আসামী সাহেব কহিল, “ঝুটা বাত! ও সুঁটকি মাছ বেচে।”
জেলেনী বলিল, “তাও বেচি। তাইতেই ত তুমি মরেছ।”
প্রশ্ন। তোমার কিসের নালিশ?
উত্তর। চুরির নালিশ।
প্রশ্ন। কে চুরি করেছে?
উত্তর। (সাহেবকে দেখাইয়া) এই বাগ্দীর ছেলে।
সাহেব। মুই সাহেব আছে—মুই বাগ্দী লই।
প্রশ্ন। কি চুরি করেছে?
উত্তর। এই ত বলিলাম—এক মুঠা সুঁটকি মাছ।
প্রশ্ন। কি রকমে চুরি করিল?
উত্তর। আমি ডালা পাতিয়া তাতে সুঁটকি মাছ সাজাইয়া বেচিতেছিলাম—একজন খদ্দের এলো—তা তার পানে ফিরে কথা কইতেছিলাম— এমন সময়ে সাহেব ডালা থেকে এক মুঠা মাছ তুলে নিয়ে পাকেটে পুরিল।
প্রশ্ন। তার পর, তুমি টের পেলে কেমন ক’রে?
উত্তর। পাকেটের যে আধখানা বই ছিল না—তা সাহেবের মনে ছিল না। সুঁটকি মাছ সব ফুটো দিয়া মাটিতে পড়িয়া গেল।
এই কথা শুনিয়া সাহেব রাগ করিয়া বলিল, “না বাবুজি! ওর চুপড়িটাই ফুটো, তাই মাছ বেরইয়ে পড়েছিল।”
জেলেনী বলিল, “ওর পাকেটে দুই চারিটা মাছ পাওয়া গিয়াছিল।”
সাহেব বলিল, “সে মুই দাম দেবে ব’লে নিয়েছেলো।”
সাক্ষীর দ্বারা প্রমাণ হইল যে, ডিক্সন সাহেব সুঁটকি মাছ চুরি করিয়াছেন। তখন হাকিম, সাহেবের জবাব লিখিতে বসিলেন। সাহেব জবাবে কেবল এই কথা বলিলেন যে, কালা বাঙ্গালীর আমার উপর “জুষ্টিকেশন লেই।” সে আপত্তি অগ্রাহ্য করিয়া হাকিম তাহাকে এক হপ্তা কয়েদের হুকুম দিলেন। দুই চারি দিন পরে এই কথাটা কলিকাতার একখানা ইংরেজি দৈনিক পত্রের সম্পাদকের কাণে গেল। পর দিন প্রভাতে সেই পত্রের সম্পাদকীয় উক্তিমধ্যে নিম্নোদ্ধৃত লীডর দেখা গেল।
“THE WISDOM OF A NATIVE MAGISTRATE.—A story of lamentable failure of justice and race antipathy has reached us from the Mofussil.