পাতা:লোকসাহিত্য - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লোকসাহিত্য ילג כ ধড়াচুড়া ত্যাগ করিয়ে মুকুট দিয়েছ মাথে । সব অঙ্গে রাজ-আভরণ, বংশী মাইকে হাতে ॥ সোনার মালা, কণ্ঠহার, বাহুতে বাজুবন্ধ। শ্বেত চামরে বাতাস পড়ে দেখে লাগে ধন্দ ॥ নিশান উড়ে, ডঙ্কা মারে, বলছে খবরদার । ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের ঘটা ব্যবস্থা বিচার ॥ অার এক দরখাস্ত করি শুন দামোদর। যমুনাতে দেখে এলেম এক তরী মনোহর । শূন্ত হয়ে ভাসছে তরী ওই যমুনা-তীরে । কাণ্ডার অভাবে নৌকা ঘাটে ঘাটে ফিরে ॥ পূর্বে এক কাণ্ডারী ছিল সর্বলোকে কয়। সে চোর পালালে৷ কোথা তাকে ধরতে হয় ॥ শুনতে পেলেম হেথা এলেম মথুরাতে আছে। হাজির না কর যদি জানতে পাবে পাছে ॥ —মেয়ে হয়ে কয় কথা, পুরুষের ডরায় গা । সভামৃদ্ধ নি:শব্দ, কেউ না করে রা ॥— ব্ৰজপুরে ঘর বসতি মোর । ভাও ভেঙে মনি খেয়ে পলায়েছে চেণর ॥ চোর ধরিতে এই সভাতে আসছে অভাগিনী । কেমন রাজা বিচার কর জানব তা এখনি ॥ বৃন্দা কৃষ্ণচন্দ্ররায়ের রাজসম্মান রক্ষা করিয়া ঠিক দস্তুর-মত কথাগুলি বলিল— অন্তত কবির রিপোর্ট দৃষ্টে তাহাই বোধ হয়— তবে উহার মধ্যে কিছু ম্পর্ধাও ছিল । বৃন্দ। মথুরার উপরে আপন বৃন্দাবনের দেমাক ফলাইতে ছাড়ে নাই। "হাজির না কর যদি জানতে পাবে পাছে’ এ কথাটা খুব চড়া কথা ;