গ্রাম্যসাহিত্য ``TS শুনিয় সভ্যস্থ সকলে নিঃশব হইয়। গেল। মথুরার মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রর" কহিলেন— ব্রজে ছিলে বৃন্দাদাসী বুঝি অনুমানে । কোনদিন বা দেখা-সাক্ষাৎ ছিল বৃন্দাবনে। তখন বৃন্দা কচ্ছেন, কী জানি তা হবে কদাচিৎ ৷ বিষয় পেলে অনেক ভোলে মহতের রীত ॥ কৃষ্ণ বৃন্দাবনের কুশলসংবাদ জিজ্ঞাসা করিলে বৃন্দা কহিলেন— 源 হাতে ননি ডাকছে রানী গোপাল কোথা রয়। ধেনু বৎস আদি তব তৃণ নাহি খায় । শতদল ভাসতেছে সেই সমুদ্র-মাঝে । কোন ছার ধুতুরা পেয়ে এত ডঙ্কা বাজে । মথুরার রাজত্বকে বৃন্দা ধুতুরার সহিত তুলনা করিল ; তাহাতে মত্তত আছে, কিন্তু বৃন্দাবনের সৌন্দর্য ও সুগন্ধ কোথায় ! বল বাহুল্য, ইহার পর বৃন্দার দৌত্য ব্যর্থ হয় নাই— দূতী কৃষ্ণ লয়ে বিদায় হয়ে ব্ৰজপুরে এল। পশুপক্ষী অাদি যত পরিত্রাণ পেল ॥ ব্রজের ধন্য লতা তমালপাতা ধন্য বৃন্দাবন। ধন্য ধন্য রাধাকৃষ্ণের যুগলমিলন । বাংলার গ্রাম্যছড়ায় হরগৌরী এবং রাধাকৃষ্ণের কথা ছাড়া সীতারাম ও রাম-রাবণের কথাও পাওয়া যায়, কিন্তু তাহা তুলনায় স্বল্প। এ কথা স্বীকার করিতেই হইবে, পশ্চিমে, যেখানে রামায়ণ-কথাই সাধারণের মধ্যে বহুল পরিমাণে প্রচলিত সেখানে বাংলা অপেক্ষা পৌরুষের চর্চা অধিক। অামাদের দেশে হরগৌরী-কথায় স্ত্রী-পুরুষ এবং রাধাকৃষ্ণ-কথায় নায়ক-নায়িকার সম্বন্ধ নানারূপে বর্ণিত হইয়াছে ; কিন্তু র্তাহার প্রসর সংকীর্ণ, তাহাতে সর্বাঙ্গীণ