পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3) ম্যসাহিত্য > e > দেবীর লুদ্ধভাব দেখিয়া চতুর শাখারি প্রথমে দর-দামের কথা কিছুই জালোচন। করিল না ; কহিল— গৌরী, ব্রহ্মলোক, বৈকুণ্ঠ, হরের কৈলাস, এ তে সবাই কয়। বুঝে দিলেই হয় । হস্ত ধুয়ে পরে শঙ্খ, দেরি উচিত নয় । শাখারি মুখে মুখে হরের স্থাবর সম্পত্তির যেরূপ ফর্দ দিল তাহাতে শাখাজোড়। যে বিশেষ সস্তায় যাইবে মহাদেবীর এমন মনে করা উচিত ছিল না। গৌরী আর মহাদেবে কথা হল দড় । সকল সখি বলে দুর্গা শঙ্খ চেয়ে পরে । কেউ দিলেন তেল গামছা কেউ জলের বাটি । দেবের উরুতে হস্ত খুয়ে বসলেন পার্বতী ॥ দয়াল শিব বলেন, শঙ্খ আমার কথাটি ধরে । দুর্গার হাতে গিয়ে শঙ্খ বজ্র হয়ে থাকে ॥ শিলে নাহি ভেঙো শঙ্খ খড়েগ নাহি ভাঙো । দুর্গার সহিত করেন বাক্যের তরঙ্গ ॥ এ কথা শুনিয়া মাতা মনে মনে হাসে । শঙ্খ পরাম জগৎপিতা মনের হরষে ॥ শাখারি ভালো দিলে শঙ্খ মামায়ে । ভাণ্ডার ভেঙে দেইগে তঙ্ক লওগে গনিয়ে ॥ এতক্ষণে শাখারি সময় বুঝিয়া কহিল— অামি যদি তোমার শঙ্খের লব তঙ্ক জ্ঞেয়াত-মাঝারে মোর রহিবে কলঙ্ক | ইহারা যে বংশের শাখারি তাহদের কুলাচার স্বতন্ত্র ; তাহদের বিষয়বুদ্ধি কিছুমাত্র নাই; টাকাকড়ি সম্বন্ধে বড়ো নিস্পৃহ ; ইহারা যাহাকে শাখা পরান