পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকসাহিত্য ט • מ মায়ের কোলে মত্ত হয়ে ভুলছ দেখি স্বামী । তোমার পিতা কেমন রাজা তাই দেখব আমি ॥ শুনে কথা গিরিরাজা উন্মাযুক্ত হল। জয়-জোগাড়ে অভয়ারে যাত্রা করে দিল । যে নিবে সে ক’তে পারে, নইলে এমন শক্তি কার । যাও তারিণী হরের ঘরে, এসে পুনর্বার ॥ অনুগ্রহের সংকীর্ণ মেয়াদ উত্তীর্ণ হইল, কন্যা পতিগৃহে ফিরিয়া গেল। এক্ষণে যে ছড়ার আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতেছি তাহাতে দেবদেবীর একটি গোপন ঘরের কথা বর্ণিত আছে— শিবসঙ্গে রসরঙ্গে বসিয়ে ভবানী । কুতুহলে উমা বলেন ত্রিশূলখুলপাণি, তুমি প্রভু তুমি প্ৰভু ত্ৰৈলোক্যের সার— ইন্দ্র চন্দ্র কুবের বরুণ তোমারি কিংকর । তোমার নারী হয়ে আমার সাধ নাহি পোরে । ষেন বেন্যা পতির কপালে প’ড়ে রমণী ঝোরে ॥ দিব্য সোনার অলংকার না পরিলাম গায় । শমের বরন দুই শঙ্খ পরতে সাধ যায় ॥ দেবের কাছে মরি লাজে হাত বাড়াতে নারি । বারেক মোরে দাও শঙ্খ তোমার ঘরে পরি ॥ ভোলানাথ ভাবিলেন, একটা কৌতুক করা যাক। প্রথমেই একটু কোন্দল বাধাইয়া তুলিলেন— ভেবে ভোলা হেসে কন শুন হে পার্বতী, আমি তো কড়ার ভিখারি ত্রিপুরারি শঙ্খ পাব কথি । হাতের শিঙাটা বেচলা পরে হবে না