পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকসাহিত্য * ۰ داد র্তাহাকে পাইলেই মূল্যের আর কোনো প্রকার দাবি রাখেন না । ব্যবসায়টি অতি উত্তম । কেমন কথা কও শাখারি কেমন কথা কও ৷ মানুষ বুঝিয়া শাখারি এসব কথা কও ৷ শাখারি কহিল— না করে বড়াই দুর্গ না করে। বড়াই । সকল তত্ত্ব জানি আমি এই বালকের ঠাই । তোমার পতি ভাঙড় শিব তা তো আমি জানি । নিতি নিতি প্রতি ঘরে ভিক্ষা মাঙেন তিনি । ভস্মমাখা তায় ভুজঙ্গ মাথে অঙ্গে । নিরবধি ফেরেন তিনি ভূত-পেরেতের সঙ্গে । ইহাকেই বলে শোধ তোলা। নিজের সম্বন্ধে যে-সকল স্পষ্ট ভাষা মহাদেব সহধর্মিণীর মুখ হইতে মধ্যে মধ্যে শুনিয়া আসিয়াছেন; অদ্য স্থযোগমত সেই সত্য কথাগুলিই গৌরীর কানে তুলিলেন। এই কথা শুনি মায়ের রোদন বিপরীত । বাহির করতে চান শঙ্খ না হয় বাহির । পাষাণ অনিল চণ্ডী শঙ্খ না ভাঙিল। শঙ্খেতে ঠেকিয়া পাষাণ খণ্ড খণ্ড হল । কোনোরূপে শঙ্খ যখন না হয় কর্তন । খড়গ দিয়ে হাত কাটিতে দেবীর গেল মন ॥ হস্ত কাটিলে শঙ্খে ভরিবে রুধিরে । রুধির লাগিলে শঙ্খ নাহি লব ফিরে ॥ মেনকা গো মা, কী কুক্ষণে বাড়ছিলাম পা ।