বাপ। এই আপনার মত সকলকেই দেখ্বে।
ছেলে। তা হলেই ত হলো। যদি পরকে আপনার মত ভাবি, তা হলে পরের সামগ্রীকে আপনারই সামগ্রী ভাব্তে হবে, আর পরের স্ত্রীকেও আপনার স্ত্রী ভাব্তে হবে।
বাপ। দূর হ। পাজি বেটা, ছুঁচো বেটা। (ইতি চপেটাঘাত)
II. PRACTICE
(১)
কাদম্বিনী নামে কোন প্রৌঢ়া কলসীকক্ষে জল আনিতে যাইতেছে। তখন অধীতশাস্ত্র সেই বালক, তাহার সম্মুখে আসিয়া উপস্থিত।
ছেলে। বলি, মা!
কাদম্বিনী। কেন, বাছা! আহা, ছেলেটির কি মিষ্ট কথা গো! শুনে কান জুড়ায়।
ছেলে। মা, সন্দেশ খেতে একটি পয়সা দে না মা।
কাদম্বিনী। বাবা, আমি দুঃখী মানুষ, পয়সা কোথা পাব, বাবা?
ছেলে। দিবিনে বেটি? মুখপুড়ি! হতভাগি। আঁটকুড়ি!
কাদ। আ মলো। কাদের এমন পোড়ারমুখো ছেলে।
ছেলে। দিবিনে বেটি। (ইতি প্রহার এবং কলসী-ধ্বংস)
(পরে ছেলের বাপ সেই রঙ্গভূমে উপস্থিত)
বাপ। এ কি, রে বাঁদর?
ছেলে। কেন, বাবা! এ যে আমার মা। মার সঙ্গে যেমন করি, ওর সঙ্গেও তেমনি করেছি—“মাতৃবৎ পরদারেষু।” কই মাগি, বাবাকে দেখে তুই ঘোমটা দিলে নে?
(২)
ময়রা আসিয়া ছেলের বাপের কাছে নালিশ করিল যে, ছেলের জ্বালায় আর দোকান করা ভার, ছেলে দোকান লুঠ করিয়া সকল মিঠাই মণ্ডা লইয়া আসে। গোয়ালা আসিয়া ক্ষীর ছানা সম্বন্ধে সেইরূপ নালিশ করিল।