পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকসাহিত্য سb ه له. এইখানে শেষ হয় নাই— ইহার পরে দেবী মনের ক্ষোভে আরো দুই-চারিটি যে কথা বলিয়াছেন তাহা মহাদেবের ব্যক্তিগত চরিত্র সম্বন্ধে ; তাহা সাধারণ্যে প্রকাশযোগ্য নহে। সুতরাং আমরা উদ্ভূত করিতে ক্ষাস্ত হইলাম। ব্যাপারটা কেবল এইখানেই শেষ হইল না ; স্ত্রীর রাগ যতদূর পর্যন্ত যাইতে পারে, অর্থাৎ বাপের বাড়ি পর্যন্ত, তাহা গেল । কোলে করি কাতিক ইটোয়ে লম্বোদরে ক্রোধ করি হরের গৌরী গেলা বাপের ঘরে ॥ এ দিকে শিব তাহার সংকল্পিত দাম্পত্যপ্রহসনের নেপথ্যবিধান শুরু করিলেন। বিশ্বকৰ্ম৷ এনে করান শঙ্খের গঠন । শঙ্খ লইয়া শাখারি সাজিয়া বাহির হইলেন— দুই বাহু শঙ্খ নিলেন নাম শ্রীরাম লক্ষ্মণ । কপটভাবে হিমালয়ে তলাসে ফেরেন | হাতে শূলী কাখে থলি শম্ভু ফেরে গলি গলি। শঙ্খ নিবি শঙ্খ নিবি এই কথাটি ব’লে ৷ সখীসঙ্গে বসে গৌরী আছে কুতুহলে। শঙ্খ দেখি শঙ্খ দেখি এই কথাটি বলে ৷ গৌরীকে দেখায়ে শাখারি শঙ্খ বার ক’ল্প । শঙ্খের উপরে যেন চন্দ্র উদয় হল । মণি-মুকুতা-প্রবাল-গাথা মাণিক্যের ঝুরি । নব ঝলকে ঝলকে যেন ইন্দ্রের বিজুলি । দেবী খুশি হইয়া জিজ্ঞাসা করিলেন— শাখারি ভালো এনেছ শঙ্খ । শঙ্খের কত নিবে তঙ্ক ।