ত বিপন্ন হইয়া উঠিয়াছিল। কবি বলেন,

‘‘আচম্বিতে নবদ্বীপে হৈল রাজভয়।
ব্রাহ্মণ ধরিয়া রাজা জাতি প্রাণ লয়॥