পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রাম্যসাহিত্য סי כי צ ডাহুক ডাহুকী টিয়া টুয়া পাখি ঝংকারে উড়িয়া যায় । তাহারা ঝংকার করিয়া কী কথা বলিল ? স্থবল রাখাল সাজায়েছে ভালো বিনোদবিহারীরায় । এ দিকে চাতক-চাতকী খ্যামকে মেঘ ভ্ৰম করিয়া উড়িয়া উড়িয়া ঘুরিয়া ঘুরিয়৷ ‘জল দে’ ‘জল দে’ বলিয়৷ ডাকিয় বেড়াইতে লাগিল । বনের মধ্যে শাখায় পল্লবে বাতাসে আকাশে ভারি একটা রব পড়িয়া গেল। কানাই বলিছে প্রাণের ভাই রে সুবল কেমনে সাজালে ভাই বল দেখি বল। কানাই জানেন তাহার সাজ সম্পূর্ণ হয় নাই। কোকিল-কোকিল। আর ডাহুক-ডাহুকীরা যাহাই বলুক-না কেন, স্ববলের রুচি এবং নৈপুণ্যের প্রশংসা করিবার সময় হয় নাই। নানা ফুলে সাজালে ভাই, বামে দাও প্যারী। তবে তো সাজিবে তোর বিনোদবিহারী । , বৃন্দাবনের সর্বপ্রধান ফুলটিই বাকি ছিল। সেই অভাবটা পশু-পক্ষীদের নজরে না পড়িতে পারে, কিন্তু শু্যামকে যেন বাজিতে লাগিল । কুঞ্জ-পানে যে দিকে ভাই চেয়ে দেখি আঁখি । স্থখময় কুঞ্জবন অন্ধকার দেখি । তখন লজ্জিত মুবল কহিল— এই স্থানে থাকে৷ তুমি নবীন বংশীধারী। খুঁজিয়া মিলাব আজ কঠিন কিশোরী ॥ এ দিকে ললিতা-বিশাখা সখীদের মাঝখানে রাধিকা বসিয়া আছেন। bo