অষ্টম অধ্যায়
গৃহমধ্যে শান্তি ভঞ্জনের অপরাধ
২১ ধারা। দুই, কি তাহার অধিক বিবাহিত ব্যক্তির জনতা হইলে যদি জনতাকারীদের নিম্নের লিখিত কোন অভিপ্রায় থাকে, তবে “বে আইন জনতা” বলা যায়।
প্রথম। যদি মদ্যপান করা, কি অন্য প্রকার দাম্পত্য অপরাধ করিবার অভিপ্রায় থাকে,
দ্বিতীয়। যদি আস্ফালন দ্বারা পত্নীদিগকে আইন মত ক্ষমতা প্রকাশ করণে নিবৃত্ত করার জন্য ভয় প্রদর্শন করার অভিপ্রায় থাকে,
তৃতীয়। যদি কোন স্ত্রীর আজ্ঞামত কর্ম্মের প্রতিবন্ধক হইবার অভিপ্রায় থাকে।
২২ ধারা। যে কেহ “বে আইন জনতার ব্যক্তি” হয়, সে কঠিন তিরস্কারের সহিত কয়েদ হইবে, অথবা মান অথবা তিরস্কারের সহিত দণ্ডনীয় হইবে।
মদ্যপানের কথা
২৩ ধারা। যে কোন জলবৎ দ্রব্য বোতলে থাকে, এবং কাচের পাত্রে পীত হয়, তাহা মদ্য।
২৪ ধারা। উক্তরূপ মদ্য যে ঘরে রাখে, সেই মদ্যপায়ী।
অর্থের কথা
সে ঐ দ্রব্য স্বহস্তে স্পর্শ না করিলেও মদ্যপায়ী।
২৫ ধারা। যে মদ্যপায়ী, সে প্রত্যহ সন্ধ্যার পর শয্যাগৃহের চারি ভিত্তির মধ্যে কয়েদ থাকিবে, এবং তিরস্কার প্রাপ্ত হইবে।
হাঙ্গামার কথা
২৬ ধারা। যে কেহ স্ত্রীর প্রতি কর্কশ স্বরে কথা কহে, সে হাঙ্গামা করে।
২৭ ধারা। যে কেহ গৃহমধ্যে হাঙ্গামা করিবে, তাহার সাজা মান বা তিরস্কার বা অশ্রুবর্ষণ ও রোদন।